বাংলারজমিন
সাতক্ষীরায় একদিনের ব্যবধানে আদার দাম কমলো কেজি প্রতি ১শ’ টাকা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবারসাতক্ষীরার বড় বাজারে একদিনের ব্যবধানে আদার দাম প্রতি কেজিতে ১০০ টাকা কমেছে। কোরবানির ঈদের আগ থেকে কেজি প্রতি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ার পর গতকাল তা কমে কেজি প্রতি ৩০০ টাকায় নেমে এসেছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দখলে বড় বাজার। ঈদুল আজহাকে পুঁজি করে দোকানদাররা বিভিন্ন মসলার দাম বাড়িয়ে ছিল এখন ঈদ শেষ হয়ে গেছে দাম কমিয়ে দিচ্ছেন বলে মনে করছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা, বাজারে সরবরাহ বাড়ায় আদার দাম কমেছে। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী সপ্তাহ নাগাদ দাম আরও কমবে বলে মনে করছেন তারা।
গতকাল সাতক্ষীরা সদরের সর্ববৃহৎ মসলা বাজার সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি আড়ত ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। বাজারের মসলা বিক্রয় ও আড়তদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ফজর আলী বলেন, ‘পাইকারি দাম কমে যাওয়ার পাশাপাশি বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আদার দাম কমেছে। ঈদের ১৫ দিন আগেও আদা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ২৪০-২৫০ টাকা দরে। কিন্তু ঈদকে ঘিরে বাড়তি চাহিদার কারণে আদার দাম বেড়ে যায়। তবে দু’দিনে আদার দাম কেজিপ্রতি অন্তত ১০০ টাকা কমেছে।’
খুচরা ক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, বড় কোনো উৎসব আসলেই প্রতিটা জিনিসের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। দোকানদাররা মাল মজুত করে দাম বাড়িয়ে দেয়। এখন ঈদ শেষ হয়ে গেছে তাই আদার দাম কমে গেছে।
এদিকে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত অর্থাৎ বিগত ১০ মাসে বন্দর দিয়ে ৩৫ হাজার ৭৬২ টন আদা আমদানি হয়েছে। যার আমদানি মূল্য ৩৯১ কোটি টাকা। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে মসলাপণ্যটি আমদানির পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৮০০ টন, যার আমদানি মূল্য ছিল ১৪৩ কোটি ২ লাখ টাকা। এ হিসাবে চলতি বছর আদার আমদানি বেড়েছে ২০ হাজার ৯৬২ টন।
ভোমরা বন্দরের মসলাপণ্যের অন্যতম আমদানিকারক মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, ‘কোরবানি ঈদ ঘিরে দেশের বাজারে আদার দাম বেড়ে গিয়েছিল। এর জন্য কিছুটা হলেও দায়ী মজুমদাররা।
তবে গত দুদিনে বন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ আদা আমদানি হওয়ায় পণ্যটির দামও কমেছে। ৮-১০ দিনের মধ্যে আদার দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ জানান, কোরবানির ঈদের এক সপ্তাহ আগে ২৫০ টাকা দরের আদা বেড়ে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে স্বস্তির বিষয় হলো গতকাল থেকে আদার দাম কমেছে। তাছাড়া বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত হওয়ায় আরও দাম কমবে বলে আশা করছেন তিনি। তবে কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই হঠাৎ আদাসহ অন্যান্য মসলাপণ্যের দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।