প্রবাস
মালয়েশিয়ায় মাত্র ৩২ রিঙ্গিতে ই-পাসপোর্ট সেবা দিচ্ছে ইএসকেল
আরিফুল ইসলাম, মালয়েশিয়া
(৭ মাস আগে) ১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:১৮ পূর্বাহ্ন
মাত্র ৩২ রিঙ্গিত সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাসপোর্ট আবেদন, ট্রাভেল পাস, ফরেন ভিসা সার্ভিস দিচ্ছে এক্সপাট সার্ভিসেস কুয়ালালামপুর (ইএসকেল)। মালেশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ননস্টপ সেবা দিতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত বেসরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংএর কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মদ কিয়াম উদ্দিনের উপস্থাপনায়, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত হাইকমিশনার মো: শামীম আসান এর সভাপতিত্বে এবং প্রধান অতিথি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা, সেবা বিভাগের সচিব মো: আব্দুল্লাহ আল-মাসুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) কুয়ালালামপুরে এক নবাজতক শিশুর এ্যানরোলমেন্টের মাধ্যমে শুরু হয় ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম।
গত সোমবার সরেজমিন পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, শুরু থেকে এ পর্যন্ত (১০ জুন ২০২৪) সার্ভিসেস এ প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ৫ হাজারেরও বেশী বাংলাদেশি তাদের সেবা নিতে আবেদন করেছেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাসপোর্টের আবেদন পত্র গ্রহণ করা হয়েছে, আবেদনকারীদের থেকে নেওয়া কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে।
এক্সপ্যাট সার্ভিসের পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন, মানবজমিনকে জানান, কল সেন্টার দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও, বর্তমানে যুক্ত হয়েছে বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সার্ভিস এবং পাসপোর্ট নেই এমন প্রবাসীদের জন্য ট্রাভেল পারমিট প্রদান, যা আগে সরাসরি হাইকমিশন থেকে সংগ্রহ করতে হতো প্রবাসীদের।
তিনি আরো জনিয়েছেন, স্পেসিফিক ভাবে বললে, ২৫ এপ্রিল থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৬৮ জন প্রবাসী ই-পাসপোর্টের আবেদন করেছেন এবং ট্রাভেল পারমিটের জন্য আবেদন করেছেন ২ হাজার ৫৮৫ জন। ই-পাসপোর্ট এবং ট্রাভেল পারমিটসহ মোট ৫ হাজার ৮৫৩ জন প্রবাসীকে এক্সপ্যাট সার্ভিস থেকে সেবা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১,৪১২ জন বিদেশি নাগরিককে ভিসা সেবাও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রবাসীদের ই-পাসপোর্ট সেবা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং পরিচালক অভিনেতা এসএম আরমান পারভেজ বলেন, 'এক্সপ্যাট সার্ভিস প্রবাসীদের জন্য জালান চানসো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে) প্রায় ১৪ হাজার বর্গফুট প্রশস্ত ওয়ান স্টপ সার্ভিসে সেন্টার, যেখানে একইসঙ্গে ৪৫টি কাউন্টারের মাধ্যমে চলছে এ সব সেবা।
সার্ভিসেস এ সেন্টারটিতে কোনো প্রবাসী পাসপোর্ট করতে চাইলে, ব্যাংক ড্রাফট থেকে শুরু করে, ফর্ম পূরণ পর্যন্ত সব কাজে সহযোগিতা করবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। সেবা গ্রহণকারী প্রবাসীদের প্রয়োজন হলে +৬০৩৯২১২০২৬৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এবং দ্রুততম সময়ে প্রবাসীদের দালাল মুক্ত আন্তরিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং পরিচালক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা এসএম আরমান পারভেজ।
এছাড়াও, মায়েশিয়ার রাজধানী, কুয়ালালামপুরের বাইরে একাধিক রাজ্যে, জহরবারু ও পেনাংয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে মোবাইল টিমের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে আসছে এ প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত 'ওয়ান স্টপ' সার্ভিসেস এ সেন্টারটির সার্বিক কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় পরিচালিত এবং সিসিটিভির মাধ্যমে ভিজ্যুয়ালি মনিটরিংকৃত।
গত সোমবার, সার্ভিসেস এ সেন্টারটিতে সেবা নিতে আসা কয়েকজন প্রবাসীর সাথে সরাসরি কথা বলে জানাগেছে, টিপটপ পরিবেশে সুশৃঙ্খল ভাবে, উন্নত দেশের মতো ৩০৫ রিঙ্গিতের বিনিময়ে ১০ বছরের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা প্রবাসে কত যে উপকারি তা বলে বোঝানো যাবে না। তবে ভবিষ্যতে, প্রতিষ্ঠানটির কর্মিদের ব্যবহার ও দক্ষতা, স্বল্পশিক্ষিত প্রবাসিদের সেবাকে আরো সহজ, দ্রুত এবং প্রাণবন্ত করতে তাদের ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে সেবার গুণগত মানের পরিবর্তন আনবে বলে প্রত্যাশা তাদের।