দেশ বিদেশ
তিস্তা বিরোধ নিয়ে টেলিগ্রাফের সম্পাদকীয়
বাংলাদেশ ভারত তরল সম্পর্ক
মানবজমিন ডেস্ক
২৮ জুন ২০২৪, শুক্রবার![mzamin](uploads/news/main/116056_d1.webp)
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা নিয়ে বিরোধ। একে একটি জটিল সমস্যা বলে আখ্যায়িত করেছে ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ। এতে প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে নয়াদিল্লিকে যা করতে হবে তা হলো- জটিল এই সমস্যার বিষয়ে অবশ্যই ঐকমত্যে আসতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই জটিল সমস্যা হলো তিস্তা। ‘ফ্লুইড টাইস: এডিটরিয়াল অন ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশজ রিলেশন্স ওভার দ্য তিস্তা রিভার ডিসপিউট’ শীর্ষক সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, গত সপ্তাহান্তে নয়াদিল্লি সফর করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। এই সফর একই সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যবর্তী সম্পর্কের জন্য গভীরভাবে প্রতীকী (সিম্বলিক) ও উল্লেখযোগ্য ছিল। তা হলো একে অন্যকে আস্থাশীল অংশীদার হিসেবে প্রয়োজন। তবু এই জটিল বন্ধত্বের গতিপথ নির্ধারণ করতে হবে। জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আবার নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনা অন্য একটি দেশে তার প্রথম সরকারি সফর করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরোধিতায় তিস্তার পানি বণ্টন পরিকল্পনা শেলফে তুলে রাখতে হয়েছে প্রতিবেশীকে। কমপক্ষে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পানি বণ্টন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছেন মমতা। অন্যদিকে এই ইস্যুতে দেশের ভেতরে অব্যাহত রাজনৈতিক চাপের মুখে শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের লাখো মানুষের জীবন-জীবিকা এই নদীকেন্দ্রিক। এই নদীকে ঘিরে বড় রকমের অবকাঠামো পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে চীন। ঢাকার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার বেইজিং। বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পে কাঁচামালের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী হলো চীন। গার্মেন্ট শিল্প থেকে বাংলাদেশের শতকরা ৮০ ভাগ রপ্তানি রাজস্ব আসে। তিস্তা নিয়ে প্রকৃত এই চাপের অর্থ হলো- ভারতের অনিশ্চয়তার কারণে চীনের প্রস্তাবকে শেখ হাসিনা সাদামাটাভাবে প্রত্যাখ্যান করবেন এমনটা প্রত্যাশা করা যায় না। তিস্তায় অবকাঠামো উন্নয়ন ইস্যুকে খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশে একটি ভারতীয় টিম আসবে। এ বিষয়ে একমত হয়েছেন মোদি ও শেখ হাসিনা। যদি তা সফল হয়, চীন এবং ভারতের মধ্যে বন্ধু বেছে নেয়ার পরিবর্তে তা হবে এই অঞ্চলে নয়াদিল্লির সম্পর্কের জন্য একটি ‘টেমপ্লেট’। তাকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে এবং নিজের উদ্যোগে তা ডেলিভারি দিতে হবে। কিন্তু নয়াদিল্লিকে প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য অবশ্যই মোদি ও মমতাকে জটিল সমস্যার বিষয়ে একমত হতে হবে। সেই সমস্যা হলো তিস্তা।