অনলাইন
সাংবাদিকতা নিয়ে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বিএফইউজে ও ডিইউজে’র গভীর উদ্বেগ
স্টাফ রিপোর্টার
(৫ মাস আগে) ২২ জুন ২০২৪, শনিবার, ৫:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
সম্প্রতি সাংবাদিকতা নিয়ে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের পেশাজীবী সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ ও ডিইউজে'র সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু ক্ষমতাধর বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের বিপুল ও অস্বাভাবিক সম্পদের বিবরণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকরা প্রাপ্ত তথ্য, দলিল যাচাই বাছাই করে, প্রমাণযোগ্য বিষয়গুলোই প্রকাশ করছেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু এ সকল সংবাদ প্রকাশের পর কোন কোন নেতা এবং কোন কোন সংগঠন যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন তা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি বলে আমরা মনে করি।
আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকারি বিবৃতি, ভাষ্য, ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তথ্য বা সাংবাদিক সম্মেলনে পাওয়া সব তথ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য থেকেই সাংবাদিকরা সংবাদ তৈরি করেন। কিন্তু সাংবাদিকদের বড় কাজটি হচ্ছে, প্রভাবশালীরা যে তথ্য গোপন রাখতে চান তা অনুসন্ধান করে বের করা এবং পেশাদারিত্বের সাথে জনগণকে বিস্তারিত জানানো। আশার কথা, ইতোমধ্যে প্রভাবশালী মহল সম্পর্কে কিছু তথ্যভিত্তিক খবর প্রকাশিত হয়েছে।
আমরা এতে কারো উত্তেজিত হওয়ার কোন কারণ দেখছি না। এক্ষেত্রে যারা এসব খবর প্রকাশ করেছেন তাদের দায়িত্ব এ সকল বিষয় প্রমাণ করা এবং যাঁদের নামে প্রকাশিত হয়েছে তাদের কাজ হচ্ছে প্রকাশিত তথ্যগুলো সঠিক নয় তা প্রমাণ করা। এ ক্ষেত্রে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের দায়িত্ব প্রকাশিত তথ্য নিয়ে তদন্ত করা এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। এসকল বিষয় নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা কোন শোভন কাজ নয়। তারপরও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারেন। কোন কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়, কোন বাহিনীর বিষয় নয় বলে মনে করেন বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ।
বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ সাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বিএফইউজে ও ডিইউজে স্পষ্টভাবে জানাতে চায়, শত হুমকি ও ধমকের মুখেও প্রামাণিক তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিক সমাজ তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন।
সংশ্লিষ্ট সকল মহল স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকবেন বিএফইউজে ও ডিইউজে তাই প্রত্যাশা করে। কারণ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার সংবিধানেই স্বীকৃত।
এইরকম সাহসী বক্তব্যই সাংবাদিকদের থেকে দেশবাসী আশা করে। ধন্যবাদ বিএফইউজে ও ডিইউজের নেতৃবৃন্দসহ সকল সাংবাদিকদের।
অনেক কষ্টে সাংবাদিকরা আবার কলম ধরেছে। এই কলম কোন ধমকানোর মাধ্যমে থমকানো যাবে বলে মনে হয় না।
সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতিবাদ অনেকটা ঠাকুর ঘরে কেরে আমি কলা খাইনার মতো।
পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের শুরু থেকেই পদস্থ কমকর্তাদের বিভিন্ন সময় কথাবার্তা এবং বিবৃতিতে মনে হয় এটা যেন আওয়ামী লীগের একটি অংগ-সংঘটন যেমন এই সংঘটনের যিনি সভাপতি জনাব মনিরুল ইসলাম গত ৭ই জানুয়ারীর সংসদ নির্বাচনের আগে বিরোধী দল বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে যে বিবৃতি দিয়েছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে তিনি সুস্পষ্ট ও চরমভাবে চাকুরি বিধি লংঘন করেছেন আর আজকের সকল দৈনিক পত্রিকায় তাদের বিবৃতি পড়ে মনে হলো তারা সব কিছুইর ধরা ছোঁয়ার বাহিরে তাদের দুর্নীতির ব্যাপারে পত্রিকায় কিছু লিখা যাবে না।
আমরা দেশবাসী সকল হোমরা চোমরা দের দুর্নীতির চিত্র/খবর জানতে চাই - সাংবাদিক ভাইয়েরা কোন হুমকি ধামকিকে তোয়াক্কা করবেন না , আমরা আপনাদের পাশে আছি, দেশ খাদে পড়ে গেছে , দেশকে টেনে তুলতে হবরে।
অসত্যের কাছে কভূ নত নাহি হবে শির, ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর!