খেলা
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য প্রস্তুত শরিফুল... তবে
স্পোর্টস রিপোর্টার, নিউ ইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র) থেকে
১২ জুন ২০২৪, বুধবার
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে পুরোদমে বোলিংয়ে ফিরেছেন শরিফুল ইসলাম। তবে তাকে ম্যাচ খেলানোর মতো পুরোপুরি ফিট মনে করেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে জায়গা হয়নি একাদশে। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র পর্ব শেষ হয়েছে বাংলাদেশের। সোমবার তারা মাঠ থেকেই চলে গেছে বিমানবন্দরে। সেখান থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিসেন্টে। এখানে গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচ খেলবে দল। নিউ ইয়র্কে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বোলিংয়ে ফিঙ্গারে আঘাত পেয়েছিলেন শরিফুল। সেখানে সেলাইও লেগেছে ছয়টি। তবে এত দ্রুত তিনি বল হাতে তুলে নিবেন সেটি কারও ভাবনাতেও ছিল না। দলের একটি সূত্র তখনই দৈনিক মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছিল যতই রিকভারি করুক আপাততো তারা ঝুঁকি নিবে না। প্রস্তত থাকলে হয়তো খেলানো হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সূত্রটি জানায়, ‘অবিশ্বাস্য দ্রুত ও রিকভারি করেছে শরিফুল। বলও করছে, কিন্তু আমরা ওকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না। ওর যদি মনের মধ্যে এক ভাগও ভয় থাকে তাহলে স্বাধীনভাবে খেলতে পারবে না। ও প্রস্তুত আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। দেখা যাক কবে খেলানো যায়।’ তবে শরিফুলের খেলা নিয়ে আছে আরও একটা সমস্যা। তার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া তানজিম সাকিব দারুণ বোলিং করছে। দুই ম্যাচেই তুলে নিয়েছে ৪ উইকেট। তাকে বাদ দিয়ে শেষ আটে যাওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জে শরিফুলের সুযোগ কতোটা দিবে দল! তবে তানজিম যুক্তরাষ্ট্রের যে দুই ভেন্যুতে উইকেট পেয়েছে তা নিয়ে আছে ভীষণ সমালোচনা। বিশেষ করে গতকাল নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টিতে তার ৩ উইকেট পাওয়ার পেছনে উইকেটের বড় ভূমিকা ছিল। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট একেবারেই ভিন্ন ও পরীক্ষিত। সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ দল আগে খেলেওনি। যে কারণে শেষ পর্যন্ত শরিফুল ফিট থাকলে ১৩ই জুন নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে তাকে দেখা যেতে পারে একাদশে। আর যদি ঝুঁকি না নেয়া হয় তাহলে ১৬ই জুন শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষেও শরিফুলকে খেলানো হবে। তবে সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতে গেলে হয়তো এই পেসারকে লম্বা বিশ্রাম দিয়ে শেষ আটে খেলানোর জন্য প্রস্তুত করা হতো। শেষ আটে খেলতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজে এই দুই ম্যাচ জিততে হবে টাইগারদের। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে থাকলেও কোনো সমীকরণের মাধ্যম ছাড়া শেষ আট নিশ্চিত করতে হলে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। তবে পরের একটি জিতলে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপের অন্যদের জয় পরাজয়ের উপর। বিশেষ করে এই গ্রুপে আরেক ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষের নাম নেদারল্যান্ডস। ২০২৩ ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই দলের বিপক্ষে হারের পোড়া দাগ এখনো শুকায়নি টাইগারদের মন থেকে।