শেষের পাতা
সেহরিতে কেমন খাবার গ্রহণ করতেন রাসুল (সা.)
আতিকুর রহমান নগরী
২৬ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার
আজ ১৫ই রমজান। রমজানের মাঝামাঝি সময়ে এসে আমরা উপস্থিত হয়েছি। প্রতিদিন রোজা রাখার জন্য আমরা সেহরির খাবার গ্রহণ করে থাকি। এটা শুধুমাত্র যে রাতের বা প্রত্যুষের আহার্য তাই নয়, বরং সেহরি খাওয়া হচ্ছে রমজানে রোজা রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। প্রিয়নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা শেষরাতের খাবার খাও। নিঃসন্দেহে তাতে বরকত নিহিত রয়েছে।’ (বুখারি-মুসলিম)
রোজা রাখার উদ্দেশ্যে ভোররাতের খাবারকে আরবীতে ‘সুহুর’ বলে। সুহুর সেহরির বহুবচন। আল্লাহর রাসুল (সা.) শেষরাতে পানাহার করতেন এবং সুবহে সাদেক থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা পালন করতেন। ইসলামী শরিয়তে তাই সেহরি খাওয়া সুন্নত। রাসূলে কারিম (সা.) বলেন, তোমরা রোজা রাখার জন্য সেহরি খাবারের সাহায্য নাও এবং রাতের নামাজের জন্য দুপুরের নিদ্রাবিহীন বিশ্রাম গ্রহণ করো। এই হাদিসে দিনে রোজা রাখার জন্য সেহরির মাধ্যমে এবং রাতে তারাবি ও তাহাজ্জুদের জন্য দুপুরের হালকা বিশ্রামের মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয়ের নির্দেশ রয়েছে। সেহরিতে আমরা যা খাই তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। যথাসাধ্য কম মসলাযুক্ত খাবার ইফতার ও সেহরিতে গ্রহণ করা উচিত। আল্লাহর প্রিয় রাসুল শুধু পানি ও একটি খেজুর দিয়ে ইফতার এবং সেহরিতে পরিমিত খাবার খেতেন। এটা আমাদের জন্য আদর্শ। এ জন্য সেহরিতে সাদা ভাত, মসলাহীন কিংবা কম মসলাযুক্ত তরকারি, ডাল, হালুয়া, রুটি, দুধ, সেমাই, দই, সবজি, ফল এবং প্রচুর পানি ও পানীয় খাবার বিজ্ঞানসম্মত বলে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা মনে করেন। অতএব, আমাদের যত রোগব্যাধি থাকুক না কেন রোজা রাখলে দেহ ও মন সুস্থ থাকে এবং রোগব্যাধিও ভালো হয়। আগামী রমজানে আবার আমরা রহমত ও মহান আল্লাহর করুণার দশক পাবো কিনা জানি না। বিগত দিনগুলোতে কতোটা দয়াময় আল্লাহর দয়ার ভাগিদার হতে পেরেছি তা আল্লাহ-ই ভালো জানেন। দুনিয়া জুড়ে অশান্তি মানুষের পিছু ছাড়ছে না।
অতএব আসুন, রমজান মাসে নিজের সব গোনাহর ওপর তাওবা করে রহমতপ্রাপ্ত বান্দাদের খাতায় নাম লেখাই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর রহমতের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় দান করুন। আমিন!