বাংলারজমিন
বারহাট্টায় বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে অসহায় গ্রাহকরা
বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
২৯ জুন ২০২৪, শনিবারনেত্রকোনার বারহাট্টায় পল্লী বিদ্যুতের ভুল রিডিং থেকে অতিরিক্ত বিলের কারণে প্রায়ই হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা, অনেককেই আবার গুনতে হচ্ছে জরিমানা।
জানা যায়, করোনার প্রভাবে লকডাউন থাকা অবস্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় পল্লী বিদ্যুতের লোকবল সংকট ছিল। তখনকার সময়ে বিদ্যুৎ অফিসে বসেই অনুমান করে পূর্বের মিটারের রিডিং দেখে বিল করা হতো। কিন্তু লকডাউন এবং করোনার শেষ হওয়ার প্রায় চার বছর পরও এর বৃত্ত থেকে এখনো বের হতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ। প্রতি মাসেই অনেক গ্রাহকের ভুতুড়ে বিল আসে বলে খবর পাওয়া যায়।
এদিকে গ্রাহকরা বিলের কাগজ সঙ্গে নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অভিযোগ করেন। কারও কারও বিল শুধরে দেয়া হয়, আবার কারও কারও বিল জমা দেয়ার নির্দিষ্ট তারিখ শেষ হয়ে গেলে গুনতে হয় জরিমানা।
বারহাট্টা সদরের বারঘরের বাসিন্দা মৃন্ময় চক্রবর্তী জানান, আমাদের বিদ্যুৎ বিলে ১১ই মে ইউনিট দিয়েছে ৩৪৫০ ইউনিট অথচ ১১ই জুন এ বিলের কাগজে ছিল ৩৬০৫ ইউনিট। কিন্তু মিটারে রিডিং ছিল ৩৫৯৯ ইউনিট। ছবি তুলে নিয়ে গেলে, ভুল স্বীকার করেন। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি দেরি করে ফেলায় নতুন বিলে ইউনিট ৩৬০০ দেয়া হয়েছে। ওরা ওদের মতো মনগড়া ইউনিট বসিয়ে দেয়।
বাউসি ইউনিয়নের বাসিন্দা ও শিক্ষক মো. মোজাম্মেল জানান, আমার মিটারে ইউনিট থাকা সত্ত্বেও ‘০’ ইউনিট দিয়ে প্রাক্কলিত বাবদ ১০০ ইউনিট বিল করা হয়েছে। এখন আমার মিটার বিলও দিতে হবে এবং বাড়তি ১০০ ইউনিটের বিলও দিতে হবে।
২নং সাহতা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেমুড়া নদীর পাড়ের বাসিন্দা মনোয়ারা খাতুন জানান, বাড়িতে কোনো ফ্রিজ বা বড় ধরনের কিছুই নেই।
এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. মাহফুজুর রহমান খান বলেন, এ সব অভিযোগ সঠিক নয়। তবে ৫০ হাজার গ্রাহকের রিডিং করতে গেলে দুই-চারটা রিডিং ভুল হতেই পারে। তিনি আরও জানান, এ ধরনের কোনো সমস্যা পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গেই তার সমাধান করে দেয়া হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট মিটার রিডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।