প্রথম পাতা
সেদিন মধুখালীতে কী ঘটেছিল
প্রথম মার শুরু করেন চেয়ারম্যানই যোগ দেন শত শত মানুষ
শরিফ রুবেল, মধুখালী, ফরিদপুর থেকে
২২ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার২৮৫ ভোটারের গ্রাম কৃষ্ণনগর। ৬৫ পরিবারের বসবাস। তারা সবাই সনাতন ধর্মাবলম্বী। আশপাশের পাঁচ গ্রাম নিয়ে পঞ্চপল্লী। ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো মুসলিম পরিবার নেই। ৫ গ্রামে একটি মাত্র স্কুল। পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলের পাশেই বারোয়ারি কালী মন্দির। বিদ্যালয়ের কক্ষ থেকেই মন্দিরের সবকিছু দেখা যায়। সেখানে চারটি মূর্তি আছে। কালী ও শিব মূর্তি একসঙ্গে। ২ ফুট দূরে দুই পাশে অন্য দুটি মূর্তি। এক মাস ধরে বিদ্যালয়ের শৌচাগারের নির্মাণকাজ চলছে। শ্রমিকদের সবাই মুসলমান। এখানে ১৮ই এপ্রিল ঘটে এক নজিরবিহীন ঘটনা। সন্ধ্যা ৭টায় হঠাৎ আগুন আগুন চিৎকার। লোকজন মন্দিরের সামনে এসে দেখেন কালী মূর্তি আগুনে জ্বলছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো তা কেউ নিশ্চিত জানে না। কিন্তু উত্তেজিত জনতা শৌচাগার নির্মাণ শ্রমিকদের সন্দেহ করে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন অন্যরা। ফরিদপুর মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের এই ঘটনা পুরো দেশ নাড়িয়ে দেয়। নানা সন্দেহের ডালপালা মেলতে থাকে। কীভাবে সূত্রপাত হলো এই ঘটনার? পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি গুজবের বলি হলেন দুই কিশোর? মানবজমিন-এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে নানা তথ্য। কোথা থেকে এই ঘটনার সৃষ্টি। কারা ছিল এর পেছনে? ঘটনাস্থল, প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার থেকে এসব প্রশ্নের কিছু জবাব মিলেছে।
ঠিকাদারি কাজ নিয়ে কি ঝামেলা ছিল: অনুসন্ধানে জানা গেছে, কৃষ্ণনগর গ্রামে সার্বজনীন কালীমন্দিরের পাশে অবস্থিত ৬৯নং পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণ প্রকল্পটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। শৌচাগার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পায় ফরিদপুরের মাহিদা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে সাব- কন্ট্রাক্টে ওই কাজ বাগিয়ে নেন নওয়াপাড়া ইউনিয়ের চোপেরঘাট গ্রামের সাব-ঠিকাদার মো. জালাল শেখ। স্থানীয় একটি সূত্র ও নিহতের পরিবার বলছে, শৌচাগার নির্মাণকাজ শুরু করার পর থেকেই স্থানীয় ইউপি সদস্য অজিৎ কুমার সরকার ওই কাজে নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করেন।
গত ঈদের আগে অজিতের লোকজন নির্মাণকাজের স্থলে গিয়ে নগদ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে মারধরেরও হুমকি দেন। পরে নির্মাণকাজের রড নিয়ে যেতে গেলে এতে বাধা দেন শ্রমিক (ঘটনাস্থলে নিহত) আশরাফুল খান। পরে ওই যুবকরা উত্তেজিত হয়ে আশরাফুলসহ অন্যান্য শ্রমিকদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে পুরো ঘটনাটি আশরাফুল মুঠোফোনে তার বাবা মো. শাহজাহান খানকে বিষয়টি জানান। ভয়ে শাহজাহান খান তার দুই ছেলেকে পঞ্চপল্লী থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নেন। পঞ্চপল্লীতে কাজে যেতে বারণ করেন। তবে ঈদের পরে সাব-ঠিকাদার জলিল শেখের অনুরোধে আবার কাজে যোগ দেয় দুই সহোদর আশরাফুল ও আরশাদুল। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দিন ১৮ই এপ্রিল বিকালে ১নং ওয়ার্ড মেম্বার অজিত কুমার সরকারের নির্দেশে পার্শ্ববর্তী জাননগর গ্রামের বাসিন্দা বিনয় সাহা একদল যুবক নিয়ে স্কুলের ভেতর প্রবেশ করেন এবং নির্মাণকাজের এক বান্ডিল রড ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। তখন নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি-ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে দুই পক্ষই নানা বাজে ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন।
এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মন্দিরে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালাতে যান স্থানীয় প্রভাষ কুমার মণ্ডলের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তপতী রানী মণ্ডল। তিনি প্রতিদিনই মন্দিরে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালান। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তপতী রানী মণ্ডল মানবজমিনকে বলেন, ‘আমি মন্দিরে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালাতে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের মন্দিরের সামনে বটগাছের নিচে দেখতে পাই। তারা বিভিন্ন অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করছিল। তবে তারা কাকে এবং কার সঙ্গে গালাগাল করেছে, তা আমি বুঝতে পারিনি’। তপতী রানী আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালানোর পরে আমি আবার গোবর-খড় আনতে মন্দিরের সামনে যাই। তখন সাতজন নির্মাণ শ্রমিক স্কুলের মধ্যেই ছিলেন।’
চাঁদা ও হুমকির বিষয়ে আরশাদুলের মা শারমিন বেগম মানবজমিনকে বলেন, ওদের কাছে ওই এলাকার কিছু ছেলে এসে চাঁদা চায়। টাকা না দিলে মারধরের হুমকি দেয়। কাজ করতে দিবে না বলে শাসিয়ে যান। আশরাফুল ওর বাবাকে এই ঘটনা জানায়। পরে ওদের বাড়ি নিয়ে আসি। ওরা আমার আব্বাদের জান নিয়ে নিবে জানলে আর পাঠাতাম না। আল্লাহ আমি খুনিদের বিচার চাই। আল্লাহ তুমি ওদের বিচার কইরো।
ঘটনার বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহিদা এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার মনজিল শেখ মানবজমিনকে জানান, সন্ধ্যার পর শ্রমিকরা আমাকে ফোন করে জানান, স্কুলের পাশে মন্দিরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। তারা মন্দিরে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করেন। এরপর উত্তেজিত গ্রামবাসী শ্রমিকদের স্কুল কক্ষে আটকে রেখেছে বলে জানানো হয়।
যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে মন্দিরের কালী মূর্তিতে আগুন লাগে। আগুন আগুন চিৎকার শুনে আশপাশের শত শত লোক আগুন নেভাতে এগিয়ে আসেন। ততক্ষণে আগুনে কালী মূর্তির পরনের শাড়ি ও হাতে থাকা তীরশূল পুড়ে যায়। ওইদিন মন্দিরে সন্ধ্যা পূজায় যে প্রদীপ জ্বালানো হয় তা মূর্তির সামনে প্রায় দুই ফুট দূরত্বে ছিল। সরজমিন গিয়েও একই জায়গায় ওই দুটি প্রদীপ দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো তা এখনো তারা নিশ্চিত জানেন না। আগুন নেভানোর কাজে শ্রমিকরাও সহায়তা করেন। পরে কয়েকজন উত্তেজিত জনতা স্কুলের নির্মাণ শ্রমিকদের সন্দেহ করা শুরু করেন। ঘটনার পরে একে একে কৃষ্ণনগর, জান নগর, সীধলাজুড়ি ও তারাপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। রাত ৮টার দিকে সাব-ঠিকাদার নসিমন ভরে রড নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ততক্ষণে উত্তেজিত জনতা নির্মাণ শ্রমিক আশরাফুল, আরশাদুল, সিরাজ শেখ, আনোয়ার হোসেনকে মারধরের উদ্দেশ্যে ঘিরে ফেলে। পরে সাব-ঠিকাদার জলিল শেখ ও নসিমন চালক মো. লিটন খানসহ সব শ্রমিকদের ওই নসিমনের দড়ি দিয়েই বেঁধে ফেলা হয়।
স্থানীয় প্রভাষ কুমারের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অজিৎ কুমার সরকার। তিনি এসে শ্রমিকদের স্কুলের শিশু শ্রেণিকক্ষে ঢোকান। যেখানে নির্মাণ শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন। পরে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার লিংকন বিশ্বাস ঘটনাস্থলে আসেন। তখন উত্তেজিত জনতা ‘ধর ধর’ বলে ইটপাটকেল, রড, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে রুমের দরজা জালানা ভাঙতে শুরু করে। পরে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে ইউপি সদস্য অজিৎ কুমার সরকার স্থানীয় ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনকে ফোন করলে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি আশরাফুলকে শাসিয়ে রড দিয়ে প্রথমে আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা মারধর শুরু করেন। ওই হামলায় আশরাফুল ও আরশাদুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাদের বাড়ি নওপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট গ্রামে। গুরুতর আহত হন আনোয়ার হোসন ও সিরাজ শেখ।
হামলা থেকে বেঁচে ফেরা নসিমন চালক মো. লিটন মোল্লা মানবজমিনকে বলেন, চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কারও কথা না শুনেই লোহার পাইপ দিয়ে আশরাফুলকে পেটাতে শুরু করেন। তিনি বলতে থাকেন তোর কতো বড় সাহস, তুই মন্দিরে আগুন দিস। দাঙ্গা সৃষ্টি করিস, এসব বলতে বলতে মেরে আশরাফুলকে মাটিতে ফেলে দেন। পরে শ্রমিক আনোয়ারকেও মারধর করেন। মেম্বার অজিৎ কুমারও আরশাদুলকে কাঠ দিয়ে পেটাতে থাকেন। তখন স্থানীয়রা আরও উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং দরজা-জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। কিছু লোক জানালা দিয়েই ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ইট থেকে বাঁচতে চেয়ারম্যান ওই রুম থেকে বের হয়ে যান। পরে লাঠিসোটা নিয়ে শত শত লোকজন রুমে প্রবেশ করে বেধড়ক পেটাতে থাকে। রড ও ইট দিয়ে আরশাদুল, আশরাফুল ও আনোয়ারের হাত-পা ভেঙে দেয়। মাথা থেতলে দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমি অন্ধকারে সিঁড়ির নিচে লুকিয়ে ছিলাম।
নিহত আশরাফুল ও আরশাদুলের বড় চাচা আব্দুর রাজ্জাক খান মানবজমিনকে বলেন, আমার ভাতিজাদের পিটিয়ে মাথা দুইভাগ করে ফেলা হয়। মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে দেয়া হয়। লাশ ধরলে মাঝ থেকে ভেঙে পড়ে। আমরা চেয়ারম্যান ও মেম্বারের শাস্তি চাই। হিন্দুরা প্রথমে মারধর করেনি। চেয়ারম্যান এসেই মার শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা হামলে পড়ে। দুটি নিরীহ প্রাণ কেড়ে নেয়।
হামলার শিকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সাব-ঠিকাদার জালাল শেখ মানবজমিনকে বলেন, আমরা উপস্থিত হলে শ্রমিকদের হাতে বালতি, পানি ও জগ দেখতে পাই। তারা আগুন নেভানোর কাজ করেছে। তখন হিন্দুরা শ্রমিকদের সন্দেহ করে এবং গালাগাল করতে থাকে। তারা বলে, এতদিন আগুন ধরলো না আজ ধরলো কেন? ৪ শ্রমিককে রশি দিয়ে বেঁধে রুমে নিয়ে যায়। ঘটনার বিষয়ে সকাল থেকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনের মুঠোফোনে ফোন দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সরজমিন ঘুরে ওই গ্রামের একাধিক বাড়ি গেলেও কোনো পুরুষ পাওয়া যায়নি। অধিকাংশ বাড়িতে তালা ঝুলছে। কয়েকটি বাড়িতে মহিলাদের দেখা মিললেও ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কেউ পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেননি। সবাই বলেছেন, তারা কেউ কিছু জানেন না। কারা আগুন দিয়েছে তারা দেখেননি। কেউ কেউ বলেন, তারা ঘটনার সময় বাড়ি ছিলেন না। বাড়ি থাকলেও ঘটনাস্থলে যাননি। ডুমাইন ইউনিয়নের বাজার ঘাটসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘটনার রহস্য জানার চেষ্টা করা হয়। তবে কেউ কেউ বলেছেন, নির্মাণ কাজ নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে আগুন দিয়ে শ্রমিকদের ফাঁসানো হয়েছে। তাদের শায়েস্তা করতেই এই কাজ করা হয়েছে।
পঞ্চপল্লী স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা গীতা রানী বিশ্বাস মানবজমিনকে বলেন, কালী মা’র গায়ে কারা আগুন ধরিয়েছে জানি না। আমি অনেককে জিজ্ঞাসা করেছি কেউ বলতে পারে না। তারপরেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আমি বুঝি কেউ অপরাধ করলেও তাকে মেরে ফেলা যায় না। অপরাধ প্রমাণ হলে আইন তাদের শাস্তি দিবে। তাই বলে মেরে ফেলতে হবে? ঘটনার দিন আমি মধুখালী ছিলাম। এসে শুনেছি।
স্কুলের সহকারী শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, কে আগুন দিয়েছে আমরা কেউ দেখিনি। কেউ বলতেও পারবো না। আর শ্রমিকরা প্রায় ১ মাস ধরে কাজ করছে। তাদের কোনো খারাপ ব্যবহার আমরা লক্ষ্য করিনি। যারা পাপ করেছে তারা শাস্তি পাবেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে যা দেখা গেল: মন্দিরের দরজা খোলা। ভেতরে দুটি প্রদীপ নিভে আছে। কালী মূর্তির শরীরে কাপড় নেই। আগুনে পোড়ার দাগ। চারপাশে সুনসান নীরবতা। আশপাশে কোনো মানুষ নেই। স্কুল বাউন্ডারির মধ্যে মাঠে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বসে আছেন। একে অপরের সঙ্গে কথা বলছেন। চারপাশে ইটপাটকেল, রড, বাঁশের লাঠি, কাঠ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বিদ্যালয়ের একটি রুমের দরজা-জানালা ভাঙা। কক্ষের ভেতরে উঁকি মেরে দেখা গেল শ্রমিকদের লেপ, তোশক, কাঁথা, বালিশ, হাঁড়ি-পাতিল ও জামা-কাপড় পড়ে আছে। বেল্টসহ প্যান্ট পড়ে আছে। দেয়ালে ছোপ ছোপ রক্ত। মেঝের কার্পেটের উপরও রক্ত লেপ্টে আছে। পাশেই লোহার রডের স্তূপ। ইট দিয়ে রক্তাক্ত স্থান ঘিরে রাখা হয়েছে। ভাঙা দরজায়ই তালা ঝুলানো। পাশের একটি কক্ষ খোলা। সেখানে ৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে দেখা গেল। রুমে ঢুকে তাদের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তারা কিছুই জানেন না বলে জানান। কিছুক্ষণ পরেই ওই সার্কেলের এএসপি ঘটনাস্থলে আসেন। এর একটু পরেই সিআইডির একটি টিম আসে। তারা এসে পুরো মন্দির ও ঘটনাস্থল ক্রাইম সিন ফিতা দিয়ে চিহ্নিত করেন।
মামলা ও গ্রেপ্তার: পঞ্চপল্লীতে হামলা ও হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। মন্দিরে আগুন দেয়ার ঘটনায় তপতী রানী মণ্ডল বাদী হয়ে মামলা করেছেন। দুই শ্রমিক হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি অজ্ঞাতনামা। এ ছাড়া পুলিশের কাজে বাধা এবং পুলিশ হত্যাচেষ্টায় মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক সংকর বালা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এই মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতেই গোবিন্দ সরকার ও অনয় ভাদুরী নামের দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
হামলায় অংশ নিয়েছিলেন যারা: কৃষ্ণনগর, জিনিস নগর, জান নগর, সীধলাজুড়ি ও তারাপুর মিলে গঠিত পঞ্চপল্লী। এই পাঁচ গ্রামের সবাই সনাতন ধর্মের। হামলার দিন আশপাশের ৫ গ্রামের অন্তত ২ হাজার লোক অংশ নেয়। একটি মামলার এজাহারে হামলায় অংশ নেয়া ও পুলিশের উপর হামলায় ৩১ জনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- গোবিন্দ সরকার, অনয় ভাদুরী, কাঙ্গাল মণ্ডল, কালিপদ মণ্ডল, রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল, কেশব মণ্ডল, সজিব মণ্ডল, মঙ্গল সরকার, প্রেম কুমার মণ্ডল, অনিল কুমার বালা, অসিম বিশ্বাস, কৃষ্ণ বিশ্বাস, হরিচন্দ্র অধিকারী, গোবিন্দ বালা, সজিব মণ্ডল, সুফল ওরফে মুক্ত, মানিক মণ্ডল, গোপাল সরকার, পলাশ সরকার, মনি কুমার বিশ্বাস, উজ্জ্বল দাস, কৌশিক জোয়ার্দ্দার, বিপ্লব মণ্ডল, গণেশ বসু, মিল্টন সরকার, হৃদয় বিশ্বাস, মনোজিৎ বালা, গৌতম মণ্ডল, মিহির সরকার, উজ্জ্বল মিত্র, রাজ কুমার সরকার।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ১নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ সদস্য অমৃত কুমার বসু মানবজমিনকে বলেন, বিনয় সাহা মূলহোতা। সে এখানে কেন আসলো। তাকে কে এখানে ফোন করে আনলো? সে সন্দেহজনক ব্যক্তি। তার চরিত্রই ভালো না। সে ধর্মীয় উস্কানিমূলক কাজকর্ম করে। সে ঘটনার সময় নেতৃত্ব দিয়েছে। মেম্বার চেয়ারম্যানের সঙ্গে সেও রুমের ভেতরে ছিল। তার ওখানে কাজ কি?
২নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ সদস্য সুজিত অধিকারী মানবজমিনকে বলেন, ঘটনার সময় অসিম বিশ্বাসের হাতে গোড়ালি ছিল। সে খুব উত্তেজিত ছিল। গোবিন্দা নামের ছেলেটি মধুখালী থানার ওসির সঙ্গে অনেক বাকবিতণ্ডা করেছে। গোবিন্দ এলাকায় তরুণদের মধ্যে নেতৃৃত্ব দেয়।
মানিকগঞ্জের একটা ঘটনা দেখার পরে আমি নিশ্চিত , ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন কোন মুসলমান লাগায়নি। মানিকগঞ্জে এক হিন্দু মহিলা মুর্তি কপালে সিঁদুর দিয়ে সেল্ফি তুলতে গিয়ে মন্দিরে থাকা মোমবাতির আগুন শাড়িতে লেগে দগ্ধ হয়েছে। ফরিদপুরে ঠিক সন্ধ্যা বেলায় সন্ধ্যাবাতি দেয়া আগুনেই পুড়েছে মূর্তি আর মন্দির। কারণ বিভিন্ন মিডিয়া প্রচার করেছে, আগুন লাগার কিছু খন আগে সেখানে এক হিন্দু মহিলা মাটির দিয়ারে আগুন নিয়ে সন্ধ্যাবাতি দিতে যায়।
য়ে মহিলা মন্দিরে আগুন দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করেছে, তাকে ধরা উচিত।এইগুলারে প্রাইমারিতে টিচার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কোয়েশচান ফাঁস করে, আর মূর্খর মতো আচরণ করে।
Manabjamin reporter did a superb with an investigative reporting.Chairman and the Member ;Binoy Saha should have arrested from the spot.Hifazat gave an ultimatum that either a speedy action against killers or face a serious agitation against the BAL regime.
আইন হাতে তুলে নিলো যারা তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কি করলো? এত সাহস কিভাবে হলো?!!!
It is preplanned by Ojit Kumar and Tapati Rani. Ojit Kumar lied to Chairman and provoke to do the murder. And the chairman is murderer, all should be hanged, just hanged.
হিন্দুদের থেকে আওয়ামী পান্ডারা বেশি ইসলাম বিদ্বেষী। ক্ষমতার মোহ এদেরকে বিবেকহীন করে দিয়েছে
চেয়ারম্যানের আচরণ দেখে বুঝা যাচ্ছে, সে নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগ, সে মুসলিম হতে পারে না। ইয়া আল্লাহ এই দেশটাকে আওয়ামী লীগের হাত থেকে রক্ষা করুন
মূল হোতা চেয়ারম্যান ও মেম্বার দের নাম মামলায় নাই কেন? তাদের উচিত বিচার দাবি করছি।
শ্রমিকদের কাজে বাধা প্রদানকারী সার্ধ লোভী মেম্বারের যথাযথ রিমান্ড আগে হউক,এবং সেই সাথে বিচার বহির্ভুত আঘাতের জন্য চেয়ারম্যানকেও,তবেই ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
এই চেয়ারম্যান কয়েক মাস আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ আনসারদের মারধর করেন, মামলা চলমান। এই চেয়ারম্যান হাজারো অপকর্মের হোতা। দৃশ্যমান তার কোনো আয় নাই, অর্ধ শিক্ষিত বেকার। তার কাজ থানার দালালী এবং মাদক সহ অনান্য অপকর্মের থেকে আয় করা।
উত্তেজিত হিন্দু জনতা লিখতে ভয় পান???আর কত হলুদ সাংবাদিকতা করবেন???আজকে যদি কোন মুসলিম রা এই কাজ করত তাহলে দেখা যেত আপনাদের কলমের ধার।
আওয়ামী চাঁদাবাজি মূল দায়ী। ছেলেগুলা ভাগ্যবান, শহীদ। ওপাড়ে সবাই যাবে, সবাই জানতে পারবে। প্রতি ইঞ্চি অন্যায়ের বিচার হবে। আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন।
ঐ মূর্তি পূজারীদের এক গ্রামে ১০০% বসবাস করতে দেয়া যাবেনা। একটি গ্রামে ৫% শয়তানের দল বসবাস করতে পারবে।
বুকের মাঝে রক্তক্ষরণ। মুসলমানের দেশে আমার ২ ভাই কে এইভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে জয় শ্রীরাম ভক্ত ও মোদির অনুসারীগণ। তোদের বিচার একদিন করবো ইনশা আল্লাহ।
খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। যথাসম্ভব দ্রুততার সাথে একেবারে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
চেয়ারম্যান +মেম্বার উগ্র ২০/২৫/জন হিন্দুূের ফসি কামনা করি, মানোনিয় প্রধানমন্ত্রী যেন সঠিক তদন্ত করে, আরো ১ থেকে, ২০০০,আসামিদের সাস্তির ব্যবস্থা করে,
চেয়ারম্যান রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেছেন তার কাজ হচ্ছে পরিস্হিতি ঠান্ডা মাথায় হেন্ডেল করা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে খবর দেওয়া কিন্তু সে তাহা না করে আইন কে নিজের হাতে নিয়ে ইনোসেন্ট দুইজন মানুষ কে হত্যা করার জন্য উস্কানিমূলক কাজ করেছেন সুতরাং এই আনফিট চেয়ারম্যান কে হত্যাকারী হিসেবে আগে গ্রেফতার করা উচিৎ।
Why All Hindu living Together, the will be new KNF, RSS, Jongi.
ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন, ইউপি মেম্বার অজিৎ কুমার, ইউপি মেম্বার লিংকন বিশ্বাস, বিনয় সাহা, অসিম বিশ্বাস, গোবিন্দা, ইউপি মেম্বার অজিৎ কুমার সরকারের নাম কেন মামলায় নাই।
সবার উচিত উগ্রবাদি আচরণ পরিহার করা।।
চেয়ারম্যানের ফাঁশি চাই।সম্পূর্ন দোষ চেয়ারম্যানের।কারন হিন্দুদে এখনো প্রর্যন্ত এর বড় সাহস হয়ে উঠে নাই বাংলাদেশে থেকে মুসলিম মেরে ফেলবে।
১০০% হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম কি পূর্বে থেকেই ছিলো নাকি গত ১৫ বছরের ফসল এইটা?
