বিশ্বজমিন
গাজা নিয়ে জাতিসংঘ-যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি, কানেই তুলছে না ইসরাইল
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ২৭ মার্চ ২০২৪, বুধবার, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও গোঁয়াড়ের মতো নিরীহ ফিলিস্তিনের ওপর অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। করুণ পরিণতিতে গাজাবাসী যখন শুধু একটু বেঁচে থাকার জন্য হাসফাঁস করছেন, তখনও তাদের ওপর পবিত্র এই রমজানে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সেনারা। এ হামলার নিন্দা এখন ক্রমশ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে রমজানে নিরীহ এসব মানুষের ওপর হামলার কারণে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হচ্ছে ইসরাইল। আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলকে সতর্ক করেছেন। বলেছেন, রাফায় বড় স্থল হামলা পরিত্যাগ করতে হবে ইসরাইলকে। তা নাহলে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তাকে কথা শুনিয়েছে ইসরাইল। তা সত্ত্বেও রাফায় স্থল হামলা চালানোর পরিকল্পনা বাদ দেয়ার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
রবার্ট উড বলেন, গাজায় নাটকীয়ভাবে মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দিতে কাজ করছে ওয়াশিংটন ডিসি। সেখানে সাধারণ মানুষের যতটুকু প্রয়োজন সেই পরিমাণ সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না। বাস্তবতা হলো মানবিক ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছানোর কারণে শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে। গাজার শিশুদের অপুষ্টিতে মারা যাওয়া উচিত নয়। গাজার শতভাগ মানুষ ভয়াবহ খাদ্য সংকটে ভুগছেন।
কিন্তু কে শোনে কার কথা! গাজার রাফায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। তারা দাবি করেছে এ মাসে বিমান হামলায় হামাস কমান্ডার মারওয়ান ইসাকে হত্যা করেছে তারা। তবে হামাসের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, এই মৃত্যুর পক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। শত্রুরা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ওদিকে দু’তিনদিন ধরেই খান ইউনুসে একটি হাসপাতালে ঘিরে রেখেছে ইসরাইলি ট্যাংক ও সাজোয়া যান। এর ফলে রেডক্রস বলেছে, সেনাবাহিনীর অপারেশনের কারণে সেখানে তারা কোনো সুবিধা বা সেবা দিতে পারছে না। ৭ই অক্টোবর হামাসের রকেট হামলার পর গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৩২,৪১৪। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৪,৭৬৭ জন।
উল্লেখ্য, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের ১৭০ দিন পর সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রেজ্যুলুশন ২৭২৮ পাস হয়। এতে এই রমজানে যুদ্ধবিরতি আহ্বান করা হয়, যা একটি টেকসই যুদ্ধবিরতিতে নিয়ে যাবে। এ প্রস্তাবে যেসব ব্যক্তিকে ৭ই অক্টোবর জিম্মি করেছে হামাস তাদের সবাইকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে হামাস ও অন্যদের।
অতীত থেকে আজ পযর্ন্ত্য ইসরায়েল যেমন কোনো দিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের কথা তোয়াক্কা করেন নাই বা করে না তেমনি বাংলাদেশেও গত ১৭ বছর থেকে বিরোধী মতের লোকদের কে রাজনৈতিক কারণে জেলখানার ভিতরে ও বাহিরে পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মিলে যেভাবে অমানবিক নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করেছেন এবং অনেক কে জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব করছেন সেই ব্যাপারে বিবৃতিবাজ মানবতার কথিত সংঘটন জাতিসংঘ এবং নিজেদের গণতন্ত্রের ভূয়া রক্ষক দাবিদার স্বার্থপর আমেরিকা এই সমস্ত চলমান ঘটনায় মাঝে মধ্যে নামকাওয়াস্তে বিবৃতি বা হুশিয়ারী দিলেও কার্যকর কোনো একশেন নেন না যেকারণে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের হুশিয়ারীকে দুই পয়সার দাম বা পাত্তা না।
জাতীসংঘ বলেছে গাজায় যুদ্ধ বিরতি বন্ধের ব্যর্থতা ক্ষমা করা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের এই বিকৃত অভিনয় যারা বুঝে না তারাই বড় বোকা। বাইডেন বিস্কুট পাঠায় গাজায় আর অস্ত্র পাঠায় ইসরায়েল। ভন্ডামীর প্রধান দৃষ্টান্ত।
সকল রাস্ট্র মিলে ইসরায়েলকে থামানো উচিৎ। নিরিহ নারী - শিশুকে রক্ষা করা জরুরী।
তা হলে করণীয় কি ? সব দেশ মিলে ইসরাইলের দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে সামরিক অভিযান চালানো। ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে সামরিক বাহিনী গড়ে অস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের সমকক্ষ করে দেওয়া । ফিলিস্তিনিদের সকল ভূমি দখল মুক্ত করা। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র কে স্বীকৃতি দেওয়া । আমেরিকা তা করবে কি । আমেরিকা ডাক দিলে বিশ্বের সব দেশ এতে অংশগ্রহণ করবে ।। কিন্ত আমেরিকা তা করবে না, বরং তলে তলে অস্ত্র যোগান দেবে ইসরাইল কে ।