দেশ বিদেশ
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর কূটনৈতিক ভারসাম্যের বহিঃপ্রকাশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৮ জুন ২০২৪, শুক্রবারভারতের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকে ‘বাংলাদেশের ব্যালেন্স ফরেন পলিসি’ তথা সব দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পারার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। ভারতকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু আখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনও আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। চীন সফরের মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও অটুট হবে বলে আশা করেন মন্ত্রী। তিস্তা প্রকল্পে চীন দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহী জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিস্তা ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী। আমরা মনে করি তিস্তা প্রকল্পে ভারত সহায়তা করলে বাংলাদেশের জন্য ভালো। লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বৃটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমস্যা হচ্ছে দেশটির সঙ্গে আমাদের কোনো বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই। বৃটেনের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি ছাড়া তারেক রহমানকে ফেরানো যাবে কিনা? এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দু’দেশ সম্মত হলে সবই সম্ভব। এ নিয়ে বৃটেনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বন্দি বিনিময় চুক্তি ছাড়া তারেক রহমানকে ফেরানো যায় কিনা সে বিষয়েও আমরা আলোচনা করবো।
খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, এর দায় সরকারের নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, সেখানে তার চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি হলে তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটি কোনো অবস্থাতেই সরকারের দায় নয়। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ জন্য তিনি সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছেন। এ সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ‘বেগম জিয়ার অসুস্থতায় রিজভী সাহেবও ফখরুল সাহেবের মতো কেঁদেছেন কিনা’ জানতে চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতাল সরকারি নয়, বেসরকারি। সেখানে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কোনো দায় নেই। তারা যদি এম্বুলেন্স, ইনজেকশন না দিয়ে থাকে সে বিষয়ে তারাই বলতে পারবে। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের রেল চলাচল সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ তো রয়েছেই। শুধু ভারত নয়, নেপাল, ভুটানসহ আঞ্চলিক ‘কানেক্টিভিটি’র জন্য কাজ চলছে। আর আমাদের সঙ্গে ভারতের নানা অঞ্চলের যোগাযোগ বহুদিন ধরে। ১৯৬৫ সালের পরে অনেক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে। এ সময় ভারতের মধ্যদিয়ে নেপাল ও ভুটানে চলাচল সম্ভব হবে কিনা- এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, ভারতের উপর দিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করেছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফরে সে দেশের উপর দিয়ে নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।