বাংলারজমিন
ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
(৩ মাস আগে) ১৯ জুন ২০২৪, বুধবার, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে রহিমা আক্তার (রেমি) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার ভোরে রাজশাহীর চারঘাট পৌর এলাকার হলের মোড়ের একটি ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নিমতলা মন্ডল পাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়েও কাঠালবাড়িয়া এলাকার সায়েম আক্তার সাগরের স্ত্রী।
জানা যায়, স্বামীর চাকরির সুবাদে চারঘাট বাজারের কাছে ফকির মেলেটারির মোড়ে একটি বাসার ২য় তলায় ভাড়া থাকতেন। সেখানে বেডরুমের বেলকনির সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এর আগে রেমি লাইভে এসে তাদের পারিবারিক কলহের কথা তুলে ধরেন।
পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি বলেন, আমি একটি বই লিখতে শুরু করেছিলাম। বইয়ের নাম রাখতে চেয়েছিলাম সুইসাইড। বই লেখা শেষ না করতেই আমি নিজেই সুইসাইড হয়ে গেলাম। বাবা মা খারাপ হলে কিন্তু সন্তানরা খারাপ হয় না। এসব কথা শুনতে শুনতে বোর হয়ে গেছি। জীবন দিয়ে প্রমাণ করে দিতে চাই।
নিহতের বাবা জানান, ঈদের দিন মেয়ে ও জামাই আমার বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করে দুপুরে তারা বাড়ি ফিরে যায়। এরপর শুনতে পাই মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে পারিবারিক মনোমালিন্য হলে তারা ভাড়া বাসায় চলে যায়। পরে মঙ্গলবার ভোরে জামাই আমার ছেলেকে ফোন দিয়ে ওই খবর দেয়।
এ বিষয়ে চারঘাট থানার ওসি এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রেমির বাবার সঙ্গে তার মায়ের ডিভোর্স হলে বাবা আবার বিয়ে করেন। এতে একা হয়ে পড়েন রেমি। এ নিয়ে কটু কথা শুনতে শুনতে তিনি বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। পরে মঙ্গলবার ভোরের দিকে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে তার দুঃখের কথা বলেন। এসময় তার বাবা-মাকে নিয়েও অনেক কথা বলেন। লাইভ শেষে তিনি আত্মহত্যা করেন।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে নেয়া হয়। পরে তার পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।