শেষের পাতা
কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুষ্টের পালন শিষ্টের দমন করছে
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ মে ২০২৪, শুক্রবারকেন্দ্রীয় ব্যাংক দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এখন সকালে একরকম নিয়ম করে, বিকালে আবার আরেকজনের কথা শুনে তা পরিবর্তন করে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন সমবায় সমিতিতে পরিণত হয়েছে। এখানে নিয়ন্ত্রণ ও পলিসি মেকিং আলাদা করা দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন করছে। ব্যাংক খাত ভঙ্গুর অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থার উন্নতি না হলে, প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কোনো লাভ হবে না। কারণ ব্যাংক খাত ঠিক না হলে, কর্মসংস্থান না বাড়লে, ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ। গতকাল রাজধানীর হোটেল লেকশোরে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য সামনে কী আছে’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এই আয়োজনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
তিনি বলেন, এই যে ঋণ পুনঃতফশিলে ডাউন পেমেন্ট আপনারা মাত্র ২ শতাংশে নিয়ে এসেছেন। এটার কোনো মানে হয়? আমার সময় ছিল প্রথমবার পুনঃতফশিলে ১০ শতাংশ, দ্বিতীয়বারে ২০ শতাংশ, তৃতীয়বার পুনঃতফসিল করলে ৩০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে। লোকজন ভয়ে তখন এ পরিস্থিতিতে যেতো না। এখন পুনঃতফসিল করতে মাত্র দুই শতাংশ দিতে হচ্ছে। অর্থাৎ ১ লাখ টাকার ঋণে সে মাত্র দুই হাজার টাকা দিয়েই ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারছে। এজন্য সবাই মহা আনন্দে এই পথে পা বাড়াচ্ছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন ব্যাংকের মালিক, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ মিলে একাকার হয়ে গেছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এই রকম নেই। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এমন পরিস্থিতি নেই। সেখানে রাজনীতিবিদরা কি ব্যাংক লোন করে বা ব্যবসায়ীরা কি ব্যাংক লোন করে? এখন রাজনীতিবিদ ব্যবসায়ী যদি ব্যাংক থেকে লোন করে তাহলে তো ব্যাংকের টাকা ফেরত দেবে না। এটা স্বাভাবিক।
ওরাতো এসেছেই লুটেপুটে খেয়ে দেশটাকে ধ্বংস করার জন্য।