শেষের পাতা
ছুটি কাটিয়ে ঢাকামুখো মানুষের চাপ বাড়ছে
স্টাফ রিপোর্টার
২১ জুন ২০২৪, শুক্রবার
ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকামুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। এরইমধ্যে অনেকেই কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। যারা ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি নিয়েছিলেন তারাও আসতে শুরু করেছেন। তাই আগের দিনের চেয়ে গতকাল রাজধানীতে ফেরা মানুষের চাপ কিছুটা বেশি ছিল। আজ ও আগামীকাল এই চাপ আরও বাড়বে। গতকাল রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে মানুষের চাপ বেশি ছিল। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনেও ঢাকা ফেরত মানুষের চাপ ছিল। একইসঙ্গে কেউ কেউ আবার ঢাকা ছেড়েছেনও। তবে ফিরতি যাত্রায় তেমন কোনো ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়নি। ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয়ের কোনো খবরও আসেনি। এদিনও কড়া চেকিং ছিল স্টেশনে। টিকিট দেখিয়ে যাত্রীরা স্টেশন ত্যাগ করেছেন। স্টেশনের বাইরেও সিএনজি, রিকশা ও মোটরসাইকেলের জটলা ছিল। যাত্রীরা এসব বাহনে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। নাটোর থেকে ট্রেনে ঢাকা ফিরেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. ইকবাল। তিনি বলেন, ঈদ ভালো কেটেছে। পরিবারকে ছেড়ে আবার কর্মস্থলে ফিরে আসলাম। কিছুটা কষ্ট লাগছে। সব মিলিয়ে মাত্র ৪ দিন ছুটি পেয়েছি। আরও কিছুদিন ছুটি পেলে ভালো লাগতো।
নীলফামারী থেকে আসা আরেক যাত্রী বলেন, বাড়িতে যে ক’দিন ছিলাম আনন্দেই কেটেছে। এখন আবার কর্মব্যস্ততা শুরু। মহাখালী, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদেও গতকাল ঢাকামুখো যাত্রীদের চাপ ছিল। তাদের বেশির ভাগই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের পর কর্মস্থলে যোগ দিতে তারা ঢাকা আসছেন। বাড়তি ছুটি নেয়া অনেকেই পরিবার নিয়ে ঢাকা ফিরছেন। ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় ফেরত যাত্রী রাশেদ বলেন, ঈদের ছুটি মঙ্গলবার ছিল। কিন্তু গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় দেরিতে ফিরলাম। জামালপুর থেকে আসা আরেক যাত্রী বলেন, ঈদের পরপরই গ্রাম থেকে আসা যায় না। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে গিয়েছি গ্রামে। তাদের জন্য বৃহস্পতিবার আসতে হলো। সবার সঙ্গে ঈদ ভালো কেটেছে। গতকালও লঞ্চে ঢাকায় ফিরেছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। তবে পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে লঞ্চের আগের সেই ভিড় এখন আর নেই। গত রোববার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়। ছুটি শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। তবে ঈদের ছুটির সঙ্গে বুধ ও বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়ে টানা ৯ দিনের ছুটি কাটিয়েছেন অনেকে। অবশ্য অনেকেই ইতিমধ্যে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে ঈদের ছুটির পর অফিস- আদালত খোলা থাকলেও ঢাকার সড়কে যান চলাচল কম রয়েছে। এতে রাজধানীর সেই চিরচেনা যানজট এখনো তৈরি হয়নি। এ ছাড়া ঢাকায় পরিবহনও কম চলছে। এতে অফিসগামী মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই যাতায়াত করতে পারছেন।