প্রথম পাতা
একদিনের কর্মসূচি বিএনপি’র
স্টাফ রিপোর্টার
৭ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার
বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী শনিবার ঢাকাসহ দেশব্যাপী লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৯ই মার্চ (শনিবার) ঢাকাসহ দেশব্যাপী লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করা হবে। তিনি বলেন, সবজির ভরা মৌসুমেও পিয়াজসহ সব জিনিসের দাম এখন আকাশচুম্বী। বাংলাদেশের ইতিহাসে ভরা মৌসুমে পিয়াজের চড়া মূল্য নজিরবিহীন ঘটনা। এই সময় পিয়াজের মূল্য থাকার কথা ১৫/২০ টাকা, কিন্তু এখনো ১০০ টাকার নিচে কোনো পিয়াজ পাওয়া যায় না। রোজার আগে ডিম, মাছ-মাংসসহ সকল নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির মূল কারণ হলো সরকারদলীয় সিন্ডিকেটের লুটপাট। ডামি সরকারের মন্ত্রীরা গরিব সাধারণ মানুষের সঙ্গে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য আচরণ করছেন।
রিজভী বলেন, রোজার প্রাক্কালে সরকারের সিন্ডিকেটের সদস্য আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পরিকল্পিতভাবে নানা অঘটন ঘটিয়ে এরইমধ্যে বাড়িয়ে দিয়েছে চিনির দাম। শুল্ক কমানোর পরদিন থেকেই দাম তো কমেইনি বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। খেজুরের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক গতিতে, এত দাম বৃদ্ধি হয়েছে যে, মানুষ আর খেজুর কিনতে পারছে না। প্রতি কেজিতে খেজুরের দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্পমন্ত্রী বলছেন, ‘খেজুরের বদলে বরই দিয়ে ইফতার করুন, আঙ্গুর-খেজুর লাগবে কেন?’। এই ধরনের বক্তব্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানের প্রতি এক ধরনের রসিকতা।
খেজুর দিয়ে ইফতারির যেমন সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যাও আছে তেমনি একইভাবে মহৎ অনুভূতিও রয়েছে। কারণ আমাদের প্রিয় নবী (স.) খেজুর দিয়ে ইফতারি করতেন। তিনি আরও বলেন, সরকার কমিশন ও লুটপাট করার জন্য তুলনামূলক কম টাকায় নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে কয়লা, তেল, গ্যাস ইত্যাদি পরিবেশ দূষণকারী ফসিল ফুয়েল ব্যবহার করে দেশের পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনছে। কয়লা, গ্যাস, তেল ইত্যাদি আমদানির নামে দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করছে। গ্যাস সংকটে দেশের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়িতে বাড়িতে চুলা জ্বলছে না। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে রমজান মাসে ভয়াবহ দুর্ভোগের মধ্যে পড়বে সাধারণ মানুষ।
পাঠকের মতামত
বড়োই দিয়ে ইফতার এটা আবার কোন হাদীস।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোজার আগে একদিন হরতাল দেওয়া হোক।
বিএনপি তো দেখি জামায়াতের চেয়েও দুর্বল কর্মসূচী দিলো।
বিরোধীরা বলে, নির্বাচন নাকি ডামি, সরকার নাকি ডামি। এদিকে জনগন বলে বিরোধীদল ডামি, তাদের আন্দোলনও ডামি। এই ডামি আন্দোলনে সরকারকে ডামি পদত্যাগ করানো যাবে, প্রকৃত পদত্যাগ করানো একেবারে ইম্পসিবল।
এত নিরামিষ কর্মসূচি কেন? নিদেন সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসুচি দিতে পারতো।
ডামি সরকার, তার ডামি মন্ত্রিরা
এত বড় জনসমর্থন দুষ্ট দল পৃথিবীর কোথাও আছে কিনা জানা নেই। তা সত্ত্বেও বিএনপি কিছুই করতে পারে না, এরকম ব্যর্থ আন্দোলনকারী পৃথিবীতে আছে কিনা তাও জানা নেই।