বিশ্বজমিন
‘প্রেসিডেন্ট রইসির দুর্ঘটনায় ইসরাইল জড়িত নয়’
মানবজমিন ডেস্ক
(১১ মাস আগে) ২০ মে ২০২৪, সোমবার, ৪:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৩২ অপরাহ্ন

প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান সহ সঙ্গীরা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার সঙ্গে ইসরাইল জড়িত নয়। দেশটির কর্মকর্তারা মিডিয়াকে একথা বলেছেন। অন্যদিকে ঘটনার পর ইরানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ইসরাইল। বিশ্বনেতারা তার বা তাদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া দিলেও এমন অবস্থান নিয়েছে অল্প দু’চারটি দেশ। তার মধ্যে ইসরাইল। তারা দেখছে এই ঘটনায় ইসরাইলকে জড়িয়ে কোনো বক্তব্য বা ইঙ্গিত দেয়া হয় কিনা।
অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট রইসির মৃত্যুর জন্য ইসরাইলকে দায়ী করা হয় কিনা। যদি এমন অভিযোগ তোলা হয় তবে তা সন্দেহজনক বা সত্য- যা-ই হোক না কেন তাতে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংকট ঘনীভূত হতে পারে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইরানের পক্ষ থেকে এমন কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি। এমনকি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নেপথ্য কারণও জানায়নি।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার জন্য খারাপ আবহাওয়ার দিকে দৃষ্টি দিয়েছে। ইসরাইল কর্মকর্তারা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোকে বলেছেন, ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে তাদের কোনো হাত নেই। মাত্র এক মাস আগে দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের ছায়াযুদ্ধ প্রকাশ্যে আসে। পাল্টাপাল্টি হামলা হয়। তারপর দৃশ্যত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তখন থেকে অস্বস্তিকর অবস্থার ইতি ঘটেছে বলেই মনে হয়। কিন্তু গাজা যুদ্ধে হামাস ও হিজবুল্লাহকে ইরান সমর্থন দিচ্ছে ইসরাইলের এই পুরোনো অভিযোগ সামনে চলে এসেছে। ফলে উপরে উপরে পরিস্থিতি শান্ত মনে হলেও ভিতরে ভিতরে দুইপক্ষের মধ্যেই চাপ বিরাজ করছে।
পাঠকের মতামত
আরব অঞ্চলে একটি দেশ মাটির সাথে মিশে যাবে আমি নিশ্চিত ...... আলামত স্পষ্ট।
মাোসাদ জড়িত কিনা আমরা জানিনা তবে মোসাদ চাইলে যে কোন দেশের রাষ্ট্র নায়ককে হত্যা করতে পারে।
এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। প্রকৃত সত্য হয়তো কখনোই জানা যাবে না। কিন্তু ইতিহাসের কৌতুহল থেকেই বিতর্ক থেকে যাবে। প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল! কিন্তু ঘটনার পরম্পরা সক্ষভাবে দেখলে অনেক কিছুরই ইঙ্গিত দেয়! যেমন তিনটি হেলিকপ্টারের বহর পূর্ব আজারবাইজানের রাজধানী থেকে যাত্রা করেছিল কিন্তু প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেলিকপ্টারটি শুধুমাত্র দুর্ঘটনায় পতিত হলো ! খারাপ আবহাওয়া যদি প্রধান বিবেচ্য বিষয় হয়, তাহলে সেটি আরো দুটি হেলিকপ্টার কে কেন প্রভাবিত করল না? এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক রাজনীতির দিকে একটু দৃষ্টি ফেলা যায়- ইরানের রাষ্ট্রপতি ঘনিষ্ঠভাবে রাশিয়া ও চীনের সাথে যুক্ত ছিলেন । আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রায় আলাদা একটি মেরুকরণ তৈরি করেই ফেলেছেন!ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী কুটনৈতিক তৎপরতা এবং দক্ষতায় ইরানকে অন্যান্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ইরানের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর যুগলবন্দী প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্যে হিজবুল্লাহকে সহযোগিতা করছে। ইসরাইল এই হিজবুল্লাহকে যমের মত ভয় পায়! সম্প্রতি ইরান -ইসরাইল ছায়া যুদ্ধ মুসলিম বিশ্বে ইরানকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে! মোট কথা তীব্র মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে হিসেবে রাখতেই হচ্ছে! ইরানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী কে হত্যা করে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা তার শক্তির জানান দিল মাত্র!!!
জড়িত যদি না থাকে তবে, আগ বাড়িয়ে কথা বলতে যাবে কেন? মুরগী চোরের কিচ্ছা মনে পড়ে গেল।
ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাইনা। অপরাধী আগেই স্বীকার করছে যে সে জড়িত না তাহলে কে নিশ্চয়ই বর্বর জাতি অসভ্য জাতি আমেরিকান রা।
ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে তাদের কোনো হাত নেই।--- ঘরের মধ্যে কে? "মা আমি কলা খাইনা"!(They have no hand in the death of the Iranian president. Who is in the house, mother, I do not eat bananas).