প্রথম পাতা
বিজেপি’র ‘হিন্দুত্ব’ এজেন্ডায় শঙ্কিত ধর্মনিরপেক্ষরা- ড. এম সাখাওয়াত হোসেন
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবারভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে ১৯শে এপ্রিল ২০২৪। ৭ ধাপের এ নির্বাচন শেষ হবে ১লা জুন ২০২৪-এ। জুন মাসের ৪ তারিখে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল জানা যাবে। এ নির্বাচন, গত নির্বাচনের মতোই, হচ্ছে সম্পূর্ণ ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন)-এ। যদিও ইভিএম-এর ব্যবহার এবং এর বিভিন্ন সমস্যার কথা বিশেষ করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এ ধরনের মেশিনের ব্যবহার বিভিন্ন উন্নত দেশে আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করার ইতিহাস রয়েছে। ভারতেও ইভিএম-এর বিশ্বাসযোগ্যতা এই নির্বাচনের আগে জনস্বার্থে মামলা হলেও সুপ্রিম কোর্ট কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে নির্বাচন শুরুর পর কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই রায় দিয়েছে। এই রায় নিয়ে বিবোধী দলের সমর্থকদের মধ্যে যথেষ্ট অসন্তোষ যেমন রয়েছে তেমনি অসন্তোষ রয়েছে নাগরিক সমাজের মধ্যেও।
এবার লোকসভার ৫৪৫ আসনের মধ্যে ৫৪৩টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। ভারতের এই নির্বাচনকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক নির্বাচন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবারের ভোটার সংখ্যা ৯৬ কোটি ৯০ লক্ষ মাত্র। ৪ দফায় ৩৭৯ আসনে ইতিমধ্যেই ভোট সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০শে মে ২০২৪ (এ লেখা পর্যন্ত) পঞ্চম ধাপের ৪৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে (হয়েছে)। যাই হোক উপরের বিবরণ পাঠকদেরকে ভারতীয় নির্বাচন সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে উত্থাপিত মাত্র।
তবে এই প্রকল্পের প্রধান আলোচনা এবারের নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের বিচ্যুতি এবং নির্বাচন নিয়ে এ পর্যন্ত নানা ধরনের তর্ক বিতর্ক এবং সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে। এবারের নির্বাচনে জাতীয় পর্যায়ের এবং বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যভিত্তিক দলগুলোর প্রতিযোগিতা হলে মূল প্রতিযোগিতা হবে ক্ষমতাসীন বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি) এবং তাদের জোট এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স) এবং প্রধান বিরোধী দল আইএনসি (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস) এবং তাদের জোট আইএনডিএ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ভেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ এলায়েন্স)-এর মধ্যে। কংগ্রেস-এর সঙ্গে জোটে বেশিরভাগ বামদলসহ প্রায় ৪৪টি দল রছেয়ে। তবে পশ্চিম বাংলার প্রধান দল তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনপূর্ব জোটে নেই। স্মরণযোগ যে পশ্চিম বাংলায় ৪২টি আসন রয়েছে যার প্রত্যেকটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রয়েছে। তৃণমূলের প্রধান বিরোধী বিজেপি। কংগ্রেস এবং বাম দল কয়েকটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
ভারতের এবারের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বেশ অনিশ্চয়তা রয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দল এবং প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার। অপরদিকে বিরোধীরাও ভালো করবার আশাবাদী। অনেক অনিশ্চয়তা থাকলেও বিশ্লেষকদের মতে বিজেপি এককভাবে ২৭২ আসনে জয়ী না হলেও এনডিএ ক্ষমতায় ফিরবে তবে দুর্বল জোট হতে পারে। অপরদিকে বিজেপি এনডিএ ৪০০ আসনে জয়ী হতে সবধরনের প্রয়াস চালাচ্ছে। এরই মধ্যে বিজেপি তার ‘হিন্দুত্ব’ এজেন্ডাকে সামনে রেখে ৩৭০ আসন পার করলেই সংবিধান পরিবর্তন করে ‘ভারত’কে হিন্দুরাষ্ট্রে সাংবিধানিকভাবে পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়াতে ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ পন্থিরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
