বাংলারজমিন
মৌলভীবাজারে স্থায়ী পশুর হাটগুলো জমে উঠলেও অস্থায়ী হাট অনেকটাই ফাঁকা
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
১৬ জুন ২০২৪, রবিবারঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মৌলভীবাজার জেলায় স্থায়ী পশুর হাটগুলো ক্রেতা ও বিক্রেতায় সরগরম হয়ে উঠেছে। তবে অস্থায়ী কোরবানির হাটগুলো এখনো জমে ওঠেনি। সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দীঘিরপাড় বাজার স্থায়ী পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। শনিবার রাত পর্যন্ত মৌলভীবাজার পৌর এলাকার অস্থায়ী হাটসহ অধিকাংশ অস্থায়ী হাট অনেকটা ফাঁকা দেখা যায়। জেলার ৭ উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে প্রায় ৫০টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে স্থায়ী হাট রয়েছে ২১টি। ইতিমধ্যে স্থায়ী হাটগুলোতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খামারি ও পাইকাররা বিক্রির উদ্দেশ্যে তাদের লালন-পালন করা পশু নিয়ে বিক্রি করেছেন ও করছেন। সেইসঙ্গে আগে থেকে পছন্দের পশু কিনতে হাটে ভিড় করছেন ক্রেতারা। হাটে আসা ক্রেতারা চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী দরদাম করছেন। কোরবানির হাটে আসা ক্রেতা বলছেন বিগত সময়ের চেয়ে এই বছর কোরবানির পশুর দাম অনেকটা বেশি। তবে ক্ষুদ্র খামারি ও পাইকারা বলছেন. গোখাদ্যের দাম প্রতি বছরের মতো এবারো বাড়ায় পশুপালনে তাদের খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায় বাজারে সুস্থ পশু বিক্রির জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ প্রচারণার পাশাপাশি জেলায় ২৩টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে। জেলায় মোট খামার রয়েছে ৫৩৬৯টি। জেলায় কোরবানির পশুর মোট চাহিদা রয়েছে ৯৮ হাজার ৪ শত ৪২টি। স্থানীয় খামারিদের কাছে ৮৪ হাজার ৮শ’ ১২টি কোরবানির পশু মজুত রয়েছে। তবে ঘাটতি পশু অন্যান্য জেলা থেকে ও ঘরের পালিত পশু দিয়ে পূরণ হবে।