রূপগঞ্জে পাইকারি কাঁচাবাজার দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ ক্যাসিনো সেলিমের বিরুদ্ধে

চুক্তি ভঙ্গ করে জমির মালিক ক্যাসিনোকাণ্ডের সেলিম প্রধান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকার বিস্মিল্লাহ্ পাইকারি কাঁচাবাজার ও ফলের আড়ত দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে আড়াই কোটি টাকা চাঁদা আদায়েরও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। শুক্রবার পাইকারি কাঁচাবাজার ও জমির ভাড়াটিয়া মালিক মজিবুর রহমান কাঁচাবাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে আড়তের পরিচালক আয়ুব আলী, ব্যবস্থাপক মামুনুর রহমান, আড়তদার কবির হোসেন, আবু সাঈদ, আব্দুল মালেকসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে আড়তের মালিক মজিবুর রহমান বলেন, ২০১৯ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর রূপগঞ্জে আধুরিয়া মৌজার ১৮১, ১৯২, ২৬০, ২০০, ১৭৭, ৪০৯, ১৬৩, ৪৫৮ নং আরএস দাগের ১৬ বিঘা জমি মাসিক ৭ লাখ টাকা হারে জমি ভাড়া নিয়ে বিসমিল্লাহ পাইকারি কাঁচাবাজার ও ফলের আড়ত স্থাপন করি। ২০২১ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ১০ বছরের জন্য ভাড়া প্রদানে চুক্তিবদ্ধ হই। বর্তমানে পাইকারি কাঁচাবাজার ও ফলের আড়ত, মুদিমনিহারি, আদা, রসুন, পিয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ৩৫০টি দোকান রয়েছে। আড়তটি এখন জমে উঠেছে। আড়ত লাভজনক হওয়ায় চুক্তিভঙ্গ করে জমির মালিক ক্যাসিনোকাণ্ডের সেলিম প্রধান ও তার নিয়োজিত সন্ত্রাসীরা আড়তটি দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছে। আড়তদার নাছির উদ্দিন, আবুল কাশেম, আমিনুল, সোহেল ও তোফাজ্জলসহ শতাধিক আড়তদারকে জিম্মি করে ৫০ হাজার টাকা থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জোরপূর্বক আদায় করে প্রায় আড়াই কোটি টাকার চাঁদা আদায় করেছে। আড়তের কয়েকটি দোকানের ক্যাশবাক্স ভাঙচুর করে লুটপাট করেছে। আড়তদারদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে। সেলিম প্রধানের সঙ্গে নতুন করে আড়তদাররা চুক্তিবদ্ধ না হলে তাদেরকে এলাকাছাড়া করা হবে বলেও হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আড়ত মালিক মজিবুর রহমান রূপগঞ্জ থানায় জিডি করেছেন। রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, বিসমিল্লাহ পাইকারি কাঁচাবাজার ও ফলের আড়তে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আড়তে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সন্ত্রাসীরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন ছাড় দেয়া হবে না।