খেলা
শেখ জামালের জোড়া সেঞ্চুরি ছাপিয়ে মোহামেডানের নায়ক মাহিদুল-মাহমুদউল্লাহ
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবারসাইফ হাসান ও তাইবুর রহমান পারভেজ হাঁকালেন সেঞ্চুরি। তবুও খুব বড় পুঁজি পেলো না শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। জবাবে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত জুটিতে জয় পায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। সেঞ্চুরি করেন অঙ্কন আর রিয়াদ খেলেন ৮৭ রানের অনবদ্য ইনিংস। একই দিনে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে হারায় শীর্ষ দল আবাহনী লিমিটেড। অনেকদিন পর ফিফটির দেখা পেলেন আবাহনীর লিটন কুমার দাস। গতকাল ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের সুপার লীগের প্রথম রাউন্ডে শেখ জামালকে ৫ উইকেটে হারায় মোহামেডান। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২৫৯ রান করে শেখ জামাল। জবাবে ২ বল হাতে রেখে জয় পায় মোহামেডান। মাহিদুলের হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার। টানা ১২ ম্যাচ জিতে শীর্ষেই আবাহনী। সমান ৮ জয়ে ১৮ পয়েন্ট সংগ্রহ শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ও মোহামেডানের।
এদিন লক্ষ্য তাড়ায় ৬৯ রানেই ৩ উইকেট হারায় মোহামেডান। রনি তালুকদার ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রান করেন। এরপর অঙ্কন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে দলের হাল ধরেন। দুজনের জুটিতে মোহামেডানের স্কোরবোর্ড জমা হয় ১৭৯ রান। শেখ জামালের বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন তারা। ১২২ বলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ১০১ রান করেন অঙ্কন। আর ৮৮ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ। শেষ দিকে মাহিদুল ও মিরাজ দ্রুত ফিরলেও আরিফুল হক নেমে বাউন্ডারি মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শেখ জামালের। ১৭ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরেন সৈকত আলী ও ফজলে মাহমুদ। এরপর তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন সাইফ ও তাইবুর । ২১৮ রানের জুটি গড়েন তারা। সাইফ হাসান তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১৪৬ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ১২০ রান করেন তিনি। তবে এরপর প্রচণ্ড গরমে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ থেকে উঠে যান এই ডানহাতি ব্যাটার। অপরপ্রান্তে থাকা তাইবুর সেঞ্চুরির পর অপরাজিত থাকেন ১১৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ১০২ রানে। আবাহনীর হয়ে নাসুম আহমেদ ২৮ রানে ১ উইকেট নেন। এছাড়া বাকিরা কেউ উইকেট পাননি। ফজলে মাহমুদ রাব্বি ফেরেন রানআউট হয়ে। মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেট না পেলেও ১০ ওভারের স্পেলে ৪ মেডেনে মাত্র ১২ রান দেন।
আবাহনীর জয়ে ভিন্ন চিত্র লিটন-হৃদয়ের
একই দিনে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারায় আবাহনী। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৭৮ রানে অলআউট হয় প্রাইম ব্যাংক। শুরুতে মাত্র ৫ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। ফিরে যান এবারের আসরের সর্বাধিক রানের মালিক পারভেজ হোসেন ইমন, শাহাদাত হোসেন দিপু ও তামিম ইকবাল। এরপর জাকির হাসান-মুশফিকুর রহীম মিলে গড়েন ১১২ রানের জুটি। মুশফিক করেন ৪৪ রান। অপর প্রান্তে থাকা জাকির তুলে নেন ফিফটি। সর্বোচ্চ ৬৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। জাকিরের আউটের পর সবমিলিয়ে ৪২ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে এ পেসারের হাতেই। ২টি করে উইকেট নেন পেসার তাসকিন আহমেদ ও বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮.৩ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী। ওপেনিংয়ে নেমে ১০৬ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন লিটন কুমার দাস। ফিফটির দেখা পান ৭৬ বলে। ইনিংসে চার মারেন ৭টি। সবধরনের প্রতিযোগগিতামূলক ক্রিকেটে ১১ ইনিংস পর ফিফটি করলেন লিটন। সবশেষে ফিফটি ছিল বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে, ফেব্রুয়ারির শেষে। একই ম্যাচে মাত্র ২৭ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছয়ের মারে প্রাইম ব্যাংকের ৫৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন হৃদয়। ফিফটি করেন মাত্র ২৩ বলে।