প্রথম পাতা
ক্ষমতার জন্য যে কারও দাসত্ব মেনে নিতে বিএনপি’র আপত্তি নেই: কাদের
স্টাফ রিপোর্টার
৩০ জুন ২০২৪, রবিবারক্ষমতার জন্য যে কারও দাসত্ব মেনে নিতে বিএনপি’র আপত্তি নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দাসত্ব, ইজারা কাকে বলে ভুলে কি গেছেন। নরেন্দ্র মোদি প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরের দিন সকালে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস বন্ধ থাকা অবস্থায় অফিসের সামনে ফুলের মালা আর মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। মনে আছে? দালালি করতে চেয়েছিলেন পারেননি। পাত্তা পাননি। যত দোষ নন্দ ঘোষ আওয়ামী লীগের। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব। আপনারা দাস হয়ে ভারতের সমর্থন চান। ক্ষমতার জন্য যে কারও দাসত্ব মেনে নিতে আপনাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা বন্ধু আছি, বন্ধু থাকতে চাই।
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, বিএনপিতে এখন আতঙ্কের নাম তারেক রহমান। মধ্যরাতে টেমস নদীর পার থেকে ফরমান আসে। একজন গেল, আরেকজন এলো, মধ্যরাতের ফরমান। তারেক রহমানের এ ফরমানে ফখরুল ইসলাম, গয়েশ্বর বাবু কোথায় যান কেউ জানে না। এ জন্য তারেক রহমানের বন্দনা করছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডনে বসে কর্মসূচি দেয় মেইড ইন লন্ডন। নতুন নেতৃত্ব পাঠায় ফরমান আকারে। নতুন নেতৃত্বের নাম মেইড ইন লন্ডন। লন্ডনে বসে নেতা বানায়, কর্মসূচি দেয়। এই মেইড ইন লন্ডন কর্মসূচির মানে কী? বাংলাদেশের মানুষ এ কর্মসূচি মানে না। খেলা কিন্তু হবে, ছেড়ে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি বড় বড় কথা বলে। তাদের আন্দোলনে তত জোর নেই মুখের বিষ যত। তাদের মুখের বিষ উগ্র। ভয়ঙ্কর উগ্র। তাদের আন্দোলন দুই কুলের গাঙ। এতে আওয়ামী লীগ সরকার একটুও বিচলিত নয়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাড়াবাড়ি কেউ করবেন না। সারা বাংলাদেশে সবার উদ্দেশ্যে বলছি। বাড়াবাড়ি করবেন না। ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। কাউকে ক্ষমা করা হবে না। শেখ হাসিনার শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতিবাজদের কাউকে ছাড় নেই। ক্ষমা নেই। এটা শেখের বেটি। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজরা এদেশে বেশি দুর্নীতির কথা বলেন। একটু খুঁজে দেখেন আশেপাশে আছে। বিএনপি’র দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা খাটে না। বিএনপি মানে দুর্নীতিবাজ দল। জাতীয়তাবাদী দুর্নীতিবাজ দল। তারেক রহমান পলাতক নেতা। দণ্ডপ্রপ্ত আসামি। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দণ্ডিত। অভিযোগ দুর্নীতির। বিএনপি নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে লজ্জা করে না প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আপনাদের এক নম্বর নেতাই দুর্নীতিবাজ। লন্ডনে আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্ছে। সে দুর্নীতিবাজকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিচার করতে হবে। সব তদন্ত হবে কে কতো টাকা দুর্নীতি করেছেন। সে নির্বাচিত সরকার হটানোর পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন, আন্দোলন করেন। তবে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে খবর আছে। খেলা হবে দুর্নীতি, অর্থপাচার, লুটপাট, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। সবাই প্রস্তুত হন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শপথ আমরাও মাঠে আছি। মোকাবিলা করবো বাংলাদেশের শত্রু, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ। ৭৫ বছর এই প্রতিষ্ঠানের বয়স। দীর্ঘ সংগ্রাম, আন্দোলন, ঝড়, অন্ধকার, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দীপ্ত পায়ে এগিয়ে যাওয়ার নাম আওয়ামী লীগ। আমরা মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয় গান গাই। আমরা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়ায়। আমাদের শিকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। আমাদের জন্ম জনতার মাঝ থেকে। আমরা অস্ত্র উঁচিয়ে শেষরাতে ক্ষমতা দখলকারী দল নই। জনগণের মাঝে জনগণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। বিএনপি’র পাল্টা কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম বছরব্যাপী উদ্যাপন করবো।
সেখানে খবর হয় আমরা নাকি পাল্টা-পাল্টি করছি। গতকাল আমরা সাইকেল র্যালি করেছি, বিএনপি’র কি কিছু ছিল? তাহলে কেন এই অপবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দিচ্ছেন? আমরা সারা বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করবো। আমাদের কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে। আগস্ট মাসের পরে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ হবে। সে সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম প্রমুখ।
কাদের সাহেবের কথাটা কি সত্য?
দিল্লি আছে আওয়ামী লীগ আছে দিল্লি নাই আওয়ামী লীগ নাই আওয়ামী নাই,জনগন এতো বোকা নয় যতটুকু আওয়ামী লীগ মনে করে, কারা দিল্লির দাসত্ব করে
বাংলাদেশে জনগনের ভোটের অধিকার হরণকারী একমাত্র দল আওয়ামীলীগ।
Aowamilg has found their master (india)
কা,কাদের সাহেব কথা সবগুলোই ঠিক আছে।তবে....বিএনপির জায়গায় আওয়ামীলীগের নামটা বললেই হতো।
দিল্লি আছে আমরা আছি আমরা আছি দিল্লি আছে কোন দলের নির্লজ্জ সাধারণ সম্পাদক মনে হয় বলেছিলো ভোটার শূন্য ডামি নির্বাচনের আগে
লজ্জা না থাকলে সব করা যায় সব বলা যায়।
দিল্লির দল আওয়ামীলীগ,এটা দেশের মানুষ জানে।