বিশ্বজমিন
আবারো শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি, তেল কেনার বিভিন্ন পথ খুঁজছে সরকার
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) ২৯ জুন ২০২২, বুধবার, ৫:৪৪ অপরাহ্ন

আবারও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। মঙ্গলবার গ্যালে ফোর্টে এমন বিক্ষোভ শুরু হলে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে জ্বালানি তেল কেনার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে রাশিয়া ও ভারতকে। প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া নিকট ভবিষ্যতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাবেন বলে মিডিয়াকে জানিয়েছেন এমপি মাহিন্দ আনন্দ আলুথগামাগে। এ বিষয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন মঙ্গলবার। অন্য এক খবরে বলা হয়েছে, দেশে খাদ্য সঙ্কট থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানাধীন জমি চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এমন জমির পরিমাণ আড়াই লাখ হেক্টর। এসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে বৌদ্ধদের উপাসনালয়, চার্চ, মসজিদ ও হিন্দুদের মন্দির। অনলাইন ডেইলি মিরর এ খবর দিয়েছে।
এতে বলা হয়, এমপি মাহিন্দ আনন্দ আলুথগামাগে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জ্বালানি তেল কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে চায় শ্রীলঙ্কা। এ জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়ার মধ্যে একটি টেলিফোন সংলাপ প্রত্যাশা করে শ্রীলঙ্কা। এই টেলিফোন সংলাপ আয়োজনের জন্য শ্রীলঙ্কায় নিয়োজিত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি আরও বলেন, ১০ই জুলাই থেকে অব্যাহতভাবে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য একটি বিস্তৃত ম্যাকানিজম হাতে নিয়েছে সরকার। এ জন্য ভারতের কাছ থেকে তেল কিনতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী, পেট্রোলিয়াম রিসোর্স বিষয়ক মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রেখেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া।
এমপি মাহিন্দ আনন্দ আলুথগামাগে আরও বলেছেন, শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি তেল রপ্তানি করে সাতটি দেশ। তাদের সঙ্গে আলোচনা করছে সরকার।
অন্যদিকে খাদ্য সঙ্কট কমিয়ে আনতে দ্রুতত্বর এক সমাধান হিসেবে ‘একওয়া ওয়াওয়ামু-রাতা দিনাওয়ামু’ থিমের অধীনে জাতীয় পর্যায়ে ফসল উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি শ্রীলঙ্কায় জাতীয় পর্যায়ে খাদ্য উৎপাদন কর্মসুচি। এ বিষয়ে যৌথভাবে ক্যাবিনেট মেমোরেন্ডাম উপস্থাপন করা হয়েছে। তাতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অধীনে থাকা জমি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই জমিতে ফসল উৎপাদন করা হবে। কৃষি ডিপার্টমেন্ট ও প্রাদেশিক কৃষি ডিপার্টমেন্টের টেকনিক্যাল অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই পুরো কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে সরকার শ্রীলঙ্কার রেলওয়ের অধীনে থাকা সংরক্ষিত ১৪ হাজার একর কজমি লিজ দেয়ার ঘোষণা করেছে। এসব জমিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদন করা হবে।