প্রথম পাতা
ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, পিটিয়ে হত্যা
‘মারেন কেন আমরা তো দোষ করিনি’
মাহাবুবুল ইসলাম পিকুল, ফরিদপুর থেকে
২১ এপ্রিল ২০২৪, রবিবারআমরা অনেক অনুনয় বিনয় করে বলেছিলাম আমরা আগুন লাগাইনি, আমরা দোষী না। আমরা যতই নির্দোষ দাবি করছিলাম ততই আমাদের ওপর নির্যাতন বেড়েই চলছিল। কথাগুলো বলছিলেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের পঞ্চম তলার সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন থাকা নান্নু মণ্ডল। তিনি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামে স্থানীয়দের পিটুনিতে আহত হন। পিটুনিতে দুই শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত অবস্থায় ৭ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এই শ্রমিকরা স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনির শিকার হন। এ ঘটনায় এলাকায় উচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। তিনি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে। মন্দিরে আগুনের ঘটনায়ও মামলা করা হয়েছে।
মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামে গিয়ে জানা যায়, গত ১৮ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকার বারোয়ারী কালী মন্দিরে পূজা দিচ্ছিলেন পাশের বাড়ির তপতি মণ্ডল নামের এক গৃহবধূ। মন্দিরটিতে তিনি প্রতিদিন একই সময়ে একাই পূজা-অর্চনা করেন। ওইদিন পূজা দেয়া শেষে বাড়ি যাওয়ার সময় দেখছিলেন মন্দির সংলগ্ন পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের শ্রমিকরা ভবনের ছাদে রড তুলছিলেন। তিনি বাড়ি যেতে না যেতেই মন্দিরে আগুন লাগার খবর শুনে এসে দেখেন কালীর কাপড়ে আগুন। আগুনের খবর পেয়ে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা সেখানে জড়ো হন। শ্রমিকরা মন্দিরে আগুন দিয়েছেন এমন সন্দেহ থেকে একজোট হয়ে বিদ্যালয়ে থাকা ৯ শ্রমিককে তালাবদ্ধ করে ফেলেন। তারপর তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। নির্যাতনে ঘটনাস্থলেই দুই শ্রমিক পার্শ্ববর্তী এলাকা নওপাড়ার শাজাহানের দুই ছেলে আশরাফুল ও আরশাদুল মারা যায়। নির্যাতনে গুরুতর আহত হন অন্য শ্রমিকরা। স্থানীয়রা নিহত ও আহতদের ৬ ঘণ্টা ওই রুমে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
এসময় ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেখান থেকে তিনি পুলিশকে খবর দেন। মধুখালী থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জেলা পুলিশকে অবহিত করে। পরে ফরিদপুর ও রাজবাড়ী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে এলাকাটিতে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। পরিদর্শনে আসেন ডিআইজি মারুফ হোসেন। বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম বলতে চাইছে না পুলিশ।
শনিবার সকালে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, ধর্ম সচিব মোহাম্মাদ আবদুল হামিদ জমাদ্দারকে নিয়ে নিহত দুই সহোদরের পিতামাতার প্রতি সমবেদনা জানাতে তাদের বাড়ি মধুখালী উপজেলার নওপাড়া যান। সেখানে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং নিহতদের কবর জিয়ারত করেন। পরে ঘটনাস্থল পঞ্চপল্লী কালী মন্দির পরিদর্শন করেন।
মন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, কে কাকে মেরেছে তা এখন আমরা বলতে পারছি না। ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার লক্ষ্যেও হতে পারে। যাইহোক পরিবেশ শান্ত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, দুটি প্রাণ ঝরে গেল জেনেও ছয় ঘণ্টা একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রাখাটা নিন্দনীয়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলতে চাই এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
পুলিশ সূত্র জানায়, এ ঘটনায় নিহতের পিতা শাজাহান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন, মধুখালী থানার এসআই শংকর কুমার পুলিশ অ্যাসল্ট ঘটনায় আরও একটি মামলা করেছেন। মন্দিরে আগুনের ঘটনায়ও একটি মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ কারণ এ দেশে সংখ্যালঘুও সংখ্যাগরিষ্ঠ্যকে নির্মমভাবে হত্যা করতে পারে! সবকয়টা ভারতের দেখে শিখেছে। তারা ভেবেছে ভারতে যেমন হিন্দুর দ্বারা মুসলিম হত্যার বিচার হয় না, বাংলাদেশেও হবে না। আসলে বাংলাদেশ তো ইতোমধ্যে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। আর কয়েকদিন পর আমাদের নিজেদের মাথায় কুড়াল পড়বে।
বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ কারণ এই দেশে সংখ্যালঘুও সংখ্যাগরিষ্ঠ্যকে নির্মমভাবে হত্যা করতে পারে! সবকয়টা ভারতের দেখে শিখেছে। তারা ভেবেছে ভারতে যেমন হিন্দুর দ্বারা মুসলিম হত্যার কোনো বিচার হয় না, বাংলাদেশেও হবে না। বাংলাদেশ তো ইতোমধ্যে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। আর কয়েকদিন পর আমাদের নিজেদের মাথায় কুড়াল পড়বে।
এটা কোন দেশে আছি আমরা
আল্লাহ্ সুবহানাহু তায়ালা শ্রেষ্ঠ ও ন্যায় বিচারক। তিনি খুুব ভালো করেই সবকিছু দেখেন এবং অবগত আছেন।
এই হচ্ছে নিরীহ নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের এবং তাদের দোসরদের আসল চেহারা! সবকিছু ফ্যাসিবাদের জন্য হচ্ছে!
