অনলাইন
বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা
ঈদের ছুটির তিনদিনে শুধু পঙ্গু হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৫৪ জন
সুদীপ অধিকারী
(১ বছর আগে) ১৩ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১:৫০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন

ঈদ মানেই ছুটি। যানজটমুক্ত ফাঁকা রাস্তা। আর এই ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে। এসব দুর্ঘটনায় যেমন প্রাণ হারাচ্ছেন তেমনই আবার চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন কেউ কেউ। ঈদের দিন, ঈদের পরের দিন ও আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত মোট তিনদিনে শুধুমাত্র জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানেই (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছেন মোট ৪৫৪ জন। এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন আরো অনেকে। এদের মধ্যে অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত তরুণ-যুবক।
শনিবার দুপুরে নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক কাজী শামীম উজ্জামানের পিও মো. জয়নুদ্দিন খান মানবজমিনকে বলেন, ঈদের দিন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের জরুরি বিভাগ থেকে ২৫২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। শুক্রবার ১৪০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আর শনিবার বেলা ১টা পর্যন্ত ৬২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। সে হিসাবে ঈদের দিন হতে এখন পর্যন্ত মোট ৪৫৪ জন চিকিৎসাগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের আবাসিক চিকিৎসক তপন দেবনাথ বলেন, সাধারণত ঈদ ও ঈদ পরবর্তী সময়ে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। জরুরি ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় অনেককে বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে ।
তিনি বলেন, ঈদের দিন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ২৫৬ জন। যাদের মধ্যে ৭৬ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আর শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৫০ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। বেশিরভাগই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
তিনি বলেন, এছাড়াও হাসপাতালের বহির্বিভাগ খোলা আছে। সেখান থেকেও প্রায় শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। সব মিলিয়ে রোগীর চাপ সামলাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে হসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার অন্তত ৮০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।