শেষের পাতা
মালদ্বীপে চীনপন্থি মুইজুর দলের ভূমিধস জয়
মানবজমিন ডেস্ক
২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার
ভারতের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টির ইঙ্গিত দিয়ে পার্লামেন্ট নির্বাচনে সুপার সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী হয়েছে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)। রোববার সেখানে পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়। এতে ভোটাররা পিএনসিকে আরও বেশি চীনপন্থি হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে প্রেসিডেন্ট মুইজুকে। একই সঙ্গে আঞ্চলিক পাওয়ার হাউস এবং ভারতের সুবিধা পাওয়া থেকে তাকে সরে যাওয়ার পক্ষে এই রায় দিয়েছেন ভোটাররা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়, দেশটিতে ৯৩ আসনের পার্লামেন্ট। নির্বাচন কমিশন এর মধ্যে ৮৬টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে পিএনসি পেয়েছে ৬৬ আসন। সুপার মেজরিটি বা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যে পরিমাণ আসন প্রয়োজন তারচেয়ে এই সংখ্যা বেশি। নির্বাচনের সরকারি ফল পেতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে। নতুন নির্বাচিত পার্লামেন্ট মে মাসের শুরুতে দায়িত্ব নেবে। নির্বাচনে ৪১ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। স্থানীয় মিহারু পত্রিকা বলছে, তার মধ্যে মাত্র তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। তারাও প্রেসিডেন্ট মুইজুর পিএনসির। মালদ্বীপের এই নির্বাচনকে প্রেসিডেন্ট মুইজুর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, তিনি অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য ভারতকে বাদ দিয়ে চীনের দিকে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। এর মধ্যে আছে ওই দ্বীপে কয়েক হাজার এপার্টমেন্ট নির্মাণ। উল্লেখ্য, বিদায়ী পার্লামেন্টে পিএনসি ও তার মিত্রদের ছিল মাত্র আটটি আসন। সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন মোহাম্মদ মুইজু। তখন তার প্রেসিডেন্সিয়াল কাজকর্মে পার্লামেন্টের সমর্থন পাওয়া কষ্ট হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি এই নির্বাচনে মাত্র এক ডজন আসন নিয়ে ভয়াবহ পরাজয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
রোববারে প্রথম যারা ভোট দেন তার মধ্যে ৪৫ বছর বয়সী মুইজু অন্যতম। তিনি রাজধানী মালের একটি স্কুলে ভোট দেন। এখানেই তিনি এর আগে মেয়র ছিলেন। ভোট দিয়ে তিনি দেশবাসীকে অধিক সংখ্যায় বেরিয়ে এসে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সব নাগরিকের বেরিয়ে এসে যত দ্রুত সম্ভব তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা উচিত।
মালদ্বীপ একটি নিম্নভূমি। ভারত মহাসাগরের মধ্যে এর অবস্থান। প্রায় ১১৯২টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোরাল দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এই ছোট্ট দেশটি। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ যেসব দেশ, তার মধ্যে মালদ্বীপ অন্যতম। মুইজু এ দেশের সাবেক গণপূর্ত বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দ্বীপের উচ্চতা বৃদ্ধি করে সমুদ্রের ঢেউকে সামাল দেবেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল অবকাশযাপনের দেশ হিসেবে মালদ্বীপ পরিচিত। কারণ, এখানে আছে একদম স্বচ্ছ সমুদ্র সৈকত। নজরকাড়া রিসোর্ট। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত মহাসাগরের ভেতর এটা হয়ে উঠেছে ভূ-রাজনীতির হটস্পট। বিশ্বের পূর্ব ও পশ্চিমে যোগাযোগ রক্ষাকারী শিপিং লাইন অতিক্রম করেছে এর পাশ দিয়ে।
পাঠকের মতামত
চমৎকার অনেক অনেক ভাল ফলাফল। বুঝিয়ে দাও [BAL] প্রভু ভারতীয় কে
Freedom of Choice