হিন্দু দের এত সাহস কিভাবে হলো। সরকার বিচার করলে তো ভালো কথা না করলে এদের বিচার এদেশের মুসলিম ভাই এরা করতে পারবে এরা এখনো হাতের বাইরে যেতে পারবেনা যতই
একজন হিন্দু মারা গেলে এতক্ষনে ঐ এলাকায় কোন মুসলিম থাকতে পারতো না। হায়রে স্বাধীন দেশ!
Kochu hobe. karon kauke dhorar shahoshi pabe na!
তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দরকার। দলবাজ দোষী ব্যক্তিদেরকে দায়ী থেকে অব্যহতি দেয়া না হয়।
মতামত দিয়ে লাভ কি? মানবজমিন কমেন্ট পাবলিস্ট করে না
দেশের বর্তমান আইন শৃংখলার যে পরিস্হিতি তাতে যেকোন সময় সামপ্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়ে যেতে পারে তাই এসকল ষ্পর্স কাতর বিষয়ে সরকারকে অতি সতর্কতা অবলম্বন করে জরুরী ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্হা নেওয়া জরুরী ,
মানবজমিনে কমেন্ট করে রাখলাম, এই হত্যা মামলায় বাংলাদেশী অথবা ভারতীয় কোন হিন্দু ব্যক্তির সাজা হবে না, হয়তো চার্জ সীটেও নাম আসবেনা।
পাপ তার বাপকেও ছাড়েনা। প্রত্যাশা রইল দৃষ্টান্তমূলক বিচারের। আর আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা শ্রেষ্ঠ ও ন্যায় বিচারক। তিনি খুুব ভালো করেই সবকিছু দেখেন এবং অবগত আছেন।
এতবড় হত্যাকান্ড গ্রেফতার করা হলো মাত্র একজনকে তাও নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। এটা কি ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার লক্ষণ।
বিষয়টি খুব কঠোর ভাবে দ্রুত বিচার করে তা কার্যকর না করা হলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রুপ নিতে পারে।
সত্যতার প্রমাণ ছাড়া অনুমান করে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা অথবা ধর্মবিদ্ধেষী হয়ে এরকম নিষ্ঠুর হৃদয়বিদারক কাজ যারা করতে পারে তারা কোন ধর্মের অনুসারী হতে পারে না।
আমি ইউটিউব ও বিভিন্ন মতামত ঘেটে দেখলাম,পঞ্চপল্লী গ্রাম ৫টি ১০০% হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম।গ্রামের নেতারা ঠিকাদারের কাছে চাঁদা চেয়েছিল।এনিয়ে স্হানীয় নেতা(হিন্দু) রা অসন্তুষ্ট ছিল।আর তাই ঐ শ্রমিকদের পিটিয়ে মেরেছে।আর ঘটনা চাপা দিতে মন্দিরে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটিয়েছে।নিজেদের ঘৃন্য অপরাধ ধামাচাপা দিতে ধর্মের ব্যবহার। সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার কথা আবার মনে করিয়ে দেয়।
মন্দিরে কে বা কারা আগুণ দিয়েছে তার প্রমান ছাড়া দু’জন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করে ৬ ঘন্টা লাশ সহ ৯ জনকে অবরুদ্ধ করার মতো নিষ্ঠুর কাজ কিভাবে সম্ভব হলো। দেশ কী উগ্র হিন্দুরে হাতে চলে গেছে? এটি পরিকল্পিত এবং বড়ধরনের কোন ষড়যন্ত্রের অংশ কি না তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখা দরকার।
৯২℅ মুসলমানদের দেশে মুসলিমরা আজ সংখ্যা লঘু। মুসলমানদের ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত হবে কবে?
