অনলাইন
আদালতে লোহার খাঁচা রাষ্ট্রের কলঙ্ক: রব
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ মাস আগে) ১২ জুন ২০২৪, বুধবার, ৫:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৯ অপরাহ্ন
আদালত চিড়িয়াখানা নয় উল্লেখ করে- আদালত থেকে লোহার খাঁচা দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, লোহার খাঁচা হিংস্রতার প্রতীক। এটা শুধুমাত্র হিংস্র পশুর বেলায় ব্যবহার করা হয়। কোনোক্রমেই এটা মানুষের মর্যাদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আদালত
কোনো চিড়িয়াখানা নয়, আদালত হচ্ছে ন্যায় বিচারের প্রতিষ্ঠান। সুতরাং মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের আদালতে লোহার খাঁচা সংরক্ষণ করা- মুক্তিযুদ্ধের কলঙ্ক হিসেবে প্রতিভাত হচ্ছে। সরকার ভিন্ন মত-পথকে স্তব্ধ করার মাধ্যমে ভয়ঙ্কর ভয়-ভীতি ছড়িয়ে দেয়ার কৌশলে আদালতে লোহার খাঁচা প্রতিস্থাপন করেছে। এটা জাতির বুকে রক্তক্ষরণের নামান্তর। লোহার খাঁচা সরকারের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে এবং সরকারের স্বরূপ উন্মোচিত হচ্ছে। লোহার খাঁচার অমর্যাদার অগ্নি থেকে বাংলাদেশের গৌরব ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছেন না। প্রতিনিয়ত আদালতে হাজার-হাজার মানুষকে অমর্যাদার ভয়ঙ্করতায় ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
তারা বলেন, লোহার খাঁচার ব্যবহার- মুক্তিসংগ্রামের বিনিময়ে অর্জিত রাষ্ট্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে চরম সাংঘর্ষিক। মানুষের মানবিক মর্যাদা সুরক্ষার প্রশ্নে অতি দ্রুত সকল আদালত থেকে লোহার খাঁচা অপসারণ করে এই প্রশ্নের নিষ্পত্তি করতে হবে।
অত্যন্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কথা বলেছেন। এছাড়া আইনের কিছু ধারা রয়েছে যেমন ৪২০, ৫০৬ ইত্যাদির অপব্যবহার হচ্ছে, নিরপরাধ মানুষের উপর, তার উপর টাকা ক্ষমতা থাকলে পুরো আদালতের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ম্যানেজ করা যায়, ক্ষমতাশালীর মনমত সিদ্ধান্ত দেয় তারা। তার উপর মিথ্যা মামলা করে দিয়ে, ভুক্তভোগীকে খরচের বোঝা বহন করতে হয় বিনা অপরাধে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাংলায় তাঁর আদর্শের মানুষ খুবই কম রয়েছে, অধিকাংশ তার সাইনবোর্ড দিয়ে জোর জুলুম দূর্নীতি করছে।