অনলাইন
আমি মোটামুটি মধ্যবিত্ত, ওষুধ কিনতে পারি না কেন: প্রশ্ন অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের
অনলাইন ডেস্ক
(১১ মাস আগে) ১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার, ৪:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:০২ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার, অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ৯ই মে রাজশাহীতে মাদরাসা ময়দানে পাঁচবার বলেছিলেন, আমি কী চাই? সামগ্রিকভাবে একটি কথাই বলেছিলেন। বাংলার মানুষ খেতে পারবে, পরতে পারবে, মুক্ত হাওয়ায় বসবাস করবে, প্রাণ খুলে হাসতে পারবে। আমি কি হাসতে পারি এখন? বাজারে গেলে বাজার করতে পারি না কেন? আমিতো মোটামুটি মধ্যবিত্ত, সামাজিক পরিচিতি আমার আছে। আমি ওষুধ কিনতে পারি না কেন? ওষুধের দাম কত ভাগ বেড়েছে? বাড়বেই? শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)-এর আয়োজনে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন-যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা দেশে আসার পরে আমাদের অনেক কিছু হয়েছে, আমরা অনেক কিছু পেয়েছি। দেশ বিশ্বের দরবারে উন্নত মর্যাদার দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কিন্তু তার প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির সমীকরণ এখনো এক হয়নি। তিনি আরও চান। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, তার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে, এটি অনস্বীকার্য। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো উন্নয়ন হয়নি কারণ বৈষম্য রেখে উন্নয়ন হয় না। সাম্প্রতিক বাজেটে অর্থাৎ আমলাতান্ত্রিক বাজেটে বৈষম্য কমানোর কোন উদ্যোগ নেই। গতকাল এফবিসিসিআই এর সভাপতি বললেন, বিশ্ব ব্যাংক আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মনীতি বারবার পাল্টানোর ফলে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কেন?
এই অধ্যাপক বলেন, আমি সপ্তাহে ৫ দিন আমার অফিসে যাই। মিরপুর ১২ নম্বরে সেনানিবাসে। যে পথ দিয়ে আমি যাই, মাটিকাটা... সেখানে গেলে আপনারা দেখবেন হারুণ মোল্লা উড়াল সড়ক। আবার নিচ দিয়ে পথও আছে। দুটো কার (প্রাইভেট কার) একই সঙ্গে ছেড়েছে। আমার প্রশ্ন হলো, নিচ দিয়ে যদি আমি যাই, আড়াই মিনিট কম সময় লাগে। উপর দিয়ে গেলে আড়াই মিনিট সময় বেশি লাগে। এই অর্থ জনগণের অর্থ, কেন খরচ করা হয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার হাতেই প্রকল্পগুলো অনুমোদিত হয়েছে। আপনি উত্তর দিন।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে অধ্যাপক আনোয়ার বলেন, আপনি কয়দিন আগে বলেছেন, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প আর অনুমোদন দেবেন না। তাহলে কি এতদিন আপনি অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প অনুমোদন করেছেন? আপনি বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে হাঁটছেন। তাহলে সেই বাংলাদেশে আমি কেন খেতে পারবো না, বাজার করতে পারবো না, ওষুধ কিনতে পারবো না? মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত আমাদের এই দেশ, ৩০ লাখ শহীদ, চার লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই দেশ। এই দেশতো ছিনতাই হয়েছিল। শেখ হাসিনা এসে উদ্ধার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন কেন ১০৮ বার পিছিয়েছে। মহামান্য আদালত কেন মানলো! নারায়ণগঞ্জের ত্বকি হত্যার মূল আসামি আমার চোখের সামনে চলাফেরা করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে বিচার চাই। মিতু হত্যার একটু নাড়াচাড়া হয়। তনু কুমিল্লা সেনানিবাসে হত্যা হয়েছিল। আমি চাই আপনি খুনের বিচার করুন। আমি সাগর-রুনি, ত্বকি, তনু, মিতু হত্যার বিচার চাই। আপনি দেশটাকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়েছেন। আমি আমার প্রত্যাশা প্রাপ্তির সমীকরণ চাই।
পাঠকের মতামত
আপনি সময়ের সাথে নিজেকে পরিবর্তন করতে না পারা একজন ব্যর্থ মানুষ।
মুক্ত হাওয়ায় হাসতে গেলে মানবাধিকার উন্নয়ন চাই। প্রকৃত শিক্ষা চাই। সমাজ এবং রাষ্ট্র তা দিতে পারছে না।
এক শ্রেণীর লোকের হাতে কোটি কোটি টাকা,সাধারন মানুষের হাতে ঔষধ কেনার টাকা নাই।
আনোয়ার হোসেনের মতো লোকেরাও দেশের এই দুরবস্থার জন্য দায়ী। তাঁরা মূল সমস্যার কথা বলে না। ইনিয়ে বিনিয়ে এক কথাই বলে। ওয়াসার একজন অযোগ্য এমডি এত বছর পদে থাকে কোন খুঁটি ধরে? আব্দুল হাই বাচ্চু কোন খুঁটির জোরে ঘুরে বেড়ায়? ব্যাংক লুটেরাদের খুঁটির জোর কোথায়? এসব কি আনোয়ার সাহেবরা বুঝেন না?
