বাংলারজমিন
প্রকাশ্যে শিক্ষকের মদপানের ভিডিও ভাইরাল, সমালোচনার ঝড়
মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
২৪ জুন ২০২৪, সোমবারআব্দুস সালাম দরদী। পেশায় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসহ চরিত্র গঠনে কারিগর। গত ১১ই জুন রাতে এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসে মদপানের ছবি ও ভিডিও সামনে আসে। উন্মোচিত হয় তার চরিত্রের অন্ধকার দিকটির। তিনি খালিয়াজুরী উপজেলার নূরপুর বোয়ালী গ্রামের লাট মিয়ার ছেলে ও পৌরসভার বাড়িভাদেরা রোডের বাসিন্দা।
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের ধর্মরায় রামধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের বিখ্যাত বাউল সাধক ও মরমী কবি উকিল মুন্সীর ১৩৯তম জন্ম দিবস উপলক্ষে শিক্ষকের নিজ গ্রামের বাড়ি নূরপুর বোয়ালীতে বাউল গানের আয়োজন করেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও চিত্রে মঞ্চের এক পাশে চেয়ারে বসে প্রকাশ্যে মদপান করতে দেখা গেছে তাকে। এমন একটি ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক লোকজন পোস্ট করেছেন। তিনি প্রায় সময়েই মদপান করেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একজন শিক্ষক হয়েও প্রকাশ্যে মাদক পান করায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনুষ্ঠানে অংশ্রগ্রহণকারী একাধিক ব্যক্তি জানান, ‘তিনি একজন শিক্ষক। সরকারি চাকরি করেন। কিন্তু মঞ্চে বসেই মদ খেয়েছেন। মদ খেয়ে মাতলামিও করেছেন।’ এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষক আব্দুস সালাম দরদী জানান, ‘একটি চক্র শত্রুতা করছে আমার সঙ্গে। এই বিষয়টা (মদ খাওয়ার) নিয়ে যেন কোনো সমস্যা না করে এনিয়ে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে সমাধান করা হয়েছিল। এরপরেও বিষয়টি নিয়ে বার বার কথা হচ্ছে। ঘটনাটি একটু পজিটিভভাবে দেখার জন্য অনুরোধও জানান তিনি।’
শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান জানান, আমার বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক প্রকাশ্যে মদপান করেছে বিষয়টি লোকমুখে জানলাম। সরকারি চাকরির নীতিমালা অনুযায়ী কেউ মদপান করতে পারে না। শিক্ষক যদি মদপান করে তা আরও দুঃখজনক। এ ব্যাপারে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সময়ের সঠিক শিক্ষক?
উনি শিক্ষকতা পেশার উপযুক্ত নন উনাকে একটি বারের বয়ের চাকুরী দেয়া হোক।
শিক্ষার মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে নাস্তিকরা ।যেমন কর্ম তেমন ফল দেখবে জাতি।
মদকে সরকার সহজলভ্য করেছে দেখার জন্য না, খাওয়ারই জন্যে। এই দেশে নীতি নৈতিকতা বই খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছাত্র- শিক্ষক মিলিতভাবে খেলেও আমি অবাক হব না।
শিক্ষক না হয়ে যদি , কোন নেতা কিংবা উচ্চপদর্স্থ কোন আমলা হতেন , তাহলে তার নিউজ টা কি হত????এই রকম কোটি কোটি লোক , কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে এই মদের পিছনে । দেশে মদ নিষিদ্ধ করুক, দেখবেন হাসপাতালে জায়গা হবে না, মদ খেতে না পেরে সব অসুস্থ্য।
শিক্ষকতা ভালোই চলছে দেখছি। হাহাহা
চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক,এমন শিক্ষকের প্রয়োজন আছে কি ?