প্রথম পাতা
মডেল হতে এসে অন্ধকার জগতে
মরিয়ম চম্পা
২৫ মে ২০২৪, শনিবারসেলেস্তি রহমান, ওরফে সেলে নিস্কি, ওরফে সিনথিয়া রহমান। আরও অনেক নাম রয়েছে তার। সেলেষ্টি রহমান চেয়েছিলেন মডেল হতে। কিন্তু পুরান ঢাকায় বেড়ে ওঠা এই তরুণী বিত্তশালী আকতারুজ্জামান শাহীনের খপ্পরে পড়েন। শাহীনের কথিত এই বান্ধবী তার হাত ধরে চলে যান অন্ধকার জগতে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সেলেষ্টি এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আকতারুজ্জামান শাহীনের গার্লফ্রেন্ড। শাহীন যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেন এবং তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রেই থাকে। তবে তিনি মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশে এলে সেলেষ্টিকে নিয়ে কলকাতায় প্রমোদভ্রমণে যেতেন। সেখানে কিছুদিন থেকে পরে দেশে চলে আসতেন। তাদের মধ্যে কয়েক বছর ধরেই প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় নাম আসা নারী সেলেষ্টি গত ১৩ই মে কলকাতায় এমপি আনার খুন হওয়ার পর ১৫ই মে ঢাকায় চলে আসেন প্রধান কিলার আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে একই ফ্লাইটে। শাহীনের এই বান্ধবী বিমানবন্দর থেকে চলে যান বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শাহীনের অভিজাত ফ্ল্যাটে। এমপি হত্যাকাণ্ড সফল হওয়ায় ওই রাতেই শাহীন সেখানে ফুর্তি পার্টির আয়োজন করেন। সেখানে মনোরঞ্জন করেন এই সেলেষ্টি ওরফে সেলে নিস্কি। এর আগে ৩০শে এপ্রিল শাহীনের সঙ্গে গিয়েছিলেন কলকাতায়। ১০ই মে শাহীন দেশে ফিরলেও সেলেষ্টিকে রাখা হয় কলকাতাতেই। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেলেষ্টি অবশ্য বিত্তশালীদের ডেরায় গিয়ে নিজেও থাকতেন রাজধানীর উত্তরাসহ বিভিন্ন অভিজাত এলাকার ফ্ল্যাট বাড়িতে। তাকে দিয়েই এমপি আনারকে কলকাতা নেয়ার ফাঁদ পাতেন খুনের মাস্টারমাইন্ড শাহীন। এখন পর্যন্ত এমনটাই ধারণা করছেন গোয়েন্দা সূত্র। সূত্র জানায়, হয়তো ওই হানি ট্র্যাপেই পা দিয়ে জীবন দিয়েছেন এমপি আনার।
তদন্ত সূত্র জানায়, সেলেষ্টির সঙ্গে নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠন পিবিসিপি’র সংযোগ রয়েছে। এমনই সংগঠনের সঙ্গে গোপন সংযোগ রেখে চলছেন তিনি। ওই তরুণীকে এরই মধ্যে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কলকাতায় এমপি আনার খুন হওয়ার পর শাহীনের বান্ধবী হিসেবে নাম আসে এই সেলেষ্টি রহমান এখন গোয়েন্দা হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন। ডিবি সূত্র জানায়, এমপি আনার খুনের সময়ে এই সেলেষ্টি কলকাতায় শাহীনের ভাড়া ফ্ল্যাটে অবস্থান করছিলেন। তবে যে ফ্লোরে হত্যাকাণ্ড ঘটে, সেখানে তিনি ছিলেন না। পরে হত্যার বিষয়টি বুঝতে পারেন। এখন পর্যন্ত হত্যায় সরাসরি তার সম্পৃক্ততা মেলেনি। দায়িত্বশীল এক সূত্র জানায়, কোনো সংসদ সদস্য দেশের বাইরে গেলে জাতীয় সংসদ সচিবালয়কে তা অবহিত করার নিয়ম থাকলেও আনার এক্ষেত্রে তা করেছিলেন কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। তাছাড়া কলকাতায় তার সঙ্গে গাড়িতে এক নারীও ছিল। সেই নারী সেলেষ্টি কি না, তদন্ত চলছে। এদিকে কলকাতায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সেলেষ্টি রহমানসহ তিনজনকে আদালতে তোলা হলে আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে তোলার সময় ক্যামেরা দেখে মুখ লুকাতে থাকেন সেলেষ্টি রহমান। পরে তাকে আদালতের ডকে তোলা হলে তিনি কাঁদতে থাকেন। আদালতে শুনানির আগে সেলেষ্টি রহমান বলেন, আমি কীভাবে আসামি হই, জিজ্ঞাসা করেন। আমি শুধু ওই বাসায় ছিলাম। তাছাড়া কিছুই জানি না। এ সময় হাউমাউ করে কান্না করতে দেখা যায় তাকে। রিমান্ড শুনানির একপর্যায়ে একজন আইনজীবী ওকালতনামায় তার সই নিতে গেলে ওই আইনজীবীকে সেলেষ্টি বলেন, আমি কেন স্বাক্ষর করবো? আমি কি আসামি নাকি? তিনি আরও বলেন, আমাকে এখানে কেন আনা হয়েছে, আমি জানতে চাই। আমাকে বলেছে সাক্ষী দিয়ে চলে যাবা। সেলেষ্টি এ সময় বলেন, আমি কিছু জানি না বলে নিশ্চিত করেছে সূত্র। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারত থেকে আসা দেশটির ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর চার সদস্যদের একটি দলের সঙ্গে এরই মধ্যে বৈঠক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ মানবজমিনকে বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিরা ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছেও একই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়া প্রত্যেকেই আনোয়ারুল আজিম হত্যাকাণ্ডে এবং তার মরদেহ গুম করার কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উঠে আসবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
যতক্ষণ পর্যন্ত একজন আরোপির অপরাধ সিদ্ধ বা প্রমাণিত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করা যায়না,কিন্তু এখানে দেখছি শিলাস্তি রহমান সম্পর্কিত প্রতিবেদন শেষে মন্তব্যকারীগণ তাকে অশ্লীল ইঙ্গিতপুর্ন মন্তব্যে জর্জরিত করছে যা একেবারেই অমানবিক,আশাকরি সম্পাদকমন্ডলী এব্যাপারে সদয় দৃষ্টিপাত করবেন
ওনার দোষ (গুণ ও হতে পারে) উনি চামড়া ব্যবসায়ী। বিস্তৃত জালে আটকা পড়েছেন।
বিনা পয়সায় চামড়ার ব্যবসা অধিক লাভ!
আহারে! আমি মনে করতাম এরকম দুলালীরা নিজে সৎ পথে ইনকাম করে বিলাস বহুল জীবন কাটায়। কিন্তু একি জানলাম আজ!