বাংলারজমিন
সীতাকুণ্ডে বাস নিয়ন্ত্রণে হারিয়ে উল্টে নিহত ১, আহত ১৪
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
(২ দিন আগে) ২৯ জুন ২০২৪, শনিবার, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:০২ পূর্বাহ্ন
![mzamin](uploads/news/main/116288_sita.webp)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মহাসড়কে উল্টে গিয়ে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বাসের ভেতরে থাকা আরও ১৪ যাত্রী। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফকিরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যাত্রীর নাম আবুল কাশেম (৬৩)। আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি খোকন চন্দ্র ঘোষ।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বেপরোয়া গতিতে আসা স্টার লাইন পরিবহনের বাসটি ওভারটেক করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডের সঙ্গে জোরে ধাক্কা খায়। এতে বাসটি মহাসড়কের ওপর উল্টে যায়। এ সময় বাসের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয় বাসে থাকা আরও ১৪ জন যাত্রী। দুর্ঘটনার পর আগ্রাবাদ ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত বাসযাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
পাঠকের মতামত
গত ১৯ শে জুন রাত ১২:২৫ এর বাসে আমি ও আমার ১২ বছরের ছেলে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি সৌদিয়া বাসে। ছাড়ার ৫ মিনিট পর বাস ড্রাইভার ৮৬-৯০ কি লো মিটার গতিতে গাড়ি চালায়। আমি অত্যন্ত ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে বাসা সুপারভাইজার কে জানালেও ড্রাইভার এতে কোনো কর্নপাত করেনি। এমতাবস্থায় আমি ৯৯৯ এ কল দিয়ে হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাই কিন্তু অপারেটর থেকে আমাকে হাইওয়ে পুলিশের সাহায্যা না দিয়ে বাস সুপারভাইজার এর সাথে কথা বলতে চায় এবং কথাও বলে। কিন্তু কথা বলার পর থেকে যেনো বাস ড্রাইভার রাগে আরও গতি বাড়িয়ে দেয়। গাড়ির গতি ৯০ ছিলো। আল্লার নাম নেয়া ছাড়া আমার আর কিছুই করার উপায় ছিলো না। যাই হউক মহান আল্লার কৃপায় বেচে ফিরেছি। বাসের এই গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য হাইওয়ে পুলিশের আরও জোড়ালো ভুমিকা পালন করা উচিত।
নিয়ন্ত্রণ হারানোর মূল কারণ অনিয়ন্ত্রিত গতি। উড়ো জাহাজের গতিতে চালালে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না ।