অনলাইন
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ ও তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ
কূটনৈতিক রিপোর্টার
(৮ মাস আগে) ২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ৭:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:২৮ অপরাহ্ন

দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাপক সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোরে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বাইডেন প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তটি প্রকাশ করে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে জেনারেল আজিজ ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
বিবৃতিতে স্পষ্ট করেই বলা হয়, জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। এ দেশে সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর পথ প্রশস্ত হলো। সেই সঙ্গে ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার বিষয়টি খোলাসা হলো। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে উদ্বৃত করে প্রচারিত বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যাপক দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে, পূর্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হলেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তার (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণ আস্থাহীন হয়ে পড়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, আজিজ আহমেদ তার এক ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতি করেন। এছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তার ভাইদের ঘনিষ্ঠভাবে সহায়তা করেন। তিনি নিজের স্বার্থ তথা সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে বিরাট অঙ্কের ঘুষ নেন।
উল্লেখ্য, আজিজ আহমেদের মার্কিন ভিসা বাতিল নিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানবজমিন-এ প্রথম রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল।
পাঠকের মতামত
মাস্টার মাইন্ডের উপর স্যাংকশন না দিয়ে নিরীহ চুনোপুঠির পিছনে লাগছে যুক্তরাষ্ট্র ।
প্রতিদিন (হিতৈষী) নেতৃত্ব স্যাংশন,স্যাংশন মূল্যহীন, স্যাংশন আমরা কেয়ার করিনা বলতে, বলতেই আবার স্যাংশন আসা শুরু হয়েছে /করেছে।... দেশের সবকিছুতেই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন প্রয়োজন?
There must be sanctions on the gang leader. We all know who that person is.
যুক্তরাষ্ট্র তো স্বর্ণ নয় । তাহলে এত হুতাশ করার কারণ কি ? ইউরোপের অনেক দেশেই তো বেড়ানোর সুযোগ আছে । বেশি আলোচনা দেখে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করে । চুপচাপ থাকলে তারা বুঝবে তাদের এই সব নিষেধাজ্ঞা মূল্য হীন।
অনেক দিন পরে এলে .......
তারপরে কে? কাকের চিৎকার শোনা যাচ্ছে!
তলে তলে সব ঠিক।
ক্ষমতা থাকলে বর্তমান প্রশাসনিক ক্যাডারের সর্বোচ্চ ২/৪ জন ব্যাক্তিদের উপর নিষিদ্ধ করা হোক।
শুধু এতেই হবে না। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জোরালো ভূমিকা চাই। এ দায় আপনাদের। আপনাদের কারণেই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। এটাতে একটা জিনিস প্রমান হলো আজ যারা দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করছে তারা ৪, ৫, ৬ - ৫০ বছর পর হলেও সাজা পাবেই।
আমেরিকায় নিষেধ মানে কানাডাতেও বন্ধ। অন্য দেশগুলোও তাঁকে আটকাতে পারে যদি কেউ তার ব্যাপারে রিপোর্ট করে এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশনে।
একটা ভালো খবর,খুশি হয়েছি
কথা ছিল,জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ না হতে যারা জড়িত থাকবে তাদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিবে, সেখানে কিছুই করতে না পেরে, প্রায় ৪ বছর আগে অবসরে যাওয়া জেনারেল আজিজকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিজেদের মুখ রক্ষার চেষ্টা ছাড়া এটা আর কিছুই না। গত নির্বাচনে জেনারেল আজিজের কোন ভুমিকাই ছিল না।
খুবই ভালো খবর
এর মাধ্যমে গনতন্ত্র উদ্ধারের কোন সুযোগ নেই।
মার্কিন ভিসা বাতিল হয়েছে তাতে কি হয়েছে বুঝলাম না। আমেরিকায় না গেলে কি হয়।
এদের বিচার হবেই হবে ইনশাআল্লাহ
বুঝলাম, জাতির পিতাকে খুন করে আমেরিকায় সসন্মানে থাকা যায় কিন্তু দুরনীতি করে আমেরিকায় থাকা যায় না। কি আজব কারবার রে বাবা।
বাংলাদেশের প্রতি কেমন যেনো গরু মেরে জুতা দান টাইপের কাজ করছে আমেরিকা। গনতন্ত্র, মানবাধিকার এর ধুয়া তুলে এ টাইপের আগাছা কর্তনে আদৌ কি লাভ।
এদের ও এদের গং দের চেহারা দেখলে বুঝা যায় এরা কি জিনিস।
Alhamdulillah
আমিও ভিসা আতংকে আছি
Very sad news for the nation.
where is he ? now ?
সুখবর পাইলাম। আমি অত্যন্ত আনন্দিত।