অনলাইন
বিএনপির আইনজীবী ফোরাম থেকে ব্যারিস্টার খোকনকে অব্যাহতি
স্টাফ রিপোর্টার
(৮ মাস আগে) ২১ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে বিএনপি সমর্থিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। রোববার ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমানের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে খোকনকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, সংগঠনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সদস্য পদে বিজয়ী ঘোষিত ফোরামের তিনজন সদস্য দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকলেও সংগঠনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আপনি গত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আপনি একইদিন সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সক্রিয় উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভার মাধ্যমে বিগত ৭ই জানুয়ারি অবৈধ সরকারের ডামি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ৩ (তিন) জন এমপি প্রার্থী ও বিএনএম নেতা, তৃণমূল বিএনপি, দল থেকে বহিষ্কৃত ও দলছুট কতিপয় সদস্যকে দিয়ে দল ও এর দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে বিষোদগার করিয়েছেন। এছাড়া আপনি আপনার বক্তব্যে আইনজীবী ফোরামের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে অবমাননাকর ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত মানবেন না বলে ঘোষণা করেছেন, অবৈধভাবে ঘোষিত আওয়ামী লীগ দলীয় তথাকথিত একজন সম্পাদকের হাতে হাত রেখে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ৬ই এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে আপনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে আপনার এহেন কার্যক্রমকে দলীয় চরম শৃংখলা পরিপন্থি হিসাবে গণ্য করে সর্বসম্মতভাবে আপনাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি’র পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এবার অন্যদল থেকে নির্বাচন করে প্রমান করুন আপনি কত বড় হিরু ? আকাশের অগনিত তারা থেকে দু চারটি হারায়ে গেলে আকাশের তারার সংখ্যা যেমন কমেনা আর আকাশের সৌন্দর্যের ও কোন কমতি দেখা যায় না ।
বিএনপি ২০১৪ নির্বাচনের আগে কয়েকট আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। তার পর বিএনপিকে নয়াপল্টনে বিবৃতি ছাড়া আর কোন আন্দোলনে দেখা যায়নি। বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের চেয়ে নিজের দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। জোটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সাকসেস হয়েছে। বিএনপির কৃতীত্ব জোট ভাঙ্গা।
মি.খোকন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে. গত, বর্তমান, আগামীতে বিএনপির কোন ভবিস্যত নাই।
এই সুবিধাবাদী লোকটা কে শুধু ফোরাম থেকে না দল থেকেও আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা উচিৎ।
নোয়াখালীর ভাষায় বলছি এখন উনাকে আইল্লার ভায়ও হুনমাইত্ত্বোনো সামান্য আয় বিহীন এই পদের লোভ হামাইলত্ব হারেনো এই গুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হাইলে কিত্বো আল্লাহে জানে
সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনকে সাধুবাদ জানাই। আরো দ্রুত গতিতে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত । এখনও সময় আছে দ্রুত আইন জীবি সমিতির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসা তা না হলে আরও কঠিন কিছু অপেক্ষা করছে। শুভ বুদ্ধির জাগ্রত হোক !
এই মাহবুব উদ্দিন খোকনের জন্য আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সকল মামলা থেকে জামিন নিতে পারেনি। সবসময় ভূল ব্যাখ্যা দিয়ে মামলাকে দীর্ঘ সুত্রিতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। আমি জানি না একজন তুতলা/ঠিকভাবে কথা বলতে পারে না তাকে কিভাবে নেত্রীর আইনজীবী প্যানেলে রেখেছে? ওকে সবখান থেকে বাদ দেয়ার অনুরোধ করছি। ও হচ্ছে আওয়ামী দালাল।
এই মাহাবুব দলের থেকে অনেক কিছু পেয়েছে, উপনির্বাচনে ২০০১ সালে এমপি হয়েছে, তার পর একে একে কয়েকবার বারের সেক্রেটারী হয়েছে তাও মাঠে তেমন সরব বিরোধী আমলে ছিলোনা, তার আরো বড় শাস্তি জনগন কামনা করে।
সময় উপযোগী কাজ করেছেন
বিএনপির হাই কমান্ডের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সময়পোযোগী। ব্যারিষ্টার খোকনের কর্মকান্ড অনেক আগ থেকেই সন্দেহের সৃষ্টি করেছিল বিধায় আরো পূর্বে এই লোকটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ ছিল।
সারা বাংলাদেশের জনগণ পঁচা রাজনীতি ও আওয়ামিলীগের পাও চাটা থেকে বিরত আছে। সে খোকন কোন লোভে এমন কর্ম করলো ভধগম্য নয়। সুতরাং দলের সাথে তামাশা করা লোক দল থেকে বের করে দিয়া উচিৎ।