অন্ততঃ একজন সাহসী বুদ্ধিজীবী পাওয়া গেলো যিনি তেলের ড্রাম নিয়েও কিছু অপ্রিয় সত্য উচ্চারণ করলেন।
কম্বোডিয়া পদ্ধতিতে চললে সামনে আরো কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।
আর কদিন পরে মানুষ পাচ বেলা খাবে!
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের (অধ্যক্ষ থেকে আয়া)মাসিক চিকিৎসা ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা।এই ৫০০ টাকা দিয়ে কোন দেশে কোন দুনিয়ায় ঔষধ, চিকিৎসা করানো সম্ভব?
বাজার ব্যবস্থা, প্রশাসন, রাজনীতি কোথাও কি সরকারের নিয়ন্ত্রণ আছে? ৮৫% জনগন শুধু বাজেট কাটছাট করে কোনমতে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছে আর ৩-৫% লুটেরারা সব লুটে নিয়ে দেশটাকে ফোকলা আর সরকারকে জনবিমুখ করছে। বাকীরা ড. আনোয়ার স্যারদের দলে এইআর কি! সবই মুক্ত বাজার অর্থনীতির খোলা মাঠের খেলা! রেফারী শুধুই নিরব দর্শক মাত্র! খেলা রাম খেলে যা!
সাধারণ মানুষ শুধু ডিম আলু পেয়াজ বা তরমুজের বাজারে সিন্ডিকেট দেখে কিন্তু প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রি নিজেরাই নিজেদের মধ্যে সিন্ডিকেট করে সাধারণ মানুষের গলায় ছুড়ি চালাচ্ছে। হার্টের একটি অতিপ্রয়োজনীয় ঔষধ দাম বাড়ার পরও ১২৫ টাকায় কিনতাম গত কয়েকদিন আগে এক লাফে ২২০ টাকা। মানুষ বাধ্য হয়ে ঔষধ সেবনেও কাটছাট করছে। কিছুদিন আগে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বলা হলো ঔষধের দাম কমাতেই হবে। ব্যস অতটুকুই সার। এরপর নীরবে আরো একধাপ বাড়ানো হয়েছে।
গ্রামের অর্থনীতি পাল্টে গেছে। যারা একবেলা ভাত খেতে পারত না, তারা চারবেলা খায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা. তিনি বলেন, আগে হাটবারের বাইরে কিছু পাওয়া যেত না, এখন সুপার মার্কেট হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি যত বেশি মজবুত হচ্ছে, শিল্প কলকারখানা বাড়ছে। শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, অনেকের অনেক বড় বড় ডিগ্রি আছে। আমার কিন্তু তা নেই। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেছি। অর্থনীতির সূক্ষ্ম ও জটিল বিষয়াদি আপনাদের মতো আমি বুঝি না। এতটুকু বুঝি কীভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়। কীভাবে মানুষের উপকার হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা