প্রথম পাতা
২০ দেশের মাথায় বিশাল অঙ্কের চীনা ঋণের বোঝা
মানবজমিন ডেস্ক
১ মে ২০২৪, বুধবারএশিয়া থেকে আফ্রিকা। গেল কয়েক বছর ধরে চীনা ঋণ নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। পশ্চিমা অর্থনীতিবিদরা এ ঋণের সমালোচনা করে থাকেন। তারা এটিকে বলেন, ‘ঋণের ফাঁদ’। যদিও চীন এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। চীনা ঋণ নেয়া শীর্ষ দেশগুলো কারা- এ নিয়ে এক ধরনের কৌতূহল আছে। এইড ডাটার ২০২৩ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, এসব ঋণের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ ঋণগ্রহীতা দেশ আর্থিক সংকটে। চীনের কাছ থেকে ঋণ নেয়া শীর্ষ ২০টি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে অনলাইন ভিজুয়ালক্যাপিটালিস্ট। ইয়াহু ফাইন্যান্সের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে এসব দেশের তালিকায় আছে পাকিস্তান (২৬.৬ বিলিয়ন ডলার), এ্যাঙ্গোলা (২১ বিলিয়ন ডলার), শ্রীলঙ্কা (৮.৯ বিলিয়ন ডলার), ইথিওপিয়া (৬.৮ বিলিয়ন ডলার), কেনিয়া (৬.৭ বিলিয়ন ডলার), বাংলাদেশ (৬.১ বিলিয়ন ডলার), জাম্বিয়া (৬.১ বিলিয়ন ডলার), লাওস (৫.৩ বিলিয়ন ডলার), মিশর (৫.২ বিলিয়ন ডলার), নাইজেরিয়া (৪.৩ বিলিয়ন ডলার), ইকুয়েডর (৪.১ বিলিয়ন ডলার), কম্বোডিয়া (৪.০ বিলিয়ন ডলার), আইভরি কোস্ট (৩.৯ বিলিয়ন ডলার), বেলারুশ (৩.৯ বিলিয়ন ডলার), ক্যামেরুন (৩.৮ বিলিয়ন ডলার), ব্রাজিল (৩.৪ বিলিয়ন ডলার), কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (৩.৪ বিলিয়ন ডলার), দক্ষিণ আফ্রিকা (৩.৪ বিলিয়ন ডলার), মঙ্গোলিয়া (৩ বিলিয়ন ডলার) ও আর্জেন্টিনা (২.৯ বিলিয়ন ডলার)।
এই ডাটা থেকে দেখা যাচ্ছে- পাকিস্তান এবং এ্যাঙ্গোলা চীনের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের ঋণ নিয়েছে। উভয় দেশই বিভিন্ন অবকাঠামো ও জ্বালানি প্রকল্পের জন্য চীন থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ঋণ নিয়েছে।
চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তহবিল প্রদান করেছে। বিআরআই একটি বিশাল অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্প যার লক্ষ্য চীন এবং এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানো। অনেকে বিশ্বাস করেন যে, অদূর ভবিষ্যতে এই ঋণপ্রবাহ একটি সমস্যা হতে পারে। AidData-এর ২০২৩ সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই ঋণগুলোর ৮০% দেশগুলোকে আর্থিক সংকটে ফেলতে পারে, দেশগুলো তাদের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হবে কিনা তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।
সূত্র : visualcapitalist
ঋন দিয়ে যদি দেশের জনগনের উন্নয়নে কাজ করা হয়, তাহলে সেই ঋন নিতে কোন সমস্যা থাকে না কিন্তু চুরির উদ্দেশ্যে ঋন নিলে তা হিতে বিপরিত হবে এটাই বাস্তবতা।
ঋণ যারা নিয়ে দেশ চালাচে তারা কি দেশের সার্থে এই ঋণ নিতেছে নাকি তাদের ক্ষমতা ঠিকে রাখতে এই ঋণ নিতেছে।এই গুলো ঋণ দাতাগন ভালো করে যাচাই বাছাই করা দরকার। একটা কথা মনে রাখা দরকার কেউ চিরস্তায় ক্ষমতা থাকে না।আর দেশ কারো বাপের একার না।যেই দেশের সরকার নিজ দেশের প্রতি মায়া আর দেশের জনগণকে এক কাতার দেখতে চাই। সেই দেশ বাহিরে কোনো দেশ থেকে ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
চীনের ঋণ নিয়ে সেই দেশ যদি ফালতু খরচ করে তবে চীনের দোষ কোথায়? লিস্ট এ থাকা প্রতিটা দেশের চুরি চামারির সমস্যা আছে। তাদের লোন হলো ক্রেডিট কার্ড এর মতো। পেতে সহজ, ইন্টারেস্ট বেশি, খরচ করতে জবাবদিহি করতে হয়না। কথা হল আপনি ইচ্ছা মতো ফালতু খরচ করে ধরা খেয়ে কার্ড এর দোষ দেবেন। তা কি হবে চান্দু।
চীনা ঋণে চীনা শ্রমিক, চীনা কাঁচামাল। শেষ পর্যন্ত টাকাটা চীনেরই! পাকিস্তান অনেক প্রিয় বন্ধু। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে বন্ধু গিলে ফেলবে। রোহিঙ্গা নিধন করে আরাকান মুক্ত। পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটি করে বঙ্গোপসাগর দখল। মালদ্বীপ-শ্রীলংকা দখল। পশ্চিমে পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দর নির্মাণ করে আরব সাগর দখল। লাদাখে দিয়ে ইন্ডিয়াকে ব্যস্ত রেখে অরুণাচল দিয়ে আসাম হয়ে বাংলা দখল চায়না মতলব। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দেশ ফ্যাসিস্ট চীনের ফাঁদে যেন না পড়ে।
World Bank loan best. Chinese loan is 100 times better than Indian loan.
China is one of the United States's largest creditors, owning about $859.4 billion in U.S. debt
চিনা ঋণ খুব ভালো জিনিস ভারতীয় ঋণ তার চেয়েও ভালো।