দেশ বিদেশ
উপজেলা নির্বাচন
দেলদুয়ারে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের সভায় হট্টগোল
দেলদুয়ার (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১৮ মে ২০২৪, শনিবারটাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ৩য় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একক প্রার্থী ঘোষণার চেষ্টায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর ছোট ভাই মুজিবুল ইসলাম পান্নার সভায় হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সদরে প্রতিমন্ত্রীর বাস ভবনে ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মাহমুদুল হাসান মারুফ। নৌকার বিপক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ওই সময় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেই প্রার্থীকেই পুনরায় চেয়ারম্যান বানাতে সরাসরি পক্ষ নেন পান্না। সেই লক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি-সম্পাদকসহ যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা আহ্বান করেন প্রতিমন্ত্রীর ভাই। সভায় মারুফের পক্ষে নেতাকর্মী ও অন্য প্রার্থীদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করা হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হকের সঙ্গে পান্নার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একপর্যায়ে সভাপতি সভা বয়কট করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মল্লিক বলেন, নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে আছেন। আমি নির্বাচন চালিয়ে যাবো। নির্বাচনে জয় পরাজয় যাই হোক আমি মাঠ ছাড়বো না। আরেক প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতোয়ার রহমান ইকবাল বলেন, কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত না করে আমি নির্বাচন শেষ অবধি চালিয়েই যাবো। সভায় হট্টগোলের কারণে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভার কর্মকাণ্ড সমাপ্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মারুফ বলেন, কোনো একক প্রার্থীর পক্ষে সভা আহ্বান এমন অভিযোগ সঠিক নয়। সভায় কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে তা সমঝোতা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী এম শিবলি সাদিক বলেন, তারা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্বাচনে পছন্দের ব্যক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রীর ভাই পান্না নির্বাচনের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। এতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা হতাশ। এ ব্যাপারে জানতে পান্নার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।