জিয়াউর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন: রিতা

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিভাগ বিএনপি আয়োজিত সেমিনার মানিকগঞ্জে অনুষ্ঠিত হওয়ায় উৎফুল্ল দলটির নেতাকর্মীরা। দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, লেখক, গবেষক, অধ্যাপক, সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনদের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এই প্রথমবারের মতো মানিকগঞ্জে বিএনপির বড় ধরনের সেমিনার অনুষ্ঠিত হলো। বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় মুন্নু সিটিতে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে  মানিকগঞ্জে পদার্পণ  করেই  শহরের সেওতা এলাকায় প্রতিষ্ঠিত জিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন করেন। সুসজ্জিত ও শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত পাঠাগার পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি অভিভূত হয়ে যান। পাঠাগারে প্রায় এক ঘণ্টা আড্ডা দেন দলীয় নেতৃবৃন্দ সহ পাঠাগার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। এ সময় পাঠাগারের প্রধান উপদেষ্টা আফরোজা খান রিতা একটি সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন মির্জা ফখরুল ইসলামের হাতে। পাশাপাশি জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামসহ কেন্দ্রীয় কমিটির আরো নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর বেলা সাড়ে তিনটায় মুন্নু সিটিতে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিভাগ বিএনপি আয়োজিত গণতন্ত্র উত্তরণ, মতপ্রকাশ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও  খাল খনন কর্মসূচিতে  জিয়াউর রহমানের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন। সন্ধ্যার পর প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব। এসময় ভার্চুয়ালি সেমিনারে আলোচকদের বক্তব্য শোনেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 
আলোচকরা জিয়াউর রহমানের জীবনী তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশের সার্বিক প্রেক্ষাপট ও বর্তমান শাসকদের সমালোচনার ঝড় তুলেন। সেমিনারের শুরুতেই মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মো. জামাল উদ্দিন। এরপর শুরু হয় দেশের খ্যাতনামা বিশিষ্ট  কয়েকজন আলোচকদের বক্তব্য। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ)  অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে  বক্তব্য রাখেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. তাজমেরী ইসলাম, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা, অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ,সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, অধ্যাপক ড. কামরুল হাসানসহ আরো কয়েকজন। অনুষ্ঠানের বিশেষ আলোচক মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা বলেন, আওয়ামী লীগের সেই বাকশাল পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে কেড়ে নিয়েছে, ভোটের অধিকার হরণ করে নিয়েছে। মানুষের কথা বলার অধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছে। ১৯৭৫ সালে যখন বাংলাদেশের পটপরিবর্তন আসে, খারাপ একটা অবস্থার মধ্যে দেশের মানুষ যখন দিশেহারা হয়ে যায় তখন জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব হয় পথপদর্শক হিসেবে। তিনি তখন বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেন।