প্রথম পাতা
পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারে না
স্টাফ রিপোর্টার
২৭ মার্চ ২০২৪, বুধবারস্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আজ আমাদের দেশের স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক হয়। এত বছর পরও সেই বিতর্ক চলছে। আমাদের বক্তব্য, ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না। গতকাল সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আবুল কাশেম, এম এ হান্নান, অনেকেই ঘোষণা পাঠ করেছেন। সেখানে জেনারেল জিয়াও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কে ঘোষক? এ বিতর্কের অবসান তখনই হবে যখন আমরা সত্যের অনুসন্ধান করতে যাবো। সেটা হচ্ছে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণার ম্যান্ডেট এই অঞ্চলের জনগণের পক্ষ থেকে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিল। আর কারও কোনো বৈধ অধিকার নেই স্বাধীনতার ঘোষক হওয়ার।
আওয়ামী লীগ সব সময় প্রমানে ব্যস্ত যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা তাদের পরিকল্পনায় এবং নেতৃত্বে হয়েছে। ইতিহাস স্বাক্ষী যে সশস্ত্র সংগ্রামের শুরু হয়েছিল বাঙালি সেনা অফিসারদের নেতৃত্বে এবং জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মাধ্যমে। এটা আওয়ামী লীগ তাদের বড় ব্যর্থতা হিসাবে দেখে। এই যুগে ইতিহাস মুছে ফেলা সম্ভব নয়, তাই তা স্বীকার করে নেয়া ভালো।
জিয়া কোন দিনই নিজে ঘোষক না পাঠক এই সমস্ত ফালতু বাতচিত করতেন না। এটাই সত্যিকার রাস্ট্রনায়কের ব্যক্তিত্ব। যারা তাকে বা তার স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদানকে খাটো করে দেখতে চায় তারা নেহায়েৎই বামন টাইপের মনমানসিকতার এলেবেলে মার্কা মানুষ।
যথাসময়ে জিয়া নিজের লেখা স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র নিজে পাঠ করেছেন এবং জাতি তা নিজ কানে শুনেছে ও যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সুচনা হয়েছে । তাই জিয়া নিঃসন্দেহে স্বাধীনতার ঘোষক। ব্যস, এখানে আর কোন ব্যক্তির অস্তিত্ব জাতি জানে নাই এবং নুতন করে জানতেও চায় না।
পাঠক ও ঘোষকের মধ্যে পার্থক্য বোঝা দরকার। যে অন্য কারো লেখে দেয়া বক্তব্য পাঠ করে সে হচ্ছে পাঠক। আর যে নিজের লেখা বক্তব্য নিজেই ঘোষণা করে সে হচ্ছে ঘোষক। মেজর জিয়া তো নিজের লেখা বক্তব্য নিজেই পড়ে শোনান। জিয়ার বক্তব্য তো অন্য কেও লেখে দেননি। তাহলে তিনি পাঠক হন কি করে? বাস্তবতা হলো জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
স্বাধীনতার বয়স ৫৪ বছর চলছে এবং স্বাধীনতার ঘোষক কে তা এখনও জাতির কাছে অস্পষ্ট। তবে আমার একটা প্রশ্ন জাগে সেটা হলো কিছু দিন আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এর পক্ষ থেক বিশেষ পত্র নিয়ে চার জন্য আমেরিকান আমাদের দেশে রাষ্ট্র প্রধানের কাছে জো বাইনেদ সাহেবের চিঠিখানা দিয়েছেন। এখন এই চিঠি কার এবং যারা রাষ্ট্র প্রধানকে দিয়েছেন তারা কারা।
Nobody heard the declaration of Independence from the mouth of Abul Kashem & M. A Hannan. Only Mejor ZIA’S declaration heard the people & then the people had been able to know that War already started……spontaneously the people participated. Please stop lying. Dear Honorable Minister you & your party can speak loudly & it’s your capital. By speaking loudly, you / your party fellows have been trying to hide the actual history but it’s not possible. Thank you. Stay well!