বুকের মাঝে রক্তক্ষরণ। মুসলমানের দেশে আমার ২ ভাই কে এইভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে জয় শ্রীরাম ভক্ত ও মোদির অনুসারীগণ। তোদের বিচার একদিন করবো ইনশা আল্লাহ
সাম্প্রদায়িকতার জূজূ দেখিয়ে হিন্দুদের বহুত আস্কারা দেওয়া হয়েছে। এই জুজুর অবসান চাই। এইখানে যদি কুরআন পুরানো হইতো আর মুসলমানগণ হিন্দুদের মারতে চাইতো তবে নিশ্চিত পুলিশ কারো অনুমুতি ছাড়াই গুলি চালিয়ে মুসলমানদের হত্যা করতো। কিন্তু কোন ভয়ে পুলিশ এইখানে একটা গুলি ও করলোনা। তারা দেখলো চেয়ে চেয়ে আর আমাদের ২ জন ভাই নিহত হলো। পুলিশের গাফিলতির জন্য মামলা হোক। এস.আই হিন্দু না হলে হয়তো প্রাণ ২টি বেঁচে যেত।
অবিলম্বে এই গ্রাম গুলোতে মুসলমানদের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া হোক এবং মসজিদ নির্মাণ এর জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া হোক সরকারি ভাবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, মেম্বার অজিত কুমার, মেম্বার লিংকন বিশ্বাস, প্রভাস কুমার হামলায় জড়িত অথচ মামলায় তাদের নাম নেই। সুতরাং ন্যায়বিচার সুদূরপরাহত।
তপতি রানী মন্ডল, মেম্বার ও চেয়ারম্যান সবাইকে সঠিক তদন্ত করলে আমার মনে হয় প্রকৃত ঘটনা পাওয়া যাবে। তাছাড়া মানুষ অপরাধ করলে তার দৃষ্টান্ত বিচার হবে। আমি মনে করি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটু সুনজর দিলে সঠিক তদন্ত করা সম্ভব। তখন প্রকৃত ঘটনা কি জানা যাবে । ইনশাল্লাহ।
এমন গ্রাম এই দেশে কাম্য নয় যে গ্রামে কোনো মুসলমান বাস করতে পারবে না ও কোন মসজিদ নির্মাণ করতে পারবে না।
কোন মন্তব্য করবো না, শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবো। সংখ্যালগু জালিমদের সুযোগ দিলে কি হয়, আর সংখ্যাগরিষ্ট নামধারী মুসলিমরা কতদিন সহ্য করে থাকতে পারে জুলুমের স্বীকার হয়ে। যেদিন আমার উপরও এমন কিছু হয়, তাহলেও মুখ বন্ধ করে সহ্য করবো। প্রতিবাদ করার হাত আর মুখ এখন শক্ত করে বাধা। কিছু বললে আমি অ্যারেস্ট হবো, আর কিছু করলে অন্ধকারে পতিত হবো। হয়তো একদিন সংখ্যাগরিস্টরা বুঝবে, প্রতিবাদ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু তখন তারা সংখ্যালগুতে পরিনত হবে। হিন্দুত্ববাদি শাসন এইদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ হয়ে যাবে ভারতের অঙ্গরাজ্য।
তপতি রানী মন্ডল কে গ্রেপ্তার করলে থলের বিড়াল বের হবে। এই কপট নারী এই ঘটনার মূল এজেন্ট। এই মক্ষি রানী কে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক।
আমরা এ বাংলাদেশ চাইনি। এ বর্বরতার শেষ কোথায়। এসব উগ্রবাদী আর.এস.এ. সদস্যদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
উগ্র হিন্দুরা পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে। যেন দেখার কেউ নাই।
বিগত ১৫ হিন্দুয়ানী শাসনের ফলে হিন্দুরা খুব বাড় বেড়েছে কারণ সরকার প্রশাসনের প্রায় সকল জায়গায় হিন্দুদের নিয়োগ দিয়ে রেখেছে।
খুঁজলে পাওয়া যাবে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি কোন ইকবাল করেছে। বাংলাদেশে প্রত্যেক ঘটনার পিছনে খুঁজলে কোন হিন্দুদের পাবেন না। ঐসব জঙ্গীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে।
ভারত+ইহুদি ষড়যন্ত্রে আক্রান্ত বাংলাদেশ,জাতীয় ঐক্য জরুরী,দেশপ্রেমিকদের মাতৃভুমি রক্ষার্থে ভুমিকা রাখতে হবে। হে আল্লাহ বেঈমানদের প্রতিরোধ করেন, আমাদের এবং দেশকে হেফাজত করেন।আমীন।
অজ্ঞাতনামায় এবার বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার দেখানো হবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, মেম্বার অজিত কুমার, মেম্বার লিংকন বিশ্বাস, প্রভাস কুমার হামলায় জড়িত অথচ মামলায় তাদের নাম নেই। সুতরাং ন্যায়বিচার সুদূরপরাহত।
ইদানিং বাংলদেশেও অনেক হিন্দু এখন উগ্রপন্থী, মৌলবাদী জঙ্গি হয়ে উঠেছে
ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, বিনয় সাহা, অসিম বিশ্বাস এরাই মুলত দায়ী। এদের সহযোগী তপতী রানী মন্ডল। এদের রিমান্ডে নিলেই ইনশাআল্লাহ পানির মতো সহজ হয়ে যাবে।
চেয়ারম্যান রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেছেন তার কাজ হচ্ছে পরিস্হিতি ঠান্ডা মাথায় হেন্ডেল করা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে খবর দেওয়া কিন্তু সে তাহা না করে আইন কে নিজের হাতে নিয়ে ইনোসেন্ট দুইজন মানুষ কে হত্যা করার জন্য উস্কানিমূলক কাজ করেছেন সুতরাং এই আনফিট চেয়ারম্যান কে হত্যাকারী হিসেবে আগে গ্রেফতার করা উচিৎ।
