অনলাইন
জেনারেল আজিজের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশে চাঞ্চল্য
স্টাফ রিপোর্টার
(৮ মাস আগে) ২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খবরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে খবরটি এসেছে ভোররাতে। তখন বাংলাদেশের মানুষ সবাই ঘুমিয়ে। ঘুম থেকে উঠে তারা এই আলোড়ন সৃষ্টিকারী খবরটি দেখতে পান। জেনারেল আজিজ ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই আলোচিত। যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগেই তার ওপর নজর রাখছিল। ডনাল্ড লু’র সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের পর সবাই ধারণা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বোধ করি সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যে তার নীতিতে অটল থাকে এটা তারই প্রমাণ। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বৈঠকের সময় ডনাল্ড লু আরও কিছু বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন। তার সফরের পর সরকারি মহলে যথেষ্ট উচ্ছ্বাস ছিল। বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। নানা সূত্রের খবর, পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বিদেশে যারা টাকা পাচার করেছেন তাদের ওপর। যদিও এর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি।
ওদিকে আসলে জেনারেল আজিজের ভিসা বাতিল হয় ২০২১ সনে। তখন তার পরিবারের সদস্যদের ভিসা বাতিলের খবর ছিল না। ২০২১ সনের ১১ ডিসেম্বর মানবজমিনই প্রথম এ খবরটি প্রচার করে।
তখন খবরে বলা হয়-
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে যুক্তরাষ্ট্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তার মার্কিন ভিসা বাতিল করা হয়েছে । এক পত্র মারফত জেনারেল আজিজকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আল জাজিরায় জেনারেল আজিজের দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের খবর প্রচারের পর যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ নামে রিপোর্টটি প্রচার করে আল জাজিরা।

এতে সামি (ছদ্মনাম) নামের হাঙ্গেরিতে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির সহায়তায় হারিস আহমেদ নামের এক ‘আসামি’র পরিচয় প্রকাশ করা হয়। হারিস বুদাপেস্টে ‘মোহাম্মদ হাসান’ নামে বসবাস করছিলেন। তিনি আজিজ আহমেদের ভাই। আহমেদ পরিবারের বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধেও নানা অপকর্মের অভিযোগ প্রকাশ করা হয়। আজিজ আহমেদ অবশ্য তখন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
উল্লেখ্য, জেনারেল আজিজ আহমেদ ২০২১ সালের ২৪শে জুন অবসরে যান।
পাঠকের মতামত
এসব নিষেধাজ্ঞা নিষিদ্ধ ব্যাক্তিরা থোড়াই কেয়ার করবে। বাংলাদেশ সরকার আছে তাদের পাশে এবং বিকল্প ব্যাবস্থাও আছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান একটা বাতিল মালের চেয়ে বেশি কিছু নয়।
100%সত্য ঘটনা কোন ভোট দেওয়া হয়নী
এদের শতকোটি টাকা আছে সমস্যা কি?
আলহামদুলিল্লাহ অত্যন্ত খুশির সংবাদ।
Corrupt and shameless....
এইরকম হাজার হাজার আজিজ বাংলাদেশে আছে
So what ?
SUBHAN ALLAH..............ALHAMDULILLAH............
Shame!
Next ?
সবেতো শুরু, আরও আসবে।
আজিজের দূর্নীতির সহযোগি কর্তাব্যক্তিদের মনোস্তাপ জানার উপায় খুঁজতে নিবেদন রইলো।
এতো হালকা নিষেধাজ্ঞা দেখে আমরা বিস্মিত হচ্ছি কেন ইউ এস এই পদক্ষেপ নিল এতদিন পর। আজিজকে সাধারণ ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কি আটকানো যাবে!!
আজিজের নিষিদ্ধ বেনজির কখন নিষিদ্ধ হবে সেটা আরও জরুরী।।
এটা খুবই লজ্জার বিষয় যে বাংলাদেশে এমন ব্যক্তিকে সেনাপ্রধান করা হয় যার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যারা নিয়োগকারী তাদের লজ্জা হওয়া উচিৎ। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজিজ সাহেবের খুনী ভাইয়েরা এখন কোথায়?
the entire accussed who smuggled money from bangladesh should be brought under american sanctions