ঢাকা, ২৬ জুন ২০২৪, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯ জিলহজ্জ ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

ঈদ আনন্দ বন্যায় ভেসে যাওয়ার শঙ্কায় তিস্তাপাড়ের মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
১৬ জুন ২০২৪, রবিবারmzamin

উজানের পাহাড়ি ঢলে রংপুরে তিস্তার পানি বাড়ছে হু-হু করে। তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া ও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। এতে করে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু ফসল জমি ও ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। বন্যার শঙ্কা তিস্তা পাড়ের মানুষের ঈদের আনন্দ ফিকে হয়ে যাচ্ছে। এদিকে বন্যা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। গতকাল সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার এবং ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে উজানে মাঝারি, ভারী ও অতিভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উজানের পানির চাপের কারণে তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্যারেজের সবক’টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। এতে করে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। গঙ্গাচড়া উপজেলার শংকরদহ গ্রামের পাট, ধান, ভুট্টা ও বাদামের ক্ষেত পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় ভেসে যাওয়ার ভয়ে অনেকে অপরিণত পাট কেটে ঘরে তুলছেন।

বিজ্ঞাপন
চরাঞ্চলে যেসব পুকুরে মাছ ছিল, বন্যার শঙ্কায় সেখানে জাল ও বাঁশের বাতা দিয়ে পুকুর ঘিরে রাখতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে চরের মানুষদের। বন্যা মোকাবিলায় অনেকে বাঁধের উপরে অস্থায়ী ঘর তুলে রেখেছেন। গ্রামের বাঁধে আশ্রিত রাবেয়া খাতুন বলেন, সকালে নদীর পানি ঘরোত ঢুকছিল, এ্যালা একনা পানি কমিল। এইবার হামার ঈদের আনন্দ মনে হয় পানিত ভাসি যাইবে। ওই এলাকার জাহিদুল মিয়া বলেন, সেইরকম বৃষ্টি না হইতেই নদীর পানি হামার ঘরোত ঢুকছে। এ্যালা যদি টানা বৃষ্টি হয়, তাহলে হামরা ভাসি যামো।

গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, নদীর তীরবর্তী এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু কিছু বাড়িতে পানি উঠেছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি হলে আমরা দ্রুতই দুর্গতদের সার্বিক সহযোগিতা করবো। কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক বলেন, তিস্তায় এখন পর্যন্ত বন্যার পূর্বাভাস পাওয়া যায়নি। এরপরেও সরকারিভাবে সবধরনের আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের খোঁজ-খবর রাখতে বলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে, আবার কমছে। তবে এখন পর্যন্ত বিপদসীমার নিচে পানি অবস্থান করছে। যদি বন্যা পরিস্থিতি কিংবা ভাঙন দেখা দেয়, তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status