অনলাইন
যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
জাতিসংঘে আটকে গেল ফিলিস্তিনের সদস্যপদ, রাশিয়ার নিন্দা
অনলাইন ডেস্ক
(৪ মাস আগে) ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি দেশের মধ্যে ১২টি দেশের সমর্থন পাওয়া সত্ত্বেও জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হতে পারলো না ফিলিস্তিন।
বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই ভেটো দেয়। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট দানে বিরত থাকে। আর যে ১২টি দেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিয়েছে তারা হলো-স্লোভানিয়া, সিয়েরা লিওন, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মোজাম্বিক, মাল্টা, জাপান, গায়ানা, ফ্রান্স, ইকুয়েডর, চীন ও আলজেরিয়া।
ভেটো না পড়লে প্রস্তাবটি পাস হতে ৯ ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের কোনো প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন- এ স্থায়ী পাঁচ সদস্যের কোনো একটি দেশ বিপক্ষে ভোট দিলে ওই প্রস্তাব আর গৃহীত হয় না।
ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কার্যত রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছিল ফিলিস্তিন। তবে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। অবশ্য সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত, জাতিসংঘের মাধ্যমে নয়। যদিও কয়েক বছর ধরে ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা বন্ধ রেখেছে ইসরাইল।
এমন সময় জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার চেষ্টা করছে ফিলিস্তিন, যখন ছয় মাস ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। একই সঙ্গে দখলকৃত পশ্চিম তীরে বসতিস্থাপন বিস্তৃত করছে দেশটি।
রাশিয়ার নিন্দা: এদিকে ফিলিস্তিনিরা এ মার্কিন ভেটো প্রয়োগের তীব্র নিন্দা করেছে। তুরস্ক বলেছে, মার্কিন ভেটো প্রয়োগের ঘটনাটি লজ্জাজনক। তীব্র নিন্দা করেছে রাশিয়াও। জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবানজিয়া বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে। তিনি বলেন, ভেটো দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জানালো, তারা ফিলিস্তিনিদের আসলে কী মনে করে। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন আসলে মনে করে না যে ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্র থাকা উচিত। তারা কেবল ইসরাইলের স্বার্থই দেখে।
গাজায় বা ফিলিস্তিনে হামলা আমেরিকা আর ইসরায়েল মিলেই চালাচ্ছে। আর মুসলিম বিশ্ব একত্রিত না হয়ে তাদের সাহায্য করছে
জাতিসংঘের বিপরীত একটি সংস্থা গঠণ করা অতি জরুরী। যেখানে সকল সদস্য রাষ্ট্রের ভুমিকা এক ও অভিন্ন থাকবে। ওখানে কোন স্থায়ী সদস্য থাকবে না।