আমরা কোন ধর্মকেই ছোট করে দেখছিনা। ধর্ম মানেই ভালো, পবিত্র। সনাতন ধর্মে কী লিখা আছে কোন লোক লুকিয়ে মূর্তি ভাঙ্গলে বা পোড়ালে বা মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করলে তাদেরকে হত্যা করলে স্বর্গে যাওয়া যাবে? না-কি দেশীয় আইনের মাধ্যমে অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে ভবিষ্যৎতে যাতে এধরনের স্পর্শকাতর কাজ থেকে যেন বিরত থাকে সে জন্য মন তৈরি কারে দিতে হবে। প্রায় নিরাপরাধ হিন্দুরাও হত্যার স্বীকার হয়। কোন মৃত্যুই আমাদের কাম্য নয়। আমরা সবাই বাংলাদেশী। তবে আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনির উধাসিনতা এবং নিরপেক্ষ থেকে তদন্ত না করা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রভাব থেকে কাজ করা। অপরাধীদের মিডিয়া ট্রায়ালে মাধ্যেমে সুযোগ শাস্তি সহজ করে দেয়া। সর্বোপরি নিরপেক্ষ তদন্ত না করার কারণে দিনের পর দিন আমাদের স্মপ্রীতি নষ্ট হচ্ছে। একই পরিবারের দু’টি প্রাণ, পারবে কি ধর্মের লেভাসদারী উগ্র হিন্দুরা পিরিয়ে দিতে? আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি এ গোষ্টীটির আস্থা না থাকার কারণেই এবং অপরাধ করে পার-পাওয়ার সুযোগ আছে নিশ্চিত যেনেই চেয়ারম্যান, মেম্বর সহ অন্যান্যরা এ নিরীহ শ্রমিকদের লাশ করে আইন-শৃঙ্খলাকে দেখিয়েছেন বৃদ্ধা আঙ্গুল আর উগ্র হিন্দুরা করেছে স্বর্গে যাওয়ার রাস্তা।
বেশীর ভাগ পত্রিকা তো থাকে চুরিচামারী ও ভারত বাংলাদেশ সরকারের দালালিতে। পত্রিকাগুলি বাতিল না করলে জনগন সত্য জানতে পারবে না।
হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ট এলাকাগুলোতে সরকারের গোয়েন্দাা নজরদারি বাড়ানোর দরকার। এইসব এলাকাগুলোতে উগ্রপন্থী আরএসএস এর কোন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি না গভীরভাবে খতিয়ে দেখা উচিৎ।
আগুনে পোড়া মামলার বাদিনী তপতি রাণী মণ্ডলের আচরণ সন্দেজনক।অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়ার জোড় দাবী জানাচ্ছি তাহলে আগুন লাগার রহস্য উদঘাটন হবে বলে বিশ্বাস।
হত্যাকাণ্ডের বর্ননা অনুসারে এজাহারে দু’জন ইউপি সদস্যের একজনেরও নাম নেই। এদেরকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী জঙ্গী আখ্যাদিয়ে তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তির আনা হোক।
একটি মুসলিম দেশে কোন প্রমান ছাড়া ঠুনকো অযুহাতে হিন্দুদের হাতে মুসলিম দের পিটিয়ে হত্যা অত্যন্ত নিকৃষ্ট এবং ভয়াবহতম অপরাধ এত দুঃসাহস তারা কোথায় পায় এদের বিচার এভাবেই প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা উচিত
হত্যাকারীদের ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত।
এর সুষ্ঠু তদন্ত করে কঠিন বিচার চাই✊ এই হিন্দুত্ববাদী যাতে এমন করার সাহস না পায়।
হিন্দুদের উপর অধিকাংশ নির্যাতনের সূত্রপাত তারা নিজেরাই। মিড়িয়া ও তাদের পক্ষ নিয়ে কাজ করে। যদি আজ দুজনকে হত্যা করা না হতো। মিড়িয়া ও প্রশাসন তাদের কেই দোষী করে দিতো এতক্ষণে।
সঠিক নিরপেক্ষ তদন্ত হলে আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। ওরা নিরীহ শ্রমজীবী অত হিন্দু এলাকায় কাজে করতে গিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে এত বড়ো সাহস ওদের হতেই পারে না। এখানে বড়ো ধরনের চক্রান্ত হয়েছে। এ চক্রান্ত কারি দের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
যে ধর্মবিশ্বাস মানুষকে উন্মত্ত অমানুষ করে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে বিচার করে শাস্তি দিতে প্ররোচিত করে, সেই অমানবিক ধর্মবিশ্বাসমুক্ত হওয়া ও সেই ধর্মবিশ্বাসের অমানবিকতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা প্রতিটি সুশিক্ষিত সচেতন মানুষের মানবিক দায়িত্ব।
এটা যে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে তা পরিষ্কার উগ্রবাদ ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দু জঙ্গিদের অবশ্যই অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে আর তা না হলে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ তাদেরকে প্রতিহত করবে
নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি, সেই সাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য সকলের সচেতনতা কামনা করছি।
অবশেষে চেয়ারম্যান সাব চাপে পইড়া সব দায় নিজের কাঁধে নিলেন ।
ষড়যন্ত্র কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি তার সকল পদ্ধতি এই জায়গায় প্রয়োগ করা হয়েছে
I would like to express my deep appreciation for your recent investigative articles. Your report displayed a significant amount of insightful instinct and was instrumental in unveiling the truth. Please accept my salute for your dedication to revealing important facts and contributing to transparent journalism.
এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ট এলাকাগুলোতে সরকারের গোয়েন্দাা নজরদারি বাড়ানোর দরকার। এইসব এলাকাগুলোতে উগ্রপন্থী আরএসএস এর কোন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি না গভীরভাবে খতিয়ে দেখা উচিৎ।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে আজকে তারাই নির্যাতিত, কুলাঙ্গারদের ফাঁসি হওয়া উচিত
দারুন রিপোর্ট হয়েছে। তবে এই রিপোর্ট কতক্ষন অনলাইনে থাকবে জানিনা।
চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন, মেম্বার অজিৎ কুমার এই দুই জন মূল হোতা । এদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক ।
" চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কারও কথা না শুনেই লোহার পাইপ দিয়ে আশরাফুলকে পেটাতে শুরু করেন " ---- koi ? na take asami kora hoyeche, na arrest ?
চেয়ারম্যান এর উচিত ছিলো আগে এসে সবার কথা শোনা! তা শেষ করে বের করা কিভাবে কি ঘটেছে। উদ্দেশ্যই ছিলো এদের হত্যা করা, কিছু উগ্রবাদী হিন্দু এবং একজন দালাল চেয়ারম্যান এসে ২ ভাইকে হত্যা করে বুঝিয়ে দিয়েছে এই জাতি এখনো গুজব বিশ্বাসী! অথচ, স্বাধীনতার ৫০ বছরে কোনো মুসলিম কখনো এভাবে দাঙ্গা করার চেষ্টা করেনি। বিচার এর আশা করে লাভ হবে না। এরা সামান্য শ্রমিক, কিন্ত এর বিচার আল্লাহই করবেন। এই দুইভাই কেয়ামতের ময়দানে এদের কাঠগড়ায় দাড় করাবেন।
সঠিক তদন্ত ও বিচার হয়া উচিত।
সন্ধ্যায় মন্দিরে সন্ধ্যা বাতি জ্বালিয়েছে যে নারী, সেই সন্ধ্যা বাতির আগুনেই পুড়েছে মূর্তির কাপড়। এটাই সত্য। হত্যাকারীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।
দেশের কথিত শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলো যখন না দেখার ভান করছে তখন মানবজমিন সাহসি ভূমিকা পালন করেছে। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। দেশের মানুষ এখন কিছু করতে পারবে না। তাদেরকে খোজাকরণ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু তারা মানবজমিনের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে রাখল। তারা চিরদিন খোজা থাকবে না। কোনোদিন আবার পৌরুষ ফিরে পাবে বলে আশা করি। সেদিন যা যা ঘটবে তার জন্য আজ যা যা ঘটছে তা তা-ই দায়ী থাকবে।
এই সরকারের আমলে এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার হবে না। হে আল্লাহ তুমি আমার ভাই দুটিকে শাহাদাতের মৃত্যুর মর্যাদা দিও আমিন
এই সরকারের আমলে, 'উনারা ' এতো সাহসী হয়ে উঠেছেন, আরও অনেক স্থানে এই অপকর্ম করে যাচ্ছেন।
I think this type of work should be handed over to army..no more contractors..whether it is big or small amount.thanks..
এই ঘটনার সঠিক এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও ন্যায় বিচার হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
হিন্দু মৌলবাদী জংগী, সাপ্রদায়িক সম্প্রতি বিনস্টকারী খুনি এবং তাদের দোসরদের ফাঁসি চাই।
উত্তেজিত হিন্দু জনতা লিখতে ভয় পান???আর কত হলুদ সাংবাদিকতা করবেন???আজকে যদি কোন মুসলিম রা এই কাজ করত তাহলে দেখা যেত আপনাদের কলমের ধার।
অনেকগুলো ঘটনা ঘটে গেছে!! সন্দেহ বশত পিঠিয়ে হত্যা না করার বিষয়টি রাস্ট্রীয়ভাবে প্রমোট করা হোক।ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিষয়টি প্রচার করতে হবে।লজ্জার বিষয় একই ধরনের অনেকগুলো ঘটনা গত কয়েক বছরে ঘটেছে। তাহলে কি আমরা বর্বর জাতি?
মানুষ কিভাবে এতো মূর্খ হতে পারে
টনাস্থলে উপস্থিত ১নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ সদস্য অমৃত কুমার বসু মানবজমিনকে বলেন, বিনয় সাহা মূলহোতা। সে এখানে কেন আসলো। তাকে কে এখানে ফোন করে আনলো? সে সন্দেহজনক ব্যক্তি। তার চরিত্রই ভালো না। সে ধর্মীয় উস্কানিমূলক কাজকর্ম করে। সে ঘটনার সময় নেতৃত্ব দিয়েছে। মেম্বার চেয়ারম্যানের সঙ্গে সেও রুমের ভেতরে ছিল। তার ওখানে কাজ কি? ২নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ সদস্য সুজিত অধিকারী মানবজমিনকে বলেন, ঘটনার সময় অসিম বিশ্বাসের হাতে গোড়ালি ছিল। সে খুব উত্তেজিত ছিল। গোবিন্দা নামের ছেলেটি মধুখালী থানার ওসির সঙ্গে অনেক বাকবিতণ্ডা করেছে। গোবিন্দ এলাকায় তরুণদের মধ্যে নেতৃৃত্ব দেয়।