বিজেপি এবারে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রথমে বাবরী মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের মাধ্যমে সনাতন ধর্মীয়দের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগাবার উদ্দেশ্যকেই সামনে রেখেছিল। তবে রামমন্দির নির্মাণের পূর্বে যে উন্মাদনার কথা শোনা যেতো মন্দির উদ্বোধনের পরে সমগ্র ভারতব্যাপী তেমন উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে না। ভারতের একজন বিখ্যাত বিশ্লেষকের মতে ভগবান রাম-এর যে প্রভাব কট্টরপন্থি হিন্দু এবং হিন্দি অঞ্চলে (উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা এবং গুজরাট) রয়েছে তেমন অন্যান্য অঞ্চলে নেই। এ বিষয়টি সরকারি দল ও জোটকে ভাবিয়ে তুলেছে। কারণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজস্থানে এক প্রচারণা সমাবেশে সরাসরি সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে বিষোদগার উদগিরণ করেছেন তা এ পর্যন্ত ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী এমনভাবে প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেননি। শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার নিকটস্থ বলে পরিচিত আম্বানী ও আদানীকে নিয়েও নেতীবাচক মন্তব্য করেছে। নরেন্দ্র মোদীর এসব বক্তব্য নিয়ে ভারত এখন তোলপাড়। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে তৃতীয় দফা নির্বাচনের পর বিজেপি ও জোটের মধ্যে কিছুটা অস্থিরতা লক্ষণীয়।
এবারের নির্বাচন যেভাবে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি নিজেদের অনুকূলে আনবার চেষ্টায় অভূতপূর্ব নির্বাচনী আইন ও মডেল কোড অব কনডাক্ট বা মডেল আচরণবিধি ভঙ্গ করে চলেছে তার বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জমা পরলেও তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে তেমন তৎপর হতে দেখা যাচ্ছে না। এমনই অভিযোগ নাগরিক সমাজের একাংশ দ্বারা গঠিত আন্তর্জাতিক দূর-পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ। বিজেপি যেভাবে সাম্প্রদায়িক বক্তব্য অব্যাহত রেখেছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর খোলাখুলি সাম্প্রদায়িক বিবৃতির প্রেক্ষিতে প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বিজেপি প্রধানকে দায়সারা চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশন বেশ বিতর্কিত হচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত দিনগুলোতে ক্ষমতাসীনরা যেভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চেপে ধরেছে তাতে ভারতের বিচারালয় হতে নির্বাচন কমিশনও স্বাধীনভাবে কাজ করছে না বলে অভিযোগ। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের দু’জন কমিশনারের নিয়োগ এবং পদ্ধতির আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার হয়েছে বলে মনে করা হয়।
যেহেতু এবার গত নির্বাচনের মতো জাতীয়তাবাদের চেতনাকে ব্যবহার করবার মতো, ফুলওয়ামা-এর মতো, পাকিস্তান বিরোধী এজেন্ডা নেই তাই অন্যান্য ব্যর্থতা ঢাকতে ধর্মীয় কার্ড ব্যবহার করছে। ভারতে গত দশ বছরের মোদী সরকারের শাসনামলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভ্রান্ত ধারণা, শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে উত্তরোত্তর বেকার সমস্যার বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, নিম্নমুখী রুপীর মান এবং করোনাকালের অব্যবস্থা সবই প্রকট হয়ে উঠেছে। এ এসব জাতীয় ইস্যুকে পাশ কাটিয়ে ধর্মান্ধতার, হিন্দুত্ব বিষয়টিকেই জোর দিচ্ছে মোদি সরকারের এ প্রয়াসের সঙ্গে বলিউডের কিছু নির্মাতা যোগ দিয়েছিলেন কিন্তু বিষয়ভিত্তিক এসব চলচ্চিত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। তাই হিন্দুত্ব তত্ত্বে মোড়।
অপরদিকে সরকারি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো যেমন এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট, ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট এবং গোয়েন্দা সংস্থা ইত্যাদিকে সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে বলে দৃশ্যমান অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দু কেজরিওয়ালের এবং আম আদমী পার্টির উপ-মুখ্যমন্ত্রীসহ অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার ও জেলে প্রেরণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তথ্য প্রকাশ যে কেজরিওয়াল এনডিএ যোগ দেবার অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের পরই এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে কেজরিওয়ালের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হয়নি। নিম্ন আদালত তাকে বেল দেয়নি। তাকে ‘হাই প্রিজন’ তিহার জেল এ আটকের পর সুপ্রীম কোর্ট হতে জামিনে আছেন।
শুধু কেজরিওয়ালই নন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান হেমন্ত সোরেনকে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট) বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। অবশ্য গ্রেপ্তারের আগেই তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। ইডি এবং ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট পশ্চিম বাংলার তৃণমূলের প্রভাবশালী নেত্রী মহুয় মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।
