বিশ্বজমিন
তীব্র গরমে ফিলিপাইনে জেগে উঠলো ৩০০ বছরের পুরনো শহর
মানবজমিন ডেস্ক
১ মে ২০২৪, বুধবারপ্রচণ্ড গরমে ফিলিপাইনের একটি বড় বাঁধের পানির অনেকটাই শুকিয়ে গেছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে জেগে উঠেছে একটি পুরনো শহর। একে সেখানে পানিতে তলিয়ে যাওয়া একটি শহরের ধ্বংসাবশেষ বলেই মনে হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, পান্তাবাঙ্গান নামের ওই শহর ৩০০ বছরের পুরনো। ১৯৭০-এর দশকে পানি সংরক্ষণের জন্য কৃত্রিম জলাধার তৈরির সময় শহরটি পানিতে তলিয়ে যায়। আবহাওয়া যখন অনেক শুষ্ক ও গরম থাকে, তখন বাঁধের পানি শুকিয়ে শহরটি কখনো কখনো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে, যা বিরল ঘটনা। বাঁধগুলো দেখভালকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রকৌশলী মারলন পালাদিন বলেন, তলিয়ে যাওয়া শহরটি আগে দৃশ্যমান হলেও এবারের মতো এতটা দৃশ্যমান হয়নি। ফিলিপাইনে এখন গরম ও শুষ্ক মৌসুম চলছে। এল নিনোর (প্রশান্ত মহাসাগরের পানি অস্বাভাবিক রকমের উষ্ণ হয়ে ওঠা) প্রভাবে সেখানে গরমের তীব্রতা বেড়েছে।
কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌঁছেছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে লাখ লাখ মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল। চাকরিজীবীদের কর্মস্থলে না গিয়ে বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সত্তরের দশকে নির্মিত জলাধারটির পানির স্বাভাবিক উচ্চতা ২২১ মিটার। তবে এখন পানির স্তর প্রায় ৫০ মিটার নেমে গেছে। রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া বিষয়ক কর্তৃপক্ষ পাগাসার আবহাওয়াবিদ বেনিসন এস্তারেজা আভাস দিয়েছেন, সামনের দিনগুলোয় গরম আরও বাড়তে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে, তার একটি ফিলিপাইন। বর্ষাকালে সেখানে শক্তিশালী ঝড়ও আঘাত হানে। ২০১৩ সালে ফিলিপাইনে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হাইয়ান আঘাত হেনেছিল, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি। প্রকৌশলী মারলন পালাদিন এএফপিকে বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় গত মার্চ মাস থেকেই ডুবে থাকা শহরটির ধ্বংসাবশেষ দৃশ্যমান হতে শুরু করে। শহরটি নতুন করে জেগে ওঠায় পর্যটকেরা তা দেখতে যাচ্ছেন। শহরটির অবস্থান রাজধানী ম্যানিলা থেকে প্রায় ২০২ কিলোমিটার উত্তরে।