হাত বেঁধে পৈশাচিক কায়দায় পিটিয়ে মারা হয়েছে! খুনীদের আটক ও দ্রুত বিচার হবে কি? নাকি খুনীদের রক্ষা করা হবে?
দায়ি কাফেরদেরকেও পিটিয়ে মেরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে ।
কেন দেশ ও জনগণের স্বার্থে ফ্যাসিবাদ উৎপাটন জরুরি? কারণ সকল অন্যায় অবিচার অনিয়ম ওই ফ্যাসিবাদের চক্রকে ঘিরে আবর্তিত হয়।
দোষীদের খুঁজে ক্যাপিটাল শাস্তি দেয়া হোক ।
কারো কোন নিরাপত্তা নেই।কিছুদিন পরে হয়তো ফিলিস্তিনিদের মতো অবস্হা হবে।
আল্লাহ এই দেশে আইন, বিচার ব্যবস্থা বলে কিছুই নেই, তুমি জালিমদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাও। মজলুমদের শক্তিশালী করো নয়ত জালিমদের নাস্তানাবুদ করে দাও। আমীন।
নাটক আর কত দেখাবেন? এই ঘটনা মুসলমানরা করলে এতক্ষণে কয়েকশজনকে গ্রেফতার করে ফেলত। আর এখানে মাত্র একজনকে গ্রেফতার! আদো গ্রেফতার করছে কিনা সন্দেহ আছে। কি চাচ্ছেন আপনরা জনগণ আইন হাতে তুলে নিক!
যৌথ প্রযোজনার থ্রিলার
এত বড় ঘটনা প্রথম আলোতে কোন পাতায় এ খবরটি প্রকাশ করেনি। এ জন্য বুজে নিতে হবে।
কতটা নির্মম কতটা জঘন্য
উগ্রবাদী ইসলামবিদ্বেষী কিছু সংখ্যক হিন্দুরা মুসলিমদের নির্যাতন করে হত্যা করেছে এইসব হত্যাকারী জঙ্গিদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে
স্থানীয়দের থেকে জানা যায় আওয়ামী লীগ নেতার দাবিকৃত চাঁদা না পাওয়াতে তারা নিজেরা আগুন লাগিয়ে শ্রমিকদেরকে হত্যা করছে।
উগ্রবাদী হিন্দু সন্ত্রাসী।
হিন্দুরা নিজে আগুন লাগিয়ে অন্যায়ভাবে শ্রমিকদের হত্যা করেছে, এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং সঠিক বিচার কামনা করি।
তোদের তদন্তের গুষ্টি মারি, সকল হিন্দু মেরেছে তবুও তদন্তের নাটক করা হচ্ছে আর একটা হিন্দু ফেইসবুকে পোস্ট করে উল্লাস করতেছে এবং আগামীতে আরো মুসলমান মারার আকাঙ্খা প্রকাশ করেছে, সাবধান অবিলম্বে সকলকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনে বিচার করা হোক নইলে আশেপাশের মুসলমানরা নিজেরাই এদের বিচার করবে এবং যে পোস্ট করেছে তার পরিচয় প্রকাশ করার জন্য মতি ভাইয়ের কাছে অনুরোধ জানাই, ছোট থেকে এই পত্রিকা আমার প্রিয় কিন্তু আজকের কমেন্ট পাবলিক না হলে ফেইসবুকে লাইভ করে মানবজীবন বয়কট করবো, আশা করি মানবজীবন পত্রিকার সাংবাদিক ভাইয়েরা দেশপ্রেমের প্রমাণ দেবেন,
নিঠুর নির্মমতার চরম ইতিহাস হয়ে থাকবে ফরিদপুরের এই ঘটনা
এই সরকারের আমলে 'উনারা ' বড্ড বেশি সাহসী হয়ে উঠেছেন।
সীমান্তের ওপারেও হিন্দুদের হাতে মুসলমানরা নিহত হয়। এপারেও একই ঘটনা। তাহলে সীমান্ত তুলে দিয়ে হত্যার সুযোগ অবারিত করে দেওয়া হোক। এই ঘটনা কোনো মসজিদে হামলার জের ধরে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সময় পুলিশের গুলিতে কত লোক মারা যেত? এখানে তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুই ঘটল না। আর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলই ৬ ঘণ্টা পর। নির্যাতনের শিকার প্রাণগুলো কত কষ্ট পেয়ে দেহত্যাগ করেছে!!!!
কচু হবে কারণ অপরাধীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের।