প্রথম পাতা
৮ মাসে ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে
বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবারচলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সরকার সুদ ও আসলসহ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ২০৩ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ ৮০ দশমিক ৫৯ ডলার এবং আসল ১২২ দশমিক ৪০ কোটি ডলার। অথচ গত বছরের একই সময়ে বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণ পরিশাধ করেছিল ১৪২ দশমিক ৪১ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ৮ মাসে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ৬১ কোটি ডলার। গতকাল অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ইআরডি জানিয়েছে, ঋণ পরিশোধের ব্যয় এতটা বাড়ার পেছনে সুদ পরিশোধই মূলত ভূমিকা রাখছে। আট মাসে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলার (৮০৬ মিলিয়ন ডলার)। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৪০ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়, যার তুলনায় এটি দ্বিগুণ হয়েছে। সংস্থাটি আরও জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ প্রতিশ্রুতি বেড়েছে। উন্নয়ন সহযোগীরা এ সময়ে ৭২০ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৭৮ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছর বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে ৯৯২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে বলেও জানানো হয়।
ইআরডি’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে এডিবি’র কাছ থেকে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বৈদেশিক অর্থছাড় হয়েছে ৪৯৯ দশমিক ৭ কোটি ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ৪৮৭ কোটি ডলার। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে এডিবি। এই সংস্থা অর্থছাড় করেছে ১৩০ কোটি ডলার। জাপান ছাড় করেছে ১০৪ কোটি ডলার। এরপর বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৮৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। এছাড়া রাশিয়া ৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং চীন ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে।
গত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করেছে ২৬৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ হিসেবে পরিশোধ করেছে ৯৩ কোটি ৫৬ লাখ, আর আসল পরিশোধ করেছে ১৭৩ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে পরিশোধ বেড়ে হবে ৩৫৬ কোটি ডলার। আগামী দুই অর্থবছরে তা আরও বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪২১ কোটি এবং ৪৭২ কোটি ডলার।
এরমধ্যে কোনো লুকোচুরি আছে নাকি ! যখন লোন দেয়া-নেয়া হয়েছিল তখনই তো সবকিছু স্থির। এখন গত বৎসরের তুলনায় ডবল সুদ দেয়া লাগছে এর মানে কী ? আসল ফাঁক তো অন্যখানে। প্রথমত দুর্নীতি ও সময় মতো প্রকল্প শেষ করতে না পারা । দ্বিতীয়ত যে গোলাপি চিত্র দেখিয়ে ঋণ নিয়েছিল সে মতো এখন গোলাপ না এবং ভবিষ্যতেও ফুটবে না। কারণ ভুল ভাল তথ্য পরিসংখ্যান ব্যবহার করা হয় প্রকল্প প্রণয়নের সময়। দায় এখন জনগণের আর কারও নয়।
বিদেশি লোন ওটা কি পরিশোধ করা লাগবে,যদি না লাগে তাহলে ঠিক আছে!বাংলাদেশ কেমন ডিজিটাল দেশ ঢাকা এয়ারপোর্ট কাস্টমস হাতে লিখছে।আমরা জানি ব্যাংক থেকে লোন নিলে ওটা পরিশোধ করা লাগেনা যার জন্য সব ব্যাংক জয় বাংলা।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশীদের সুদ টানতে টানতে জীবন পার হয়ে যাবে, উন্নতির আর মুখ দেখা হবে না। বিদেশিরা বাংলাদেশকে লোণ দিতে অনেক আগ্রহী, কারন টাকা টাকা দিয়ে এমন সুদের বাণিজ্য করার সুযোগ কোথাও নাই।