ক্ষমতায় থাকলে সঠিক ইতিহাস জানার ইচ্ছা মানুষ ভুলবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম
তাহলে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেচ্ছায় কারাবন্দী কিভাবে হয়।
মুক্তিযুদ্ধে কাদের কাকুর অবদান কি?
আমি এক সাধারণ মানুষ হিসেবে শহীদ জিয়াকেই স্বাধীনতার ঘোষক বলে জানি ও সম্মান করি। অন্য কারো নাম আনা অসম্ভব। আমার ভোট চুরি ডাকাতি করলেও আমার সম্মানের জায়গা থাকবে অক্ষত। সেই জায়গায় বাঙালি জাতির মুক্তির নায়ক শহীদ জিয়া আছেন, ছিলেন এবং থাকবেন।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত কথা বলেন। তো জাতি আজ জানতে চায়, মুক্তিযুদ্ধে আপনার ভূমিকা কি ছিল? আপনি কোথায় ছিলেন? কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন? নাকি অন্যদের মত আত্নগোপনে ছিলেন? আপনার ভাই মীর্জা সাহেবের জবানী মতে আপনাকে তো মুক্তিযোদ্ধা বলা যায় না।
যাক, তাও তো স্বীকার করলেন যে জিয়া পাঠক , এতদিন তো এইটাই স্বীকার করতেন না !! আর আপনাদের এত বাঘা বাঘা নেতা থাকতে কোথাকার কোন মেজর কে কেন ঘোষণা পাঠ করতে হল? সব কোথায় পালাইছিলেন ???
যে ঘোষনা করে তাকে ঘোষক বলে। কাজেই এখানে পাঠক বলেন আর ঘোষক বলেন সে ঐ একজনই, মেজর জিয়া। অন্য কেহ নয়।
you agreed the half, we fill up the other half. . .
আর ঘোষণা দিয়ে আত্নসমর্পণ করে যুদ্ধের ময়দানে অনুপস্থিত থেকে বড় কৃতিত্বের অধিকারী হওয়া যায় না।
যা হোক সত্য কখনো গোপন থাকে না, আঃলীগ আজ শহীদ জিয়া কে পাঠক হিসাবে মেনে নিল। ইনশাআল্লাহ সেইদিন বেশি দূরে নয় আঃলীগেই শহীদ জিয়া কে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে প্রচার করবে।
মরহুম তাজউদ্দীনের মেয়ে সিমিন তার বই ; তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতায় লিখেছেন ------ কিভাবে সুটকেইছ গুছানো হলো, পায়জামার ফিতা লাগানো হলো। শেখ সাহেব স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে অস্বীকার করেন। শেখ মুজিব অবশ্যই বড় নেতা ছিলেন ------ কিন্তু যুদ্ধের সেনাপতি আত্মসমর্পণ করলে, অন্য কেউ যুদ্ধ শুরু করে ; যা মেজর জিয়ার নেতৃত্বে হয়েছিল।
কাদের সাহেব অবশেষে মানলেন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ছিলেন। এতোদিন তো দাবি করছিলেন জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিলেন। তো গুপ্তচর থেকে স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক তো আওয়ামী লীগের জিয়া বিষয়ে একটি বড় অবস্থান পরিবর্তন। Welcome move
আমার ইংরেজি জ্ঞান একেবারেই অল্প। তবুও জানি "I do hereby declare" এটার মানে হচ্ছে "আমি এইমর্মে ঘোষণা করছি"। "আমি এইমর্মে পাঠ করছি" নয়। মেজর জিয়া এটা কখনই বলেননি যে "I do hereby reciting" On behalf of...... কার পক্ষে না পক্ষে সেটা পরের বিষয়। declare শব্দের অর্থ ঘোষণা কিনা সেটা আগে নতুন করে শিখতে চাই।