বাংলারজমিন
এমপি’র উপস্থিতিতে পুলিশ ফাঁড়িতে যুবলীগের দুই নেতার ওপর হামলা
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
(৬ মাস আগে) ৮ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ৯:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
বগুড়ায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বগুড়া সদর আসনের সরকার দলীয় এমপি’র উপস্থিতিতে বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির ভিতর দুই যুবলীগ নেতার ওপর হামলা ও মারধর করা নিয়ে যুবলীগের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এমপি’র সঙ্গে আসা লোকজন পুলিশের সামনেই জিয়াদুস শরীফ পরাগ ও আদনান নামে দুই যুবলীগ নেতাকে বেধড়ক মারধর করে। এর মধ্যে আহত যুবলীগ নেতা পরাগ বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনাকে দুঃখজনক বলেছেন বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।
এদিকে যুবলীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে শহরের সাতমাথায় মানববন্ধন করে বগুড়া শহর যুবলীগ। শহর যুবলীগের সভাপতি মাহফুজুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক উদয় কুমার বর্মনের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের সহসভাপতি মাইসুল তোফায়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া আদিল প্রমুখ। বক্তারা যুবলীগ নেতার ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
পুলিশ ও যুবলীগ সূত্র জানায়, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শজাহানপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রঞ্জু শহরে সাতমাথায় জিলা স্কুলের পার্শ্বে থেকে মুজিবমঞ্চের দিকে আসার সময় একটি মটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি পরে যান। মটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা পিরব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদ মিল্টনের কলেজ পড়ুয়া ছেলে আবির। মটরসাইকেল চালক ক্ষমা চাইলে ঘটনাটি তাৎক্ষণিক মিটে যায়। পরে আবিরের সঙ্গে সদর আসনের এমপির ছেলে প্রতীত আহসান ৩০/৪০ জনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসলে পুনরায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় উপস্থিতি যুবলীগ নেতারা থামাতে গেলে তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ দুই পক্ষকে শান্ত করে। পরে পুলিশ বিষয়টি সমাধানের জন্য ছাত্রলীগ নেতা রঞ্জু, যুবলীগ নেতা পরাগ এবং আদনানসহ তাদের সঙ্গে থাকা চাকরিজীবী রঞ্জন নামে আরেক যুবক এবং অন্য পক্ষের আবির ও এমপির ছেলেসহ ইউপি চেয়ারম্যান মিল্টনকে সদর ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে যান।
বগুড়া সদর ফাঁড়ির পরিদর্শক মোঃ সুজন মিয়া জানান, তাদের ফাড়ির ভিতর অফিস কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। ঝামেলা এড়াতে গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। পুলিশ সুত্র ও যুবলীগ নেতারা জানান ফাঁড়িতে বিষয়টি প্রায় সমাধানও হয়েছিলো। অভিযোগ করা হয়েছে, রাত ১১টার দিকে বগুড়া সদর আসনের এমপি দলবলসহ সেখানে গেলে পুরো পরিস্থিতি পাল্টে যায়। যুবলীগ নেতা পরাগ জানান তিনি এমপি’কে মুল ঘটনাকে জানাতে ফাঁড়ির অফিস কক্ষ থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ওপর হামলা করে এমপি’র সঙ্গে আসা লোকজন। এমপি’র সামনেই তাকে এলাপাথারি মারপিট করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। পরাগ জেলা যুবলীগর প্রচার সম্পাদক ও ১৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। এসময় জেলা যুবলীগের সদস্য আদনানকেও মারপিট করা হয়। আহত যুবলীগ নেতা পরাগকে পরে বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই নেতাকে মারপিট করায় যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী করেছে। বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন জানান, সদর আসনের এমপি’র উপস্থিতিতে যুবলীগ নেতাদের ওপর হামলা হয়েছে। এটি ন্যাক্কারজনক। এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন তারা হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে কর্মসুচী নিয়েছেন। তিনি আহত যুবলীগ নেতাকে দেখতে দুপুরে হাসপাতালে যান।
অপর দিকে বগুড়া সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক।
বিরোধী দল নিস্ক্রিয়, তাই নিজেরা নিজেরা মারামারি করছে।
নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল পরে মিটে যাবে