অনলাইন
কমছে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রের ঘূর্ণন গতি, প্রভাব পড়তে পারে দিন-রাতের মেয়াদে
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ সপ্তাহ আগে) ১৭ জুন ২০২৪, সোমবার, ৫:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:২৪ অপরাহ্ন
![mzamin](uploads/news/main/114701_pr.jpg)
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রের ঘূর্ণনের গতি হ্রাস পেতে শুরু করেছিল ২০১০ সাল থেকে। তবে প্রভাব চোখে পড়তে শুরু করেছে সম্প্রতি। মনে করা হচ্ছে যে, দিন-রাতের মেয়াদে পরিবর্তন আসতে পারে। চল্লিশ বছরে সেই প্রথম জানা গিয়েছিল যে, গ্রহটির ম্যান্টল অংশের তুলনায় অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রের ঘূর্ণন গতি ক্রমশ কমছে। ম্যান্টল অংশটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৪,৮০০ কিলোমিটারেরও বেশি নিচে অবস্থিত। এখানে রয়েছে লোহা এবং নিকেল। আর সবথেকে বড় বিষয় হলো এই অংশটি অকল্পনীয় উষ্ণ। এই তথ্যের উপর গবেষণার জন্য ইউনিভার্সিটি অফ সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানী জন ভিদাল এবং তার সহকর্মীরা ১৯৯১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের আশেপাশে ১২১টি পুনরাবৃত্তিমূলক ভূমিকম্পের ডেটা এবং সেই সঙ্গে সোভিয়েত, ফরাসি এবং আমেরিকান পারমাণবিক পরীক্ষার ডেটা বিশ্লেষণ করেন।বিজ্ঞানী ভিদাল জানিয়েছেন, ‘যখন আমি প্রথম সিসমোগ্রামগুলি দেখেছিলাম যা থেকে এই পরিবর্তনের ইঙ্গিত পেয়েছিলাম, তখন আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু যখন আমরা একই প্যাটার্নের সংকেত আরো দুই ডজন পর্যবেক্ষণ খুঁজে পাই তখন এর ফলাফলটি অনিবার্য ছিল। জানা গিয়েছে, বহু দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ভিতরের কোরটি ধীর হয়ে গিয়েছিল।
গবেষকদের দাবি, এটি যদি ভবিষ্যতেও স্থায়ী হয়, তাহলে এর বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের স্থিতাবস্থা এবং সর্বোপরি দিন-রাতের মেয়াদের উপর। বিশেষ করে দিনের। ‘নেচার’ জার্নালে এই গবেষণার বিষয়বস্তু প্রকাশিত হয়েছে।
ভিডাল বলেছেন, অন্যান্য বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি অনুরূপ এবং ভিন্ন মডেলের জন্য যুক্তি দিয়েছেন, কিন্তু আমাদের সর্বশেষ গবেষণাটি সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য রেজোলিউশন প্রদান করে। এই বছরের শুরুর দিকে, নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছিল যে জলবায়ু পরিবর্তনে গ্রিনল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে যাওয়া, পৃথিবীর ঘূর্ণনকে প্রভাবিত করছে। ডানকান অ্যাগনিউ, ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া সান দিয়েগোর একজন ভূ-পদার্থবিজ্ঞানী এবং গবেষণার লেখক, দেখিয়েছেন যে পৃথিবীর তরল কোর তার ঘূর্ণনে হ্রাস পাচ্ছে। অ্যাগনিউ এর অনুসন্ধান অনুসারে, পৃথিবী দ্রুত ঘুরছে।
সূত্র : এনডিটিভি