বাংলারজমিন
পাথরঘাটায় মাছের পাইকারকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবারবরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি পাইকারি মৎস্য বাজারের মাহাবুব আলম নামের এক মাছের পাইকারকে তুলে নিয়ে ৪ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পাথরঘাটা মৎস্য পাইকার সমিতির সভাপতি শাফায়েত হোসেন গতকাল বেলা ১০টার সময় সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় পাথরঘাটা থানায় একটি মামলার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি।
নির্যাতিত মাহাবুব আলম জানান, তিনি ১০ বছর ধরে পাথরঘাটা বিএফডিসি মাছ বাজারে পাইকারি মাছ বেচাকেনা করছেন। প্রত্যেক আড়তদার এবং পাইকারদের মধ্যে দেনা-পাওনা রয়েছে। পাথরঘাটা মাছ বাজারের সেলিম আড়তদার তার কাছে কিছু টাকা পাবেন। ওই টাকা তিনি পরিশোধ করলেও সেলিম আড়তদার তার খাতায় জমা করেনি। পুনরায় তার কাছে টাকা দাবি করেন তিনি। এর জেরে গত সোমবার সেলিম লোকজন নিয়ে তাকে মাছের বাজার থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর সেলিমের দোকানের ভিতরে আটকে রেখে ৪ ঘণ্টা ধরে মারধর করেছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জমাদ্দারকে জানালে তিনি সাদা স্ট্যাম্পে লেখা পড়ে দিয়ে যেতে বলেন। এ সময় তাদের নির্যাতনে মাহাবুব অসুস্থ হয়ে পড়লে বেলা ২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শাফায়েত হোসেন জানান, এই পাইকারি মৎস্য বাজারে তাদের তিনটি সমিতি চালু আছে। তারা এই মাছ বাজারের সকল দেনা- পাওনার সালিশ ব্যবস্থা করেন। আড়তদার সেলিম সেখানে বিচার না দিয়ে একজন পাইকারের শরীরে হাত দিয়ে মারাত্মক অপরাধ করেছেন। এ কারণে ওই আড়তদারের সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তার কাছ থেকে সকল ধরনের মাছ বেচাকেনা বন্ধ রাখবেন বলেও তিনি জানান। অভিযুক্ত আমীর হোসেন সেলিম জানান, মাহাবুবের কাছে আমি টাকা পাবো। তা বারবার চাওয়া সত্ত্বেও তিনি আমার টাকা পরিশোধ করেনি। এজন্য তাকে আমি ঘরে বসিয়ে রেখেছি। পরে আড়তদার সমিতির অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পাথরঘাটা থানার ওসি মো. আল মামুন জানান, বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।