খেলা
‘নো বল’ না দেয়ায় আম্পায়ারকে পেশা পাল্টাতে বললেন হাসারাঙ্গা
স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শুক্রবারটানা দুই জয়ে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিটি ছিল আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার। ৩ রানের জয়ে লজ্জা এড়িয়েছে আফগানরা। তবে বুধবার ডাম্বুলায় আফগানিস্তানের দুর্দান্ত জয় ছাপিয়ে গেছে ম্যাচ আম্পায়ারের এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ‘ন্যায্য’ নো-বল না দেয়ায় সেই আম্পায়ারকে পেশা পাল্টাতে বলেছেন ক্ষুব্ধ ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শেষ ওভারের ঘটনা। আফগানিস্তানের দেয়া ২১০ রানের টার্গেট তাড়ায় নামা লঙ্কানদের তখন ১৯ রান প্রয়োজন। ক্রিজে ফিফটি তুলে নেয়া কামিন্দু মেন্ডিস ও আকিলা ধনঞ্জয়া। আফগান পেসার ওয়াফাদার মোমান্দের করা শেষ ওভারে প্রথম তিনটি ডেলিভারি থেকে ৮ রান তুলে নেন কামিন্দু। জয়ের জন্য শেষ ৩ বলে প্রয়োজন ১১ রান। এ অবস্থায় চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্প ও মিডল স্টাম্পের মাঝবরাবর ফুলটস করেন ওয়াফাদার। খালি চোখে দেখে মনে হয়েছে, বলটি কামিন্দুর কোমরের চেয়ে বেশি উচ্চতায় ছিল। ভিডিও রিপ্লেতে দেখার পর ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়, কামিন্দু একটু এগিয়ে গেলেও বলটি তার কোমরের উপরেই ছিল এবং আইন অনুযায়ী সেটি নো বল। কিন্তু স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো আম্পায়ার এডওয়ার্ড হানিবল সেটি নো বল দেননি। ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনেও বলা হয়, আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী সেটি নো বল ছিল। ম্যাচ শেষে হাসারাঙ্গা আম্পায়ার হানিবলকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এমন কিছু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হওয়া উচিত নয়। (কোমরের উচ্চতার) খুব কাছাকাছি থাকলে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু বলটা অনেক ওপর দিয়ে যাচ্ছিল... আরেকটু উপরে থাকলে ব্যাটারের মাথায়ও লাগতে পারত। এখন সেটা যদি দেখতে না পায়, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে সেই আম্পায়ার মানানসই নয়। তিনি অন্য কোনো কাজে থাকলে সেটা খুব ভালো হতো।’