অনলাইন
জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি উসকে ফের মার্কিন মুলুকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার কৃষ্ণাঙ্গ
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ সপ্তাহ আগে) ২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ৬:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
তিনি বার বার বলছিলেন, “আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’’ কিন্তু কে শোনে কার কথা। তখনও তাঁর ঘাড়ের কাছে পা দিয়ে চেপে রেখেছিলেন মার্কিন পুলিশ অফিসার। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় ৫৩ বছর বয়সি ওই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি ফ্র্যাঙ্ক টাইসনের। ২০২০ সালে ঠিক যেভাবে কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার অপরাধে পুলিশের পায়ের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল জর্জ ফ্লয়েডের। তাঁর মৃত্যুর সেই ভয়াবহ ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল ফ্লয়েড বারবার বলছেন, ‘‘শ্বাস নিতে পারছি না, আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’’
ফ্লয়েডের গলা হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছিলেন ডেরেক শভিন নামের এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। ঠিক সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল আবার। গত ১৮ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার ওহিও প্রদেশে একটি গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন টাইসন। ঘটনার পর থেকেই তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছিল। অবশেষে ওইদিনই সেখানকার একটি পানশালায় খোঁজ মেলে টাইসনের।
৩৬ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে টাইসনের ঘাড়ের ঠিক নিচে চেপে রাখেন এক মার্কিন অফিসার। ভিডিওতে টাইসনকে বলতে শোনা যায়, “আমি শ্বাস নিতে পারছি না। দয়া করে আমাকে ছেড়ে দিন। আমার ঘাড় থেকে পা নামান।” তখন এক অফিসার বলেন, “তোমার কিছু হবে না, শান্ত হও।” অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার তাঁর কথায় গুরুত্বও দেয়নি। পা সরাতেই দেখা যায় নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছেন টাইসন। এভাবেই ৬ মিনিট মাটিতে পড়ে থাকেন টাইসন, পুলিশ কর্মীরা তখন অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত। এরপরে এক পুলিশ অফিসার হ্যান্ডকাফ খুলে সিপিআর দিতে শুরু করে।
প্যারামেডিকরা এসে টাইসনকে স্থানীয় ক্লিভল্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে পুলিশ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর গোটা বিশ্বে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি যে বদলায়নি ফ্র্যাঙ্ক টাইসনের মৃত্যুই তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
সূত্র: রয়টার্স
ফিলিস্তিন নিয়ে আন্দোলনকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই করা হয়েছে মনে হয়