ঢাকা, ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শরীর ও মন

হাড়, অস্থিসন্ধির সমস্যা ও ডায়াবেটিস

ডা. জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন
৮ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

ডায়াবেটিসের কারণে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো হাড়, অস্থিসন্ধি, জয়েন্ট ক্যাপসুল বা আবরণী, লিগামেন্ট, টেনডন ইত্যাদিও আক্রান্ত হয়। এর ফলে দেখা দেয় নানা সমস্যা।
একটি পরিচিত সমস্যা হলো ফ্রোজেন শোল্ডার। এর ফলে কাঁধের পেশি ও টেনডনে প্রদাহ হওয়ায় ব্যথা করে, কাঁধের জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধি নাড়াতে সমস্যা হয়। চুল আঁচড়ানো, পেছনে বোতাম লাগানো বা পেছনের পকেটে কিছু নিতে সমস্যা হয়। অনেক সময় কাঁধ জমে যায় বলে মনে হয়।
আবার একিলিস টেনডিনাইটিস বা প্ল্যান্টার ফাসাইটিস নামের সমস্যায় পায়ের গোড়ালি এবং পায়ের পাতার পেশি ও টেনডনে প্রদাহ হয়। ফলে গোড়ালিতে ব্যথা করে। সকালে পা ফেলতে কষ্ট হয়। হাঁটতে, জগিং করতে বা দৌড়াতে কষ্ট হয়। আঙ্গুল ও হাতের তালুর পেশি ও টিস্যু সংকুচিত হলে হঠাৎ আঙ্গুুল বাঁকা হয়ে যায়, আর সোজা করা যায় না। একে ট্রিগার ফিঙ্গার বলে।
হাত ও আঙ্গুলের ত্বক মোমের মতো পুরু হয়ে যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন
পায়ের সন্ধিতে একটা জটিল সমস্যা হতে পারে যার নাম চারকোট জয়েন্ট। এতে পায়ের জোড়া ফুলে যায়, স্থানচ্যুতি হয় ও স্বাভাবিকতা হারায়।
প্রতিকার
ডায়াবেটিসজনিত হাড় ও অস্থিসন্ধির সমস্যায় রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ জরুরি। এ ছাড়া জীবনাচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে বেশির ভাগ সমস্যাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
- খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম ও চিকিৎসার মাধ্যমে সারা বছর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে। শর্করাযুক্ত খাবার কমিয়ে শাকসবজি, ফলমূল, গোট খাদ্যশস্য, চর্বিহীন মাংস, মাছ, বাদাম, বীজজাতীয় খাবার খান।
- প্রয়োজন হলে জোড়ার ওপর চাপ কমাতে ওয়াকিং স্টিক, ব্রেচ বা হাঁটুর সাপোর্ট, নি-ক্যাপ বা ইলাস্টিক সাপোর্ট, কোমরে বেল্ট ও কুশনযুক্ত জুতা ব্যবহার করা যায়।
- স্ট্রেনথনিং এক্সারসাইজ বা পেশি শক্তিকারক ব্যায়ামের মাধ্যমে সন্ধি জমে যাওয়া রোধ করা যায়।
- এর সঙ্গে নিয়মিত হাঁটা, জগিং ও ওজন বহন বা ব্যালান্সিং এক্সারসাইজ করে যাবেন।
- একটানা একই ভঙ্গিতে বা একটানা বসে থাকা উচিত নয়। সিঁড়ি ওঠানামা বেশি না করে বরং সমতল জায়গায় হাঁটাহাঁটি করুন।
- পরিমিত সুষম খাদ্য এবং ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি-যুক্ত খাবার খান।
- ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকবেন।
- ফিজিক্যাল থেরাপির মাধ্যমে ব্যথা ও জমে যাওয়ার চিকিৎসা করা হয়। এ ছাড়া চিকিৎসকের শেখানো ব্যায়াম বাড়িতে করবেন।
-চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক, ইন্ট্রাআর্টিকুলার ইনজেকশন ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগ, হাড় ও জোড়া বিশেষজ্ঞ এবং আর্থ্রোস্কোপিক সার্জন। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), ঢাকা। 
চেম্বার: বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল লি., শ্যামলী, মিরপুর রোড, ঢাকা-১২০৭। 
হটলাইন: ১০৬৩৩, ০১৭৪৬-৬০০৫৮২।

শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন

শরীর ও মন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status