সরকারি দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে বেশ অনেক যায়গায় ভয়ভীতি দেখিয়ে অথবা সামান্য কারণে মনোনয়নপত্র বাতিলের অভিযোগও রয়েছে। এমন অভিযোগ উঠেছে ‘সুরাট’-এর একটি আসনে। ওই আসনের প্রধান বিরোধী দলের প্রার্থীর বিভিন্ন অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল করলে অন্যান্যরা বিভিন্ন কারণে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় ওই আসনের বিজেপি প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশন সমালোচনার মুখে পড়েছে। তথ্যে আরও প্রকাশ অন্যান্য প্রার্থীরা ভয়ে আত্মগোপন করে রয়েছে (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস) অনেক জায়গায় কংগ্রেসের অনেক প্রার্থী বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে বিজেপিতে যোগদান করেছে। একইভাবে অরুণাচলের ৬০ আসনবিশিষ্ট রাজ্য সংসদে ১০ জন বিজেপি প্রার্থীর বিরোধিরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার বা বাতিল হবার কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ভারতের অতীত নির্বাচনে এমন ঘটনা বিরল।
এ ধরনের বহু অভিযোগ রয়েছে যার সিংহভাগ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশন প্রথম দফায় নির্বাচনের ১১ দিন পরে চাপে পরে, ভোটের হার প্রকাশিত করেছে। তবে তৃতীয় ধাপের পরেও পর্যবেক্ষক নাগরিক সমাজ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুরোধ এবং আপিল সত্ত্বেও ৩ ধাপের নির্বাচনের বৈধ ভোটার এবং ভোটারের সংখ্যা প্রকাশ করেনি বা করবার ইচ্ছাও প্রকাশ করেনি। নির্বাচন কমিশনের এ হেন কার্যকলাপকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্টরা। অভিযোগ উত্থাপিত অব্যাহত রয়েছে যে কিছু কিছু জায়গায় সংখ্যালঘু ভোটারদের ভোটার লিস্ট হতে বাদ দেয়া হয়েছে।
এবার ভারতের নির্বাচনে দুর্নীতি একটি প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষ করে ইলেকটোরাল বন্ড ইস্যু প্রকাশিত হবার পর হতে। এর মারফতে অজ্ঞাত ব্যক্তিও প্রতিষ্ঠান হতে বিশাল অঙ্ক রাজনৈতিক দলকে অনুদান দেয়া হয়েছে। এই অনুদানের মধ্যে সর্ব শীর্ষে বিজেপি প্রায় ৬ হাজারের বেশি কোটি রুপী। তৃতীয় স্থানে কংগ্রেস ১ হাজারের বেশি রুপি। অবশ্য ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট বিরোধী দলের অনাদায়ী করের অজুহাতে ফান্ড অকার্যকর করে রেখেছে যার মধ্যে অন্যতম কংগ্রেস পার্টি। এমন কি এবার ভারতের প্রচার মাধ্যমও অনেক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।
সংক্ষেপে মাত্র কিছু বর্ণিত বিবরণ হতে মনে হয় সরকারি দল বিজেপি পুনরায় ক্ষমতায় আসতে এবং সরকার গঠন করবার সম্ভাবনায় থাকলেও একক শক্তি নিয়ে সন্দিহান রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন অভিযোগের আবর্তে ভারতীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় যথেষ্ট ব্যত্যয় পরিলক্ষিত। এ ব্যবস্থাকে অকপটে এফো-এশিয়ায় রয়েছে। ভারত উদার গণতান্ত্রিক স্কেলে ১০৪ স্থানে রয়েছে বলে প্রকাশ। ভারতের এ অবস্থায় গণতান্ত্রিক বিশ্বের জন্য উদ্বেগজনক।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার, বর্তমানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এসআইপিজি-এর সিনিয়র ফেলো।
নিজের দেশ নিয়ে ভাবুন, অন্য দেশ নিয়ে ভাবার দরকার নেই। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা কেমন আছে?
ধর্মনিরপেক্ষতা আসলে একটি আই ওয়াশ।বাবরি মসজিদ কংগ্রেস আমলেই ধ্বংস করা করা হয়। হিন্দুত্বই ভারতের মুলনীতি। কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষতার জোব্বা পরা আর বিজেপি জোব্বাটা ফেলে দিয়েছে
যৌক্তিক বিশ্লেষণ। লেখককে ধন্যবাদ
ধর্মপন্থীদের উথ্বানে সব দেশের সেক্যুলার বা উদারপন্থীরা এবং বিপরীত সংখ্যালঘুরা শংকিত হোন -- এটা স্বাভাবিক প্রবণতা। ভারতে কংগ্রেসের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ যা দিনশেষে তোষনবাদী রাজনীতি ছিলো তা'র দিন শেষ হয়ে গেছে, বিশাল সংখ্যাগুরু সম্প্রাদায়ের ইচ্ছা - আখাংকাকে দমন-পীড়ন করে নেহেরু-ইন্দিরা-মনমোহন গং আর কতোদিন রাজত্ব চালাতে পারতেন। বরাবরের মতো এবারও কংগ্রেস জোট নীচেই অবস্হান করবে। আর মমতার রাজনীতিকে তো রাজনীতি বলা যায় না। তিনি কয়েকটি সভায় তো বলেছেন - হ্যাঁ, আমি মুসলমানদের তোয়াজ করি, যে গরু দুধ দেয় তার লাথি সহ্য করতে হয়। নেটে তার এই ভাষন পাবেন। মমতা আর হাসিনা কোম্পানির দূর্নীতি দেখে বুঝতে পারা দায় -- কে কাকে দেখে শিখছে। তবে খুব দ্রুতই মমতার হিন্দু সমর্থন কমে যাচ্ছে এবং যাবে। মমতার পতনটা একটু দেরীতে হবে কিন্তু তার আগেই হয়তো তিহার জেলে বেরিয়ে আসতে হবে। জনাব সাখাওয়াত যতোটুকু বিশ্লেষন করলেন, তার আমলে তিনি ততোটুক দায়িত্ব পালন করতে পারেন নাই, তাপরও ইদানিংকার অনেক নির্বাচন কমিশনার চেয়ে জনাব সাখাওয়াত যথেষ্ট আন্তরিক এবং সবচেয়ে বড় কথা তাঁর লজ্জাবোধ রয়েছে।