অনলাইন
সহযোগীদের খবর
অনলাইন ডেস্ক
(৭ মাস আগে) ২৪ জুন ২০২৪, সোমবার, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:১১ অপরাহ্ন

নিজেদের রেল লাইনে অতিরিক্ত চাপ থাকা সত্ত্বেও ভারতকে রেল ট্রানজিটের সুবিধা দেয়া নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে জাতীয় দৈনিক বণিক বার্তা। পত্রিকাটির প্রধান শিরোনাম, পুরনো রেলপথ, চলছে সক্ষমতার চেয়ে বেশি ট্রেন। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে পাবনার ঈশ্বরদী, নাটোরের আব্দুলপুর ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর হয়ে নীলফামারীর চিলাহাটি পর্যন্ত রেলপথটি বেশ পুরনো। প্রতিদিনই এ পথে চলাচল করছে সক্ষমতার চেয়েও বেশি ট্রেন। ব্যস্ত এ রেলপথ ব্যবহার করেই পশ্চিমবঙ্গের গেদে থেকে ভুটান সীমান্তবর্তী ডালগাঁও পর্যন্ত নিজেদের ট্রেন পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছে ভারত। এমন প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান অবকাঠামোর উন্নতি না করে ভারতের ট্রেন চলাচল শুরু হলে তা বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাড়তি চাপ তৈরির আশঙ্কা করছেন যোগাযোগ অবকাঠামো বিশেষজ্ঞরা।
পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাংবাদিক নেতাদের বৈঠক শিরোনামে এক সংবাদ প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। এতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বিএফইউজে—বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ডিএমপি কার্যালয়ে গতকাল রোববার দুপুরে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, কারও ব্যক্তিগত অপরাধ বা দুর্নীতির দায় কোনো বাহিনী বা সংগঠনের ওপর বর্তায় না। সেটি পুলিশের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, তেমনি সাংবাদিকদের ক্ষেত্রেও। পুলিশ ও সাংবাদিক যার যার পেশাগত অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করে যাবেন। কোনো পক্ষ থেকে এমন কিছু করা উচিত হবে না, যাতে গণমাধ্যম ও পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র থেকে এ বিষয়গুলো জানা গেছে। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে এই বৈঠক হয় বলে জানা গেছে। তবে বৈঠকে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন না। অবশ্য বৈঠকে অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা সাংবাদিক নেতাদের বলেছেন, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ বৈঠকের বিষয়ে অবগত রয়েছে। বৈঠকে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান ছাড়াও ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, খন্দকার আল মুহিত, মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পত্রিকাটির আরেক প্রতিবেদনে মতিউরের দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে শিরোনাম, বেশি সম্পদ প্রথম স্ত্রীর নামে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা একের পর এক সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত তার দুই স্ত্রী, সন্তান, ভাই–বোনসহ নিকটজনদের নামে ছয় জেলায় জমি, ফ্ল্যাট, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, রিসোর্টসহ নানা সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে। এর বাইরে পুঁজিবাজারেও তার বিনিয়োগ রয়েছে।
আলোচিত এই কর্মকর্তা ও তাঁর স্বজনদের নামে থাকা এখন পর্যন্ত ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং দুটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ শিরোনাম করেছে, China, India in tug of war over Teesta project in Bangladesh (বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন ও ভারতের টানাটানি)। এতে বলা হয়, তিস্তা নদী পুনরুদ্ধার এবং ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য ভারতের সর্বশেষ প্রস্তাব এবং চীন ইতিমধ্যে একই প্রকল্পের জন্য আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রস্তাব করায় বেইজিং এবং নয়াদিল্লির মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনার পরিস্থিতি হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের সময় নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বিষয়টি উঠে এসেছিল। অন্যদিকে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের মন্ত্রীর সাক্ষাতের কথা রয়েছে। শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের আগে, ভারত বাংলাদেশের উত্তরে প্রস্তাবিত তিস্তা নদীর ব্যাপক ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল, যেখানে চীন ইতিমধ্যে একশো কোটি ডলার ব্যয় করে প্রকল্পের জন্য একটি সমীক্ষা সম্পন্ন করেছে।
আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ছাগল-কাণ্ডে দুই পদই হারালেন মতিউর। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ছাগল-কাণ্ডে নিজের ছেলের পিতৃত্ব অস্বীকার করা মতিউর রহমান এক দিনেই দুটি পদ হারিয়েছেন। রোববার তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (শুল্ক ও আবগারি) ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের পদ ও রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও সরানো হয়েছে। মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানও শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, Wealth accumulation: Heaps of stocks expose Matiur’s wrongdoing (সম্পদ আহরণ: বিপুল পরিমাণ শেয়ার মতিউরের অন্যায়কে প্রকাশ করেছে)। প্রতিবেদনে বলা হয়, মতিউর রহমান শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। কিন্তু তিনি যে উপায়ে আবেদন করেছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সমকালের প্রধান শিরোনাম, সরকারি চাকুরের সম্পদের হিসাব যেন কাগুজে নিয়ম। প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ বছর পরপর সরকারি কর্মচারীর নিজ সম্পদ বিবরণী নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়ার কথা। তবে চাকরির সেই আচরণবিধি মানতে অর্থাৎ সম্পদের হিসাব দিতে সরকারি চাকরিজীবীর তেমন হেলদোল নেই। তাদের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থারও হিসাব নেওয়ার ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেই। দু’পক্ষের অনীহায় হিসাব দেয়ার বিষয়টি অনেকটাই ‘কাগুজে নিয়ম’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, বেনজীরের অব্যাহতি আবেদন নাকচ। প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।