বাংলারজমিন
মা হারানো শিশু জায়েদ নতুন ঠিকানায়
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে
২২ মে ২০২৪, বুধবার
ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যুর পর শিশু জায়েদ হাসান পেয়েছেন নতুন ঠিকানা। মা মারা যাওয়ার পর তার কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছিল হাসপাতাল। ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয় দুশ্চিন্তা। মামা রবিন মিয়া প্রথমে শিশুটিকে নিতে চাইলেও পরে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেন। ওই অবস্থায় শিশু কল্যাণ বোর্ড শিশুটিকে নতুন একটি পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার সভা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়। পরে সোমবার রাতে গোপনীয়তা বজায় রেখে নতুন পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জায়েদকে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে গত ৯ই মে রাত থেকে চিকিৎসাধীন ছিল জায়েদ। রোববার বেলা ১২টায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় ১০টি আবেদন নিয়ে আলোচনা হয়ে দু’টি আবেদন নিয়ে অধিকতর পর্যালোচনা করা হয়।
বাচ্চাটি কার কাছে ভালো থাকবে, আবেদনকারীদের আন্তরিকতা, ভবিষ্যতের বিষয়টি মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রশাসন জানায়, শিশুটিকে হস্তান্তরের বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ছিল। বিষয়টি নিয়ে সরজমিন যাচাই-বাছাই করা হয়। শিশুটির মামার পক্ষে নিজের তিন সন্তানের পাশাপাশি জায়েদকে লালন পালন সম্ভব নয়। মামা শিশুটিকে নেয়ার বিষয়ে অনাগ্রহ প্রকাশ করে লিখিত আবেদন করেন। জানা যায়, শিশু জায়েদকে দত্তক নেয়ার জন্য ১০টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে প্রাথমিক পর্যালোচনায় দু’টি আবেদনকে অধিকতর যাচাই-বাছাই করে বিত্তবান একটি পরিবারকে হস্তান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বিবেচনার ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের পরিবার, সামাজিক, পেশা ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করা হয়। শিশু কল্যাণ বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপ-পরিচালক আ. কাইয়ুম বলেন, একটি নিঃসন্তান ধনাঢ্য পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। শিশুটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সেই পরিবারটি সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে চাননি।