ঢাকা, ৫ মে ২০২৪, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখি না

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার
mzamin

ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। গতকাল দুপুরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আইপিএস নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) ও বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরে ভারতের নেতৃত্বকে স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়টিকে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলো কীভাবে দেখে, এমন প্রশ্নের উত্তরে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না। গণমাধ্যমসহ নানা জায়গায় শুনেছি যে ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। এটা সত্যি না। আমরা যদি দ্বিপক্ষীয় অভিন্ন স্বার্থের নিরিখে দেখি তাহলেই আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। 

মাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ঢাকার ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুকের সঙ্গে আমাদের আইপিএস’র অনেক সাদৃশ্য আছে।

বিজ্ঞাপন
এখানেও সমৃদ্ধির কথা ফোকাস করা হয়েছে। সমুদ্র নিরাপত্তা, কাউন্টার টেরোরিজম, আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, শান্তি ও নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোর কথা বলা হয়েছে। অবাধ ও মুক্ত অঞ্চল, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ অঞ্চলের কথা বলা হয়েছে যেগুলোর সঙ্গে আমাদের কৌশলের মিল রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের ‘অবাধ ও মুক্ত’ এর ধারণা অবাধ ও মুক্ত অঞ্চলের পাশাপাশি অবাধ ও মুক্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গেও সম্পর্কিত যা কিনা মানুষকে নিরাপত্তা দেয় এবং সমৃদ্ধ করে, দেশের ভেতরে এবং পুরো অঞ্চল জুড়েই। আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশকে কাজ করতে উৎসাহিত করবো। 
গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ওয়াশিংটনভিত্তিক সরকারি গবেষণা সংস্থা- ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিস (ইউএসআইপি) আয়োজিত “দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি ইন অ্যাকশন: মেমোরেটিং দ্য সেকেন্ড অ্যানিভার্সারি” শীর্ষক অনুষ্ঠানে দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য-এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে ভারত মহাসাগরের বিষয়ে ভারতের নেতৃত্ব অনুসরণের বিষয়ে বলেছিলেন, “আপনাদের ভারতীয়দের সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং ভারত মহাসাগরের ক্ষেত্রে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা যা করছি তা ভারত মহাসাগরের ক্ষেত্রে তারা যেদিকে এগিয়ে চলেছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ঐতিহাসিকভাবে তারা বড় খেলোয়াড়।” কিছু কিছু সমালোচক ও বিশ্লেষক মনে করেন সেক্রেটারি লু এমন এক সময় এই কথা বলেছেন যখন দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ভারতের প্রভাব দুর্বল হচ্ছে। আপনি কী মনে করেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে মার্টিন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত যে বৃহৎ এবং গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এটা গোপন কিছু নয়। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সকল দেশ এটা বুঝলে সুবিধা হবে। আমি বলতে চাচ্ছি যে, আমরা সবাই এটা মনে করি, বিশ্বের যে প্রান্তেই তাকাই না কেন। তবে, আমরা এমন এক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল দেখতে চাই যেখানে কোনো দেশ কারও দ্বারা শাসিত হবে না, কোনো দেশ অন্য দেশকে শাসনও করবে না এবং এটা কোনো নির্দিষ্ট দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। 
 

পাঠকের মতামত

Except Jews will rule Palestinians.

mohd. Rahman ostrich
২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৫:২৭ অপরাহ্ন

আমেরিকা চায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ভারতকে মান্য করে চলা উচিত। ভারতের অভিপ্রায় মোতাবেক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে নির্বাচন হবে এবং ভারতের পছন্দের দল ক্ষমতায় থাকুক! কিন্তু ভেজাল লাগাইছে পুঁচকে মালদ্বীপ!

Harun Rashid
২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৪:৩৭ অপরাহ্ন

দুঃখিত, একমত নই, ইন্ডিয়া একবারও বলে নি জনগণ care taker সরকার চাইলে, সেভাবেই নির্বাচন করুন, শ্রী রাধা দত্ত বলেছেন ৫-১০% ভোটার উপস্থিতি, তাহলে বাকি জনগণ কি ভোট দিবেন না, নিশ্চিত ভাবে প্রতিবেশী দেশ 90% জনগণকে পাত্তাই দিলো না,লং রানে খারাপ হবে।

Arif Zobayer
২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status