আমতলীর হলদিয়া ইউনিয়নের ১৯টি ব্রিজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে হলদিয়া হাট ব্রিজের মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। গত শনিবার হলদিয়া হাট আয়রন ব্রিজ ধসে মাইক্রোবাসসহ খালে পড়ে ৯ জন মারা যায়। ঝুঁকিপূর্ণ আরও ১৯ আয়রন ব্রিজ নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সরজমিন দেখা গেছে, কয়েক বছর আগে থেকেই আয়রন ব্রিজগুলোতে দেখা দিয়েছে ফাটল, ধরেছে মরিচা, নড়বড়ে হয়ে পড়েছে সেতুগুলোর অনেক জায়গা, দুই পাশের রেলিং ভেঙে গেছে। পিলারের আস্তর খসে বের হয়ে গেছে ভেতরের রডও ভেঙে পড়ছে ব্রিজের মধ্যের সøাব। তবে বিকল্প উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই ব্রিজ দিয়ে মানুষ ও ভারি যানবাহন চলাচল করছে। এই আয়রন ব্রিজগুলো হালকা যান প্রকল্পের আওতায় ২০০২ থেকে ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও নতুনভাবে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আয়রন ব্রিজগুলো হলো- হলদিয়া হাট ব্রিজ, রাড়িবাড়ির ব্রিজ, আউয়াল নগর ব্রিজ, বাহাদুর তালুকদার বাড়ি সলগ্ন ব্রিজ, মুসুল্লি বাড়ির ব্রিজ, গাজীপুর কাঁঠালিয়া সংযোগ ব্রিজ, সোনাগাজা ব্রিজ, আলতাফ তালুকদার বাড়ি ব্রিজ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সিকদার বাড়ি সলগ্ন ব্রিজ, দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া রাহিমিয়া দাখিল মাদ্রাসা সলগ্ন ব্রিজ, টেপুরার মল্লিক বাড়ির সামনের ব্রিজ, জেবিসনের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সলগ্ন ব্রিজ, মোল্লা বাড়ি সলগ্ন ব্রিজ, পূর্বচিলা আশিখার খালের ব্রিজ, কাপালির সøুুইজ সংলগ্ন ব্রিজ, কালু বিশ্বাস বাড়ি সলগ্ন ব্রিজ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জেন্নাত মিয়ার বাড়ি সলগ্ন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ পশ্চিম সোনা উঠা ব্রিজ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন আকন বাড়ি সলগ্ন ব্রিজ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন মেম্বর বাড়ি সলগ্ন ব্রিজ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডেও মেলকার বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজ। এই ব্রিজগুলোর মধ্যে মোল্লা বাড়ির ব্রিজ, জেবিসনের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রিজ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জেন্নাত মিয়ার বাড়ী সলগ্ন, টেপুরার মল্লিক বাড়ির সামনের ব্রিজগুলো ধসে পড়ে গেছে। এসব এলাকার জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তির শেষ নেই। হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, দ্রুত এই ব্রিজগুলো সংস্কার বা নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। তিনি অল্প সময়ের মধ্যে নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান। আমতলীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিগুলো সরিয়ে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আশরাফুল আলম বলেন, দ্রুততম